আরও একবার জিশানের ব্যাটিং ঝড়, প্রথম জয়ের স্বাদ পেল সিলেট
আরও একবার জিশানের ব্যাটিং ঝড়, প্রথম জয়ের স্বাদ পেল সিলেট
আরও একবার জিশানের ব্যাটিং ঝড়, প্রথম জয়ের স্বাদ পেল সিলেট
এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে টানা তিন পরাজয়ের পর অবশেষে প্রথম জয়ের স্বাদ পেল সিলেট বিভাগ। আরও একবার ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালান জিশান আলম। খুলনার দেওয়া ১৪৫ রানের টার্গেট সহজেই টপকে যায় সিলেট, ৯ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটের রোমাঞ্চকর জয়। ৭৩ রানের ইনিংস খেলা ওপেনার জিশান পেয়েছেন ম্যাচ সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার।
সিলেটের আউটার গ্রাউন্ডে দিনের তৃতীয় ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত জানান খুলনার অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। তবে ব্যাট হাতে সোহান ছাড়া কেউ দলকে দিতে পারেননি স্বস্তি। ৩৪ বলে খেলা ক্যাপ্টেন সোহানের অপরাজিত ৪৮ রানই দলের পক্ষে সর্বোচ্চ।
ওপেনিংয়ে ব্যর্থ হয়েছেন এনামুল হক বিজয় ও ইমরুল কায়েস। ৮ বলে ৯ করে এবাদতের শিকার বিজয়। ১৪ রানে থাকা ইমরুল কায়েস ক্যাচ হন জিশান আলমের বলে। তিনে নামা আজিজুল হাকিম তামিমও বিদায় নিয়েছেন দ্রুত। ১৩ বলের ইনিংসে রান পেয়েছেন কেবল ৯। মাঝে মোহাম্মদ মিঠুনের ব্যাট থেকে আসে ২০ রান।
উইকেটের আসা-যাওয়ার মিছিলে একা দাঁড়িয়ে লড়াই চালিয়ে যান অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। শেষপর্যন্ত সোহান অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। ৩ ছক্কা ও ২ চারে ৩৪ বলে করেন ৪৮ রান। শেষদিকে জিয়াউর রহমান ২১ রান করলে খুলনার ইনিংস থামে ৭ উইকেটে ১৪৪ রানে। বল হাতে সিলেটের এবাদত হোসেন ২৮ রান খরচায় শিকার করেন খুলনার ২ উইকেট।
সহজ লক্ষ্য তাড়ায় নেমে তৌফিক খান তুষার ও জিশান আলমের ওপেনিং জুটিতে উড়ন্ত শুরু পায় সিলেট। শুরু থেকেই এদিন আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট চালান জিশান। তবে ৭৮ রানের উদ্বোধনী জুটি অবশ্য ভাঙে ব্যক্তিগত ২৪ রানে তৌফিক তুষার আউট হলে। তিনে নামা পিনাক ঘোষ করেন কেবল ৬। উইকেটকিপার ব্যাটার অমিত হাসানও বিদায় নিয়েছেন দ্রুত, ১৩ বলে তার রান ১১।
ছক্কা হাঁকিয়ে ৩৫ বলে ৫০ পূর্ণ করে জিশান হয়ে উঠেন আরও বিধ্বংসী। মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরির ডেলিভারিতে বোল্ড হওয়ার আগে এই তরুণ ব্যাটার করেন ৭৩ রান। ৪৮ বলের ইনিংসে চারের চেয়ে বেশি ছিল ছক্কা (৬)। জিশানের ব্যাটে চড়েই জয়ের সহজ পথ খোঁজে পায় সিলেট। শেষদিকে তোফায়েল আহমেদ ১২ বলে ২৩ রানের ইনিংস খেলে সিলেটকে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। ৯ বল বাকি থাকতেই ৬ উইকেটে টুর্নামেন্টে প্রথম জয় পেল সিলেট।