২৭ রানের জয়ে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ
২৭ রানের জয়ে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ
২৭ রানের জয়ে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ
ওয়ানডেতে ব্যর্থ হওয়ার পর সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে বাংলাদেশের দারুণ কামব্যাক। টানা দুই জয়ের ফলে সিরিজ জয় নিশ্চিত হল বাংলাদেশের। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৭ রানে হারাল বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করে ১২৯ রান করে লিটন দাসের দল। রান তাড়ায় ১৯ তম ওভারে ১০২ রানে অলআউট হয় ক্যারিবিয়ানরা। বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সিরিজ জয়। এই ফরম্যাটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০২৮ সালের পর প্রথমবার সিরিজ জিতল টাইগাররা।
তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে লিটন দাসের দল এগিয়ে ২-০ ব্যবধানে। ২৭ রানের রোমাঞ্চকর জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়ে টাইগাররা। লো স্কোরিং ম্যাচে বাংলাদেশের শক্তিশালী বোলিং আক্রমণের সামনে ক্যারিবীয় ব্যাটারদের অসহায় আত্মসমর্পণ। দুই অংকের রানে পৌঁছাতে পারেন কেবল ৩ ব্যাটার। আর ডাক হয়েছেন ৪ জন। শেষ অবদি ১০২ রানের বেশি করতে পারেনি স্বাগতিকরা।
সেন্ট ভিনসেন্টের আর্নোস ভেল স্টেডিয়ামে ব্যাটিং ব্যর্থতার দিনে বাংলাদেশকে লড়াই করার মতো সংগ্রহ এনে দেন শামীম হোসেন। ১৭ বলে অপরাজিত ৩৫ রানের দারুণ ইনিংস খেলে থাকেন অপরাজিত। আর তাতেই ৭ উইকেটে ১২৯। প্রথম ১০ ওভারে মাত্র ৪৫ রান করা বাংলাদেশ শেষ ১০ ওভারে পেয়েছে ৮৪ রান।
সিরিজ বাঁচানোর জন্য সহজ লক্ষ্য পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটাররা। তাসকিন আহমেদ নিজের প্রথম ওভারে অ্যাকশনে এসেই তুলে নেন ওপেনার ব্র্যান্ডন কিং ও তিনে নামা আন্দ্রে ফ্লেচারের উইকেট। প্রথম পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগে আরও দুই উইকেট হারায় উইন্ডিজ।
জনসন চার্লসের ব্যাট থেকে ১৪ রান আসলেও নিকোলাস পুরান উইকেট হারান শূন্য রানে। পরপর দুই ওভারে এই দুই ব্যাটারকে ফিরিয়ে ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ বাংলাদেশকে এনে দেন শেখ মেহেদী হাসান। এরপর উইকেট শিকারের পার্টিতে যুক্ত হন হাসান মাহমুদ ও তানজিম হাসান সাকিব। উইন্ডিজ অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েল ৬ রানের বেশি করতে পারেননি। রোমারিও শেফার্ডের ডাক।
ইনিংসের শেষ অবদি যেতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এর আগেই ১৮.৩ ওভারে গুটিয়ে গেছে ১০২ রানে। এর ফলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই বাংলাদেশ জিতল টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
বল হাতে এদিন বাংলাদেশের প্রায় সবাই অবদান রাখেন। উইকেট শূন্য থাকেন কেবল মেহেদী হাসান মিরাজ। ৩.৩ ওভারে তাসকিন আহমেদ মাত্র ১৬ রান খরচায় নেন ৩ উইকেট। ২টি করে উইকেট পান শেখ মেহেদী, রিশাদ হোসেন ও তানজিম হাসান সাকিব। বাকি ১ উইকেট যায় হাসান মাহমুদের দখলে।