অধিনায়ক আকবর আর তানভীরের ব্যাটে শান্তদের হারিয়ে দিল রংপুর
অধিনায়ক আকবর আর তানভীরের ব্যাটে শান্তদের হারিয়ে দিল রংপুর
অধিনায়ক আকবর আর তানভীরের ব্যাটে শান্তদের হারিয়ে দিল রংপুর
এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে রংপুর বিভাগের টানা ৪ জয়। নাজমুল হোসেন শান্তর রাজশাহীকে ৭ উইকেটে হারিয়ে আকবর আলির দল জায়গা করে নিয়েছে টেবিলের শীর্ষে। রাজশাহীর দেওয়া ১৯০ রানের টার্গেট ২ ওভার হাতে রেখেই টপকে যায় রংপুর। অধিনায়কোচিত ৬৮ রানের ইনিংসে আকবর আলি দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। পেয়েছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কারও।
অধিনায়ক আকবর আলি ও তানভীর হায়দারের ১০৩ রানের পার্টনারশিপেই ম্যাচ জয়ের সহজ পথ তৈরি হয় রংপুরের। এরপর আরিফুল হককে নিয়ে জয়ের বাকি কাজটা সারেন আকবর। ইনিংসের ১৮তম ওভারের শেষ ডেলিভারিতে তাইজুলকে ডিপ মিড উইকেটের উপর দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে ৭ উইকেটের জয় এনে দেন আকবর আলি।
সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে সাব্বির হোসেনের হার-না-মানা ৭৩ রানের ইনিংসে চড়ে ১৮৯ রানের সংগ্রহ পায় রাজশাহী। বরাবরের মতো হাবিবুর রহমান সোহান রাজশাহীকে এনে দেন দারুণ শুরু। তবে এদিন ব্যর্থ হয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত, ৯ বল খেলে করেছেন ৬ রান।
১৯০ রানের বড় লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ওপেনিং জুটি থেকে রংপুর পায় ৫৪ রান। ২০ বলে ২৫ রান করে ফরহাদ রেজার শিকার হন চৌধুরি রিজওয়ান। তিনে নামা আবদুল্লাহ আল মামুনের ব্যাট থেকে আসে ৬ রান। এরপর রংপুর ঘুরে দাঁড়ায় অধিনায়ক আকবর আলি ও তানভীর হায়দারের ১০৩ রানের পার্টনারশিপে।
মাত্র ১৯ বল পঞ্চাশ পূর্ণ করেন অধিনায়ক আকবর আলি। ৪৫ বলে ৭১ রানের ইনিংস খেলে তানভীর হায়দার প্যাভিলিয়নে ফিরে গেলেও দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান আকবর। শেষ পর্যন্ত ২ ওভার বাকি থাকতেই রংপুর ম্যাচ জিতে নেয় ৭ উইকেটে।
২৩৪.৪৮ স্ট্রাইক রেটে ২৯ বলের আকবরের ব্যাট থেকে আসে ৬৮ রান। এই ইনিংস সাজাতে চারের চেয়ে বেশি হাঁকান ছক্কা। ৬ ছক্কার বিপরীতে তার ব্যাট থেকে আসে ৪ বাউন্ডারি। টানা ৪ জয়ের ফলে ঢাকা মেট্রোকে টপকে ফের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠল রংপুর ডিভিশন।