আফগানিস্তানকে উড়িয়ে ৮ ম্যাচ পর জিতল বাংলাদেশ

আফগানিস্তানকে উড়িয়ে ৮ ম্যাচ পর জিতল বাংলাদেশ
আফগানিস্তানকে উড়িয়ে ৮ ম্যাচ পর জিতল বাংলাদেশ
সিরিজ বাঁচানোর লড়াইয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৬৮ রানের রোমাঞ্চকর জয় তুলে নিল বাংলাদেশ। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর ৭৬ রানের পর দলের সংগ্রহ বড় করতে শেষদিকে দারুণ ফিনিশিংয়ে অভিষেক রাঙান জাকের আলি অনিক। ২৫৪ রানের টার্গেট ছুঁড়ে দিয়ে বোলিংয়ে দাপট দেখান মুস্তাফিজ, নাসুম, মিরাজরা। ১৮৪ রানে অলআউট আফগানিস্তান, আর তাতেই শারজাহতে লেখা হয়ে গেল টাইগারদের ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প।
গত বুধবার প্রথম ওয়ানডেতে ৯২ রানে জিতে তিন ম্যাচের এই সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় আফগানিস্তান। আজ দ্বিতীয় ওয়ানডে জিতে সিরিজ সমতায় ফেরাল বাংলাদেশ। ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও চলমান আফগানিস্তান সিরিজ মিলিয়ে টানা ৮ ম্যাচ হারের পর অবশেষে জয়ের দেখা পেল নাজমুল হোসেন শান্তর দল। প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে মাত্র ২৮ রান খরচায় নাসুম আহমেদ শিকার করলেন ৩ উইকেট। যথাক্রমে ৩৭ করে রান দিয়ে মিরাজ, মুস্তাফিজের দখলে জোড়া শিকার।
আগে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে ২৫২ রান তুলতে পারে বাংলাদেশ। ওয়ানডে অভিষেকে সাত নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ১ চার ও ৩ ছয়ে ২৭ বলে অপরাজিত ৩৭ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন জাকের আলি অনিক। এছাড়া নাসুম আহমেদের ব্যাট থেকে আসে ২৫ রান।
২৫৩ রানের বড় লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুতেই বিপাকে আফগানিস্তান। ২ রানে থাকা রহমানউল্লাহ গুরবাজকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন তাসকিন আহমেদ। এরপর অবশ্য আফগানিস্তান ঘুরে দাঁড়ায় তিনে নামা রহমত শাহ ও সেদিকউল্লাহ অটলের ব্যাটে। ১৮ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর পরের জুটিতেই আফগানিস্তান পেয়ে যায় ৫২ রান।
নাসুম আহমেদ বল হাতে নিয়ে প্রথম ডেলিভারিতেই বাংলাদেশকে এনে দেন উইকেট উদযাপনের উপলক্ষ। ৩৯ রান করে মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে ক্যাচ তুলে প্যাভিলিয়নে যান সেদিকউল্লাহ। ২ উইকেট হারিয়ে আফগানিস্তানের রান যখন ১১৮ তখনই শারজাহতে বিপদজনক হয়ে উঠে টাইগার বোলাররা। ১১৮ থেকে ১১৯ রানে যেতে আফগানরা হারায় টানা ৩ উইকেট।
আফগান অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদিকে দিয়ে উইকেটের মিছিলের শুরুটা করেন মুস্তাফিজুর রহমান। ৪০ বল খেলা হাশমতউল্লাহ রান করেছেন কেবল ১৭। পরের ওভারে নাসুম আহমেদ অ্যাকশনে এসে শূন্যতেই বিদায় করেন আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে। একই ওভারে গুলবেদিন নাইবের সাথে ভুল বোঝাবুঝিতে দুর্ভাগ্যজনকভাবে রান আউটের শিকার ফিফটি হাঁকিয়ে ৫২'তে থাকা রহমত শাহ।
ইনিংসের ৩৭তম ওভারে শরিফুল ইসলামের প্রথম ৩ বলে গুলবেদিন ছক্কা, চার হাঁকিয়ে পেয়ে যান ১২ রান। পরের ডেলিভারিতেও বাউন্ডারির আশায় ব্যাট চালিয়ে তাওহীদ হৃদয়ের হাতে ক্যাচ গুলবেদিন। ২৫ বলে ২৬ রান আসে গুলবেদিন নাইবের ব্যাট থেকে। পরের ওভারে আরেক সেট ব্যাটার মোহাম্মদ নবীকেও হারিয়ে বসে আফগানিস্তান। এবার বোল্ড করেন মেহেদী হাসান মিরাজ, বলের লাইন মিস করে ১৭ রানে থাকে নবীর ইনিংস।
মিরাজ এখানেই ক্ষান্ত হননি। নাঙ্গেলিয়া খারোতি এগিয়ে খেলতে এসে হন স্টাম্পড। ১৮১ রানে ৮ম উইকেট হারায় আফগানিস্তান। এরপর মুস্তাফিজ তুলে নেন শেষ স্বীকৃত ব্যাটার রাশিদ খানের উইকেট। শেষ ব্যাটার আল্লাহ মোহাম্মদ গাজানফারকে বোল্ড করে নাসুম আহমেদ গুটিয়ে দেন আফগানিস্তানকে। ৪৩.৩ ওভারে ১৮৪ রানে অলআউট হলে বাংলাদেশের নিশ্চিত হয় ৬৮ রানের জয়।