Image

নাহিদ রানা ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করে গেলে উইকেট পাবেই

৯৭ প্রতিবেদক:

প্রকাশ : 21 ঘন্টা আগেআপডেট: 1 সেকেন্ড আগে
নাহিদ রানা ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করে গেলে উইকেট পাবেই

নাহিদ রানা ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করে গেলে উইকেট পাবেই

নাহিদ রানা ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করে গেলে উইকেট পাবেই

ওয়েস্ট ইন্ডিজে দারুণ একটা দিন গেল বাংলাদেশের। বল হাতে দাপটের পর ব্যাটিংয়েও চমক। ৬১ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ারসেরা বোলিংই করে ফেললেন নাহিদ রানা। দিনের খেলা শেষে টাইগার পেস বোলিং কোচ আন্দ্রে অ্যাডামস প্রশংসায় মাতলেন তরুণ নাহিদ রানার। অ্যাডামস বললেন, ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করে গেলে উইকেট আসবেই নাহিদের দখলে। ‘এলোমেলো’ নাহিদ রানার গুছিয়ে ওঠার গল্পও শোনালেন বোলিং কোচ।

জ্যামাইকার স্যাবাইনা পার্কে টেস্টের তৃতীয় দিন নাহিদ রানা দুর্দান্ত বোলিংয়ে আগুন ঝরালেন যেন! ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস ধ্বসে পড়ল অল্পতেই। নাহিদ রানার ক্যারিয়ারসেরা বোলিং অবশ্য কাজে লেগেছে বাংলাদেশের। ব্যাটাররা নিজেদের পরিকল্পনায় হয়েছেন সফল। দিনের খেলা শেষ করার আগে বাংলাদেশের রান ৫ উইকেটে ১৯৩, লিড ২১১ রানের। 

সারাদিনের খেলা নিয়ে বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ আন্দ্রে অ্যাডামস বললেন, ‘খুব ভালো দিন কেটেছে। আমরা পাল্টা জবাব দিতে চেয়েছিলাম। আর সেটা ভালোভাবেই পেরেছি। বোলাররা যেভাবে বোলিং করেছে, সত্যিই ভালো লাগছে। আজকের ব্যাটিংটাও অন্যরকম ছিল।’

কিংস্টন টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১৬৪ রানে গুটিয়ে যাওয়া বাংলাদেশ এরপর বোলিংয়ে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে থামাল ১৪৬ রানে। ১৮-১-৬১-৫, যা টেস্টে নাহিদ রানার ক্যারিয়ার সেরা। সাদা পোশাকে এই প্রথম ফাইফারের স্বাদ পেলেন নাহিদ। তার অনবদ্য বোলিংয়ে কারণেই দ্বিতীয়বারের মতো টেস্ট ইতিহাসে বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ২০০ এর কম স্কোর করে ইনিংসে লিড পেয়েছে। 

নাহিদ রানার প্রথম ফাইফার ছোঁয়া নিয়ে বাংলাদেশের বোলিং কোচ বলেছেন, ‘আমরা জানতাম, এটা কোনো একটা পর্যায়ে (৫ উইকেট) আসবেই। ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বল করে গেলে একটা সময় উইকেট ধরা দেবেই।’

বোলিংয়ে নাহিদের উন্নতি চোখে পড়ার মতো। ‘এলোমেলো’ নাহিদ রানার গুছিয়ে ওঠার গল্প শোনালেন বোলিং কোচ, ‘গত এক বছরে ও আগের চেয়ে অনেক ‘অ্যাকুরেট’ হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে যখন শুরু করেছিল, ওর বোলিং ছিল কিছুটা এলোমেলো। এখন অনেক উন্নতি করেছে। দুর্দান্ত গতির সঙ্গে ওর ধার আছে। আমরা ওকে কিছু পরামর্শ দেই এবং বাকিটা ওর সহজাত প্রতিভার ওপর ছেড়ে দেই।’

‘ও তরুণ বোলার। খুব জোরে বল করে। ওর বোলিং লোডের দেখাশোনা আমাদেরই করতে হবে। সে কারণে ওকে প্রথম টেস্ট খেলানো হয়নি। ও ছোট হলেও সৌভাগ্যবশত ওকে সাহায্য করার জন্য আমাদের কাছে তাসকিন ও হাসানের মতো বোলাররা আমাদের আছে এবং অধিনায়ক মেহেদী মিরাজ ওকে দারুণভাবে সামলেছে।’

Details Bottom
Details ad One
Details Two
Details Three