বাংলাদেশের বিপক্ষে 'অবাস্তব' বোলিং করে রেকর্ড বইয়ে সিলস
বাংলাদেশের বিপক্ষে 'অবাস্তব' বোলিং করে রেকর্ড বইয়ে সিলস
বাংলাদেশের বিপক্ষে 'অবাস্তব' বোলিং করে রেকর্ড বইয়ে সিলস
১৫.৫-১০-৫-৪, জেয়ডেন সিলসের অবিশ্বাস্য এই বোলিং ফিগার শুধু কিংস্টন টেস্টে বাংলাদেশের ইনিংসই ডুবিয়ে দেয়নি ইতিহাসের পাতায় লিখল নাম। ১৯৭৭ সালের পর থেকে টেস্ট ক্রিকেটে এক ইনিংসে অন্তত ৯০ ডেলিভারি করা বোলারদের মধ্যে সিলস সবচেয়ে মিতব্যয়ী। ১৫.৫ ওভারে রান খরচ মাত্র ৫।
বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে অবাস্তব স্পেল করার পর জেয়ডেন সিলস সরাসরি রেকর্ড বইয়ে সবার উপরে বসলেন। এক ইনিংসে অন্তত ৯০ ডেলিভারি করেছেন, এমন বোলারদের মধ্যে টেস্ট ইতিহাসের সবচেয়ে মিতব্যয়ী বোলিংয়ের কীর্তি এখন সিলসের নামে। বাংলাদেশের বিপক্ষে জ্যামাইকাতে ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন ০.৩১। প্রথম ইনিংসে মোট ৯৫টি ডেলিভারি করা জেয়ডেন সিলসের বিপক্ষে বাংলাদেশের ব্যাটাররা রান পেয়েছে কেবল ৫।
স্যাবাইনা পার্কে বাংলাদেশ দিনটা শুরু করেছিল ২ উইকেটে ৬৯ রান নিয়ে। এরপর ব্যাটিং ব্যর্থতায় দুই সেশনে ৪টি করে উইকেট হারিয়ে অলআউট ১৬৪ রানে। ৭১.৫ ওভারে বাংলাদেশকে অল্পতে গুটিয়ে দিতে শেষদিকে তাণ্ডব চালান পেসার সিলস। ১৫.৫ ওভার বল করা সিলস মাত্র ৫ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট। ওভার মেডেন দিয়েছেন মোট ১০টি।
সিলসের আগে ১৯৭৭ সালের পর এই কীর্তিতে নাম ছিল ভারতীয় পেসার উমেশ যাদবের। ২০১৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টে উমেশ যাদব ০.৪২ ইকোনমিতে বল করেছেন ২১ ওভার। গতকাল নতুন করে রেকর্ড ছোঁয়া সিলসের শিকার লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ ও নাহিদ রানা।
১৯৭৭ সালের পর টেস্টে বেস্ট ইকনোমি রেট (অন্তত ৬০ বল)-
জেয়ডেন সিলস- ১৫.৫-১০-৫-৪, ইকনোমি ০.৩১ বনাম বাংলাদেশ, ২০২৪
উমেশ যাদব- ২১-১৬-৯-৩, ইকনোমি ০.৪২ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা, ২০১৫
মানিন্দার সিং- ২০.৪-১২-৯-৩, ইকনোমি ০.৪৩ বনাম ইংল্যান্ড, ১৯৮৬
গ্রেগ চ্যাপেল- ১১-৬-৫-১, ইকনোমি ০.৪৫ বনাম ইংল্যান্ড, ১৯৭৯
নাথান লায়ন- ২২-১৭-১০-০, ইকনোমি ০.৪৫ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা, ২০১৪