Image

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি স্থগিত বা সরে গেলে পাকিস্তান কত টাকা হারাতে পারে?

৯৭ প্রতিবেদক:

প্রকাশ : 1 দিন আগেআপডেট: 1 সেকেন্ড আগে
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি স্থগিত বা সরে গেলে পাকিস্তান কত টাকা হারাতে পারে?

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি স্থগিত বা সরে গেলে পাকিস্তান কত টাকা হারাতে পারে?

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি স্থগিত বা সরে গেলে পাকিস্তান কত টাকা হারাতে পারে?

২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিকে কেন্দ্র করে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্ব অব্যাহত থাকায় টুর্নামেন্টটি স্থগিত বা অন্য কোনো দেশে স্থানান্তরিত হলে বিশাল আর্থিক প্রভাব পড়তে পারে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডে।

বোর্ড অফ কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে তারা পাকিস্তানে যাবে না। টুর্নামেন্টটি পাকিস্তানে ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ মার্চ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। অনিশ্চয়তার কারণে এখনো কোন ম্যাচের সময়সূচি প্রকাশ করা হয়নি।

১৯৯৬ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক হওয়ার পর এই প্রথমবারের মতো পাকিস্তান একটি বিশ্বব্যাপী আইসিসি ইভেন্টের আয়োজন করবে। বড় টুর্নামেন্টের জন্য পাকিস্তান নিরাপদ জায়গা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি সফলভাবে আয়োজন করে এটি প্রমাণ করতে চায় পিসিবি।

কিন্তু ভারতের প্রত্যাখ্যানের পরে টুর্নামেন্টটি অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। ভারতের চাওয়া হাইব্রিড মডেলের ধারণাকে পিসিবি প্রত্যাখ্যান করায় সমস্যা হয়েছে আরো জটিল। ক্রিকবাজের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, যদি টুর্নামেন্টটি স্থগিত করা হয় বা অন্য কোনো দেশে স্থানান্তরিত হয় তাহলে পিসিবি আইসিসি নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হতে পারে। 

শুধু তাই নয় প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি সরানো বা স্থগিত করার অর্থ হোস্টিং ফি হিসাবে সম্ভাব্য ৬৫  মিলিয়ন ডলার হারাতে হবে যা পিসিবির জন্য যথেষ্ট অর্থ। যেহেতু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য তিনটি নির্দিষ্ট ভেন্যু - করাচি, রাওয়ালপিন্ডি এবং লাহোরে অবকাঠামো উন্নত করার জন্য পিসিবি অনেক অর্থ বিনিয়োগ করেছে তাই এই ক্ষতি পরিমাণ আরও বাড়বে।

টুর্নামেন্টের জন্য পাকিস্তানে দল পাঠাতে ভারতের অস্বীকৃতির বিষয়ে আইসিসির কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে পিসিবি। মঙ্গলবার পাকিস্তানি মিডিয়া জানিয়েছে, পিসিবি ভারত সফরে অস্বীকৃতি জানানোর জন্য নিরাপত্তার কারণগুলি মেনে নিতে রাজি নয়। যেহেতু নিউজিল্যান্ড গত দুই বছরে তিনবার পাকিস্তান সফর করেছে, একই সময়ে ইংল্যান্ড দুবার এবং অস্ট্রেলিয়া একবার সফর করেছে।

এদিকে পাকিস্তানের অংশগ্রহণ ব্যতীত আইসিসি চুক্তিভিত্তিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারে। সম্প্রচারকারী এবং স্পনসররা উভয় ই সরে আসবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাছাড়া বাণিজ্যিক অংশীদারদের সাথে আইনি বিরোধ, সম্ভাব্য রাজস্ব হ্রাস এবং সদস্য দলগুলোর কাছে আইসিসির আর্থিক বণ্টনে হ্রাস হতে পারে এর সম্ভাব্য পরিণতি।

Details Bottom
Details ad One
Details Two
Details Three