তিলকের সেঞ্চুরি ম্লান করতে চেয়েছিলেন জানসেন, শেষ ওভারে জিতল ভারত
- 1
বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শক্তিশালী টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড ঘোষণা
- 2
প্রথম বলেই সাকিবের ৬, এরপর ডট দিয়ে আউট
- 3
তামিমকে টপকে বাংলাদেশের পক্ষে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ছক্কা মাহমুদউল্লাহর
- 4
পাকিস্তান সিরিজের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার শক্তিশালী ওয়ানডে দল ঘোষণা
- 5
নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করতে ম্যাথু পটসকে ডাকল ইংল্যান্ড
তিলকের সেঞ্চুরি ম্লান করতে চেয়েছিলেন জানসেন, শেষ ওভারে জিতল ভারত
তিলকের সেঞ্চুরি ম্লান করতে চেয়েছিলেন জানসেন, শেষ ওভারে জিতল ভারত
দক্ষিণ আফ্রিকায় ৪ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভারতের ২-১ লিড। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে জয়ের নায়ক তিলক বার্মা। ভারতের দেওয়া ২২০ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে মার্কো জানসেনের ৫৪ রানের ক্যামিওতে প্রোটিয়ারা অবশ্য জয়ের খুব কাছেও চলে যায়। শেষ ওভারের লড়াইয়ে ১৩ রান খরচায় আর্শদ্বীপ বিদায় করেন জানসেনকে, ভারত পায় ১১ রানের রোমাঞ্চকর জয়। তিলক বার্মার সেঞ্চুরির দাপটেই রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ জিতে নিল ভারত। ক্লাসেন, জানসেন মরিয়া চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত দলকে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে পারলেন না।
সেঞ্চুরিয়নের সুপারস্পোর্ট পার্কে নানা নাটকীয়তা ও একাধিক রেকর্ড ছোঁয়ার ম্যাচে শেষ হাসি ভারতের। স্বাগতিকরা ডুবল আক্ষেপ ও হতাশায়। সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে টিম ইন্ডিয়া ৬ উইকেট হারিয়ে ২১৯ রান তোলে স্কোরবোর্ডে। মাত্র ৫৬ বলে ১০৭ রান করে অপরাজিত থাকেন তিলক বার্মা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যা তার ক্যারিয়ার সেরা।
তিলকের প্রথম সেঞ্চুরিতে ভারত টার্গেট ছুঁড়ে দেয় ২২০ রানের। জবাব দিতে নেমে ১০ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ৮৪, নেই ৪ উইকেট। এরপর মিলার-ক্লাসেনের গড়া পঞ্চম উইকেট জুটিতে আসে ৫৮ রান। তবে ধীরগতির ইনিংসে ১৮ রানের বেশি করতে পারেননি ডেভিড মিলার। ৪ ছক্কায় ফিফটির কাছে যাওয়া হেনরিখ ক্লাসেনও উইকেট বাঁচাতে পারেননি শেষ অবদি। ২২ বলে ৪১ করে আর্শদ্বীপ সিংয়ের শিকার ক্লাসেন।
পরের গল্পটা নতুন করে লিখেন মার্কো জানসেন। একা হাতে তান্ডব চালিয়ে দলকে জয়ের আশা দেখাতে থাকেন। হার্দিক পান্ডিয়ার করা ১৯তম ওভারে ২ ছক্কা ও ৩ চারে মোট ২৬ রান তুলে নেন মার্কো। শেষ ওভারের দ্বিতীয় ডেলিভারিতে পাঁচ নম্বর ছক্কা হাঁকিয়ে ১৬ বলেই পেয়ে যান ফিফটি।
ইনিংসের শেষ ৪ বলে জিততে দক্ষিণ আফ্রিকার লাগে ১৮। পরের বলেই আর্শদ্বীপের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে জানসেন। আম্পায়ার প্রথমে আউট না দিলেও রিভিউ চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দারুণভাবে সফল ভারত। ১৭ বলে ৫৪ রান নিয়ে জানসেন প্যাভিলিয়নে পথ ধরলে স্বপ্নভঙ্গ দক্ষিণ আফ্রিকার। এই ম্যাচ তারা হেরেছে ১১ রানে। আন্দিলে সিমেলানে ও জেরাল্ড কোয়েটজি মিলে করতে পারেন ৬ রান।
ক্লাসেন, জানসেন মরিয়া চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত দলকে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে পারলেন না। ১১ রানে ম্যাচ জিতে সিরিজে এগিয়ে গেল ভারত। সেই সঙ্গে নিশ্চিত হয়ে গেল, ভারত এই সিরিজ হারছে না। শেষ ম্যাচ জিতলে সিরিজ সুরিয়াকুমার যাদবদের। যদি ভারত হেরেও যায়, সেক্ষেত্রে সিরিজ অমীমাংসিতভাবে শেষ হবে।
নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের ৩৭ রানে ৩ উইকেট নিলেন আর্শদ্বীপ সিং। অপরদিকে ৪ ওভারে ১ উইকেট পাওয়া হার্দিক পান্ডিয়া খরচ করলেন ৫০। বরুণ চক্রবর্তী ২ উইকেট নিতে দিয়েছেন ৫৪ রান। তবে উইকেট শূন্য থাকা রবি বিষ্ণোইও চাপে রাখেন প্রোটিয়া ব্যাটারদের। আক্সার প্যাটেলের ইকোনমি সবচেয়ে ভালো, কেবল ২৯ রানের বিনিময়ে ফিরিয়েছেন ট্রিস্টান স্টাবসকে।