মিরপুরে অনুশীলন করেন না বলেই কি অমিত ডাক পান না জাতীয় দলে!
৯৭ প্রতিবেদক: মোহাম্মদ আফজল
প্রকাশ : 12 ঘন্টা আগেআপডেট: 1 সেকেন্ড আগেমিরপুরে অনুশীলন করেন না বলেই কি অমিত ডাক পান না জাতীয় দলে!
মিরপুরে অনুশীলন করেন না বলেই কি অমিত ডাক পান না জাতীয় দলে!
ঘরোয়া ক্রিকেট কিংবা এইচপি ও ‘এ’ দল; সবখানেই সরব অমিত হাসানের ব্যাট। তার চেয়ে রান-গড়ে পিছিয়ে থাকা ক্রিকেটাররাই ডাক পাচ্ছেন জাতীয় দলে। তাই প্রশ্ন থেকে যায়, সেখানে পারফর্ম করেও কেন অমিত অবহেলিত? এই প্রশ্নের উত্তর আছে মোহাম্মদ ইসামের ফেইসবুক স্ট্যাটাসে, ইএসপিএনক্রিকইনফো'র বাংলাদেশ প্রতিনিধির পরামর্শ তথাকথিত ম্যাচ না খেলে নির্বাচকদের নজর কাড়তে হলে অনুশীলন করতে হবে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে।
জাকের আলি অনিক ইনিজুরিতে ডাক পেলেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। লিটন দাসের জ্বরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অভিষেক হল তার। এবার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ইনজুরিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের বাংলাদেশ দলে ডাকা হয়েছে শাহাদাত হোসেন দিপুকে। অথচ যার ডাক পাওয়ার কথা সেই অমিত হাসানের ডাক আসেনি এখনও।
দেশের লংগার ভার্সন ক্রিকেটে অঙ্কন ও দিপুর চেয়ে যোজনে যোজন এগিয়ে অমিত। বাংলাদেশ টেস্ট দল নির্বাচনে চলতি জাতীয় ক্রিকেট লিগের পারফরম্যান্স বিবেচনায় নিলে অমিত প্রথম পছন্দ হওয়ার কথা ছিল। যেখানে সিলেটের হয়ে প্রায় ৮০ কাছাকাছি গড়ে রান করেছেন ৪৬৬। একটি ডাবল সেঞ্চুরিও করেছেন খুলনার বিপক্ষে।
অন্যদিকে দিপুর প্রায় ২৭ গড়ে রান মাত্র ১৫৮। লিটনের পরিবর্তে জাতীয় দলে খেলা অঙ্কনও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অমিতের চেয়ে পিছিয়ে।
দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে ভাল করা ক্রিকেটারদের নিয়ে বিসিবি এইচপি ও ‘এ’ দল সাজায়। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে যারা ভাল করে তাদেরকে ওয়ানডে দলে অগ্রাধিকার দিয়েই দল সাজানো হয়। আর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে যারা ভাল করে তাদেরকে রাখা হয় চারদিনের ম্যাচে।
সর্বশেষে বিসিবি এইচপি দলের পারফরম্যান্সেও অমিত এই দুজনের চেয়ে এগিয়ে। অমিত বাংলাদেশ এইচপি দল ও ‘এ’ দলের হয়ে ৩১ গড়ে রান করেছেন ১৮৬। যেখানে পাকিস্তান শাহীন্স ও শ্রীলঙ্কা ইমার্জিং দলের বিপক্ষে যথাক্রমে ৭১ ও ৬৫, রয়েছে ২টি ফিফটি।
সেই তুলনায় অঙ্কন ও দিপু সুপার ফ্লপ। বাংলাদেশ এইচপি ও ‘এ’ দলের হয়ে দিপুর রান প্রায় ২২ গড়ে ১৪৯। নেই কোনো ফিফটি। আর অঙ্কনের গড়টা আরো কম। কোনো ফিফটি ছাড়া রান করেছেন মাত্র ১০২। গড়টা পড়ে আছে বিশের ঘরে।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট তথা দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করেও অমিত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচকদের নজর কাড়তে পারছেন না দেখে ফেইসবুকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ইএসপিএনক্রিকইনফো'র বাংলাদেশ প্রতিনিধি মোহাম্মদ ইসাম।
ইএসপিএনক্রিকইনফো'র বাংলাদেশ প্রতিনিধি অমিত ও দিপুর চলতি জাতীয় ক্রিকেট লিগের পরিসংখ্যান উল্লেখ্য করে ফেইসবুকে লিখেন, ‘সব ঘরোয়া ক্রিকেটারদের জন্য পরামর্শ: দয়া করে কেউ রান করা আর উইকেট শিকারকে আমলে নিবেন না। এখানে তুমি কী করছো এটা কোনো বিষয় নয়। এখানের পারফরম্যান্সে টেস্ট দলে ডাক আসবে না।’
ইসামের পরামর্শ দেশের তথাকথিত ঘরোয়া ক্রিকেটে না খেলে বরং মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুশীলন করেন। তাহলেই সব মনোযোগ তোমার দিকে থাকবে বলে মত ইসামের। ফেইসবুকে ইসাম লিখেন, ‘তোমার বরং মিরপুরে অনুশীলনে অধিক মনোযোগ দাও, যা তোমাকে তথাকথিত ম্যাচ খেলার চেয়ে নির্বাচকদের অধিক দৃষ্টি কাড়তে সহায়ক হবে।’
এদিক থেকে অমিত হয়তো একটু পিছিয়ে, জন্ম ও বেড়ে ওঠা নারায়ণগঞ্জে। জাতীয় ক্রিকেট লিগে খেলেন সিলেটের হয়ে। ঘরোয়া ক্রিকেটের ম্যাচ মিরপুরে না থাকলে অথবা বিসিবির কোনো ক্যাম্পে না থাকলে হয়তো বা মিরপুরে শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে তার তেমন একটা অনুশীলনের সুযোগ হয় না।
আর এদিকে খেলছেন সিলেটের হয়ে, যেখানে ভাল খেলেও সহজে আসা যায় না আলোচনায়। যেমনটা পেয়ে থাকেন ঢাকা বা খুলনা বিভাগীয় দলে খেলা খেলোয়াড়েরা। তাই পারফর্ম করেও অমিত জাতীয় দলে ডাক না পাওয়া প্রসঙ্গে রাজিন সালেহ বলেছিলেন, ‘সিলেটের হয়ে খেলায় হয়তো অতোটা ফোকাস পাচ্ছে না, ঢাকা বা খুলনার হয়ে খেললে হয়তো আলোচনাটা বেশি হতো।’