চট্টগ্রামকে বিদায় করে ফাইনালে যাবার পথে থাকল খুলনা
চট্টগ্রামকে বিদায় করে ফাইনালে যাবার পথে থাকল খুলনা
চট্টগ্রামকে বিদায় করে ফাইনালে যাবার পথে থাকল খুলনা
এনসিএল টি-টোয়েন্টির এলিমিনেটর ম্যাচে চট্রগ্রামকে ৭ উইকেটে পরাজিত করেছে খুলনা। খুলনার দেয়া ১৪৬ রানের জবাবে ১৩৯ এ থামে চট্রগ্রামের ইনিংস। ফাইনালে যেতে ঢাকা মেট্রো বনাম রংপুরের লড়াইয়ে পরাজিত দলের মুখোমুখি হবে খুলনা। সেই ম্যাচে জিতলে তবেই নিশ্চিত হবে ফাইনাল।
শনিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামে খুলনা। ৪ রানে আউট হয়ে এদিন ও ব্যর্থতার পরিচয় দেয় এনামুল হক বিজয়। যুব এশিয়া কাপ জয়ী অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম করেন ১৬ বলে ২০ রান। মোহাম্মদ মিঠুনন ১৬ ও ইমরুল কায়েস ১৭ রানে আউট হলে ৮৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে খুলনা।
তারপর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। তার ৩৯ বলে ৫২ রানে লড়াইয়ের পুঁজি পায় খুলনা। সোহানের ইনিংসে ছিলো ৬ টি চার ও ২ টি ছক্কা। আহমেদ শরিফের বোলিং তোপে শেষের দিকে দ্রুত উইকেট হারিয়ে ফেলে খুলনা। ইনিংসের ৩ বল বাকি থাকতেই ১৪৬ রানে অলআউট হয়ে যায় খুলনা।
চট্রগ্রামের হয়ে ৪ টি উইকেট শিকার করেন আহমেদ শরিফ। ৩ টি পান ফাহাদ হোসেন।
১৪৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে চট্রগ্রাম। দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ৮ ও সাদিকুর রহমান ফেরেন ১১ রানে। শাহদাত হোসেন দিপুর ১৪ বলে ২৩ রানের ঝড়ো ইনিংসে বিপদ কাটিয়ে উঠতে চেষ্টা করে চট্রগ্রাম।
তবে খুলনার বোলারদের আক্রমণে তা সম্ভব হয়নি। মাঝখানে ইয়াসির আলী রাব্বি ও নাইম হাসানের ৫৩ রানের জুটি চট্রগ্রামের জয়ের আশা জাগালেও মেহেদী হাসান রানার বলে রাব্বি ক্যাচ তুলে দিলে সে আশা নিভে যায়। ৩ চার, ২ ছয়ে ২৭ বলে ৩৭ রানের ইনিংস খেলে আউট হন রাব্বি।
জয়ের জন্য শেষ ওভারে চট্টগ্রামের দরকার ছিলো ২৪ রানের। আল আমিনকে প্রথম বলেই চার মারেন নাইম। দ্বিতীয় বলে ২ রান নিয়ে তৃতীয় বলে আবার চার। প্রথম ৩ বলে ১০ রান এলে পরের ৩ বলে প্রয়োজন হয় ১৪ রানের। চতুর্থ বল ডট হলে পঞ্চম বলে ছক্কা হাঁকান নাইম। শেষ বলে আসেনি রান। শেষ ওভারে ১৬ রান এলেও ৭ রানে ম্যাচ হারে চট্টগ্রাম। নাইম অপরাজিত থাকে ৩৪ রানে।
খুলনার হয়ে ২ টি করে উইকেট নেন মেহেদী হাসান রানা এবং মাসুম খান। ম্যাচে সেরা হন নুরুল হাসান সোহান।