আমি যেভাবে পরামর্শ দিয়েছি, সবাই মেনে নিয়েছে: অধিনায়ক মিরাজ
আমি যেভাবে পরামর্শ দিয়েছি, সবাই মেনে নিয়েছে: অধিনায়ক মিরাজ
আমি যেভাবে পরামর্শ দিয়েছি, সবাই মেনে নিয়েছে: অধিনায়ক মিরাজ
টানা ব্যর্থতার পর ১৫ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে টেস্ট জয়। এই সিরিজেই প্রথমবারের মতো টেস্ট অধিনায়কত্ব পেয়েছেন মিরাজ। তাই জয়টা মিরাজের কাছে অন্য সবার থেকে একটু বেশিই বিশেষ। ম্যাচ শেষে এমনটাই বললেন বাংলাদেশের অধিনায়ক।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে জয় মিরাজের জন্য একটা বড় পাওয়া জানিয়ে তিনি বলেন, "আলহামদুলিল্লাহ, খুবই ভালো লাগছে, প্রথম ম্যাচ হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচ জিতেছি, এটা অবশ্যই আমার জন্য বড় একটা অর্জন। যেহেতু আমি প্রথম অধিনায়কত্ব করছি, এটা আমার জন্য বড় একটা পাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে।"
চোটের কারণে নিয়মিত অধিনায়ক শান্ত না থাকায় অধিনায়কত্ব করেছেন মিরাজ। তবে এতে কোনো সমস্যা হয়নি তার। কারন যা পরামর্শ দিয়েছেন প্রত্যেকেই তা মেনে নিয়েছে। তাই জয়ের কৃতিত্ব সবাইকে দিয়ে মিরাজ বলেন,
"জয়ের কৃতিত্ব দিতে চাই সব খেলোয়াড়কে। আমি যেভাবে পরামর্শ দিয়েছি, সবাই মেনে নিয়েছে। কন্ডিশনটা সহজ ছিল না। সব খেলোয়াড়ের জন্যই অনেক কঠিন ছিল। সবাই মানসিকভাবে এমন ছিল যে ম্যাচটা জিততে হবে। সবাই চেয়েছিল মন থেকে ম্যাচটা জেতার জন্য। এর জন্যই আমরা ম্যাচটা জিততে পেরেছি।"
দ্বিতীয় ইনিংসে খেলোয়াড়দের অধিনায়ক হিসাবে কি বার্তা দিয়েছেন তা জানিয়ে মিরাজ বলেন, "আমি খেলোয়াড়দের একটা কথা বলেছি, এই উইকেটে ইতিবাচক চিন্তা ছাড়া খেললে অনেক কঠিন হবে। যেহেতু আমরা (প্রথম ইনিংসে) লিড পেয়েছি ১৮ রানের, এখানে রান করাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা জানি যে এই উইকেটে যদি আমরা ২৫০ রান করতে পারি, আমাদের জন্য ম্যাচটা জেতা সহজ হবে। বার্তাটা এই ছিল যে খেলোয়াড়েরা ইতিবাচক খেলবে।"
শাহাদাত হোসেনের দিপুর ব্যাপারে মিরাজ বলেছেন, "মুমিনুল অসুস্থ হওয়ার পর দলের সবাই বিমূঢ় হয়ে পড়েছিল। ওই জায়গায় (পজিশন) ব্যাটিং করাটা একটু কঠিন। কিন্তু দীপুকে (শাহাদাত) আমি বলেছিলাম, ও রাজি হয়েছে। ওকে আমি একটা কথা বলেছিলাম, এই উইকেটে তুমি ইতিবাচক খেলো। যদি মনে করো, প্রথম বলটাই মারার, তুমি প্রথম বলেই মারো। তোমাকে কেউ কিছু বলবে না। আমি তোমাকে অভয় দিলাম। ও সেভাবেই খেলেছে। ওর ২৮টা রান খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমিও চারে একই মানসিকতা নিয়ে খেলেছি। কারণ, এই উইকেটে রানটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। খেলোয়াড়দের প্রতি বার্তাটাই এটা ছিল, ১টা রানও খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রতিটি খেলোয়াড় যেন রানের জন্য ক্রিকেট খেলে। এর মানে এই না যে টেস্ট ক্রিকেট, ঠেকাব—আমরা এই পরিকল্পনায় খেলেছি।"