Image

শেষ ওভারের নাটকীয়তাই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৭ রানে হারাল বাংলাদেশ

৯৭ প্রতিবেদক:

প্রকাশ : 2 দিন আগেআপডেট: 1 সেকেন্ড আগে
শেষ ওভারের নাটকীয়তাই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৭ রানে হারাল বাংলাদেশ

শেষ ওভারের নাটকীয়তাই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৭ রানে হারাল বাংলাদেশ

শেষ ওভারের নাটকীয়তাই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৭ রানে হারাল বাংলাদেশ

১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবসের সকালে আরও একটি জয় পেল বাংলাদেশ। ওয়ানডে সিরিজের হোয়াইটওয়াশ ভুলে টি-টোয়েন্টিতে দারুণ কামব্যাক। সেন্ট ভিনসেন্টে প্রথম টি টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৪৮ রানের টার্গেট দিয়ে ৬১ রানে ৭ উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। শেখ মেহেদীর স্পিন ঝলকে শুরুতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চেপে ধরে টাইগাররা। তবে রোভম্যান পাওয়েল পাওয়ার হিটিং দেখিয়ে ম্যাচ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। শেষ পর্যন্ত ফিকে হয়ে যায় পাওয়েলের স্বপ্ন। ২০তম ওভারে হাসান মাহমুদ অ্যাকশনে এসে তুলে নেন পাওয়েলের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট, আলজারি জোসেফকে বোল্ড করে গুটিয়ে দেন উইন্ডিজকে। বাংলাদেশ পায় ৭ রানের রোমাঞ্চকর জয়। 

১৩ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোর্ডের অবস্থা ৭০/৭। ম্যাচ জিততে হলে বাকি ৭ ওভারে করতে হত ৭৮ রান, হাতে বাকি কেবল ৩ উইকেট। এমন অসম্ভব হয়ে যাওয়া ম্যাচও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে জেতানোর চেষ্টা করেন অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েল। যা শেষ অবদি সম্ভব হয়নি ২০তম ওভারে হাসান মাহমুদের দারুণ বোলিংয়ে। ভয়ংকর হয়ে উঠা পাওয়েল ও আলজারি জোসেফকে বিদায় করে ক্যারিবীয়দের ১৪০ রানে থামিয়ে দেন হাসান। আর তাতেই বাংলাদেশ ম্যাচ জিতে নিল ৭ রানে। সেই সঙ্গে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে লিটন দাসের দল এগিয়ে গেল ১-০ ব্যবধানে।

৪ ওভারের কোটা পূরণ করে স্রেফ ১৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট পান শেখ মেহেদী। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে যা তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগার। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে অবশ্য ইনিংসের শুরুতেই বিপাকে ফেলেন তাসকিন আহমেদ। এরপর পটাপট চার উইকেট তুলে নেন শেখ মেহেদী। 

সৌম্য সরকারের ৪৩ রানের পর জাকের আলি, শেখ মেহেদী ও শামীম হোসেনের ক্যামিওতে সেন্ট ভিনসেন্টের আর্নোস ভেল স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৪৮ রানের টার্গেট দেয় বাংলাদেশ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভার করতে এসে প্রথম বলেই উইকেট নিলেন তাসকিন আহমেদ। পরের ওভারে শেখ মেহেদীর বলে লিটন দাসের স্ট্যাম্পিং, ১ রানে ফিরলেন নিকোলাস পুরান।

জনসন চার্লসের পর শেখ মেহেদী বলে ক্যাচ আউট হয়ে ফিরলেন আন্দ্রে ফ্লেচারও। অপ্রতিরোধ্য শেখ মেহেদী ৪র্থ উইকেট হিসেবে নেন রোস্টন চেজকে। আর তাতেই ৩৮ রানেই ৫ উইকেট নেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের। মুহূর্তেই খাদের কিনারে চলে যায় স্বাগতিকরা। 

নিজের প্রথম ওভার করতে এসে জনসন চার্লসের কাছে ২৫ রান খরচ করা তানজিম হাসান সাকিব এবার পেয়েছেন উইকেটের দেখা। লিটন দাসের গ্লাভসে ক্যাচ বানান ৬ রানে থাকা গুদাকেশ মতিকে। এরপর রিশাদ হোসেনের শিকার আকিল হোসেন। দলীয় ৬১ রানে ৭ম উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। 

এরপর রোমারিও শেফার্ডকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন রোভম্যান পাওয়েল। রিশাদ, তাসকিনের দুই ওভারেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের করে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ইনিংসের ১৪তম ওভারে ১৫ রান খরচ করেন রিশাদ। পরের ওভারে তাসকিন আহমেদ দেন ২৩ রান। আর তাতেই সমীকরণ নেমে আসে ৩০ বলে ৪০ রানের। 

ব্যাট হাতে তান্ডব চালিয়ে মাত্র ২৮ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন রোভম্যান পাওয়েল। অধিনায়কোচিত দৃঢ়তায় ব্যাট হাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নিরাপদ লক্ষ্যে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টে করেন পাওয়েল। শেষ ১৮ বলে ২০ রান দরকার ওয়েস্ট ইন্ডিজের। বোলিংয়ে এসে প্রথম বলেই রোমারিও শেফার্ডকে ক্যাচ বানান তাসকিন। ১৮তম ওভারে মাত্র ২ রান খরচ করে দলকে গুরুত্বপূর্ণ ব্রেকথ্রু এনে দেন তাসকিন। 

জয়ের জন্য শেষ ওভারে ১০ রান দরকার ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। হাসান মাহমুদ মাত্র ২ রান খরচ করতেই তুলে নেন উইন্ডিজের বাকি ২ উইকেট। ক্যারিবীয়দের ১৪০ রানে থামিয়ে বাংলাদেশ ম্যাচ জিতে নিল ৭ রানে।

Details Bottom