জোনাথন-বেনেটের ব্যাটে জিম্বাবুয়ের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ
জোনাথন-বেনেটের ব্যাটে জিম্বাবুয়ের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ
জোনাথন-বেনেটের ব্যাটে জিম্বাবুয়ের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ
আজও চরমভাবে ব্যর্থ জিম্বাবুয়ের টপ অর্ডার। শুরুতে আউট হওয়া পাঁচ ব্যাটারের মধ্যে দুই রান সংগ্রহে দুই অংকের ঘর ছুঁয়েছেন কেবল দুইজন। তবে অভিষেকের রোমাঞ্চ সঙ্গী করে বাংলাদেশি বোলারদের উপর তাণ্ডব চালান অ্যালিস্টার ক্যাম্পবেল পুত্র জোনাথন। ফিফটির খুব কাছে থেকেও নামের পাশে লিখতে পারলেন না রেকর্ড। তবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক ম্যাচে তার ৪৫ রানই জিম্বাবুয়ের ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ। আর তাতেই জিম্বাবুয়ে পেয়েছে ১৩৮ রানের সংগ্রহ, শেষপর্যন্ত ৪৪ করে অপরাজিত ছিলেন ব্রায়ান বেনেট। জিম্বাবুইয়ানদের ইনিংসের সারাংশ প্রথম ম্যাচের মতোই; শুরুতে বিপর্যয়, এরপর ঘুরে দাঁড়িয়ে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ।
ইনিংসের শেষ ৩০ বলে ৫৭ রান তুলেছে জিম্বাবুয়ে দল। যার পুরোটাই ব্রায়ান বেনেট আর অভিষিক্ত জোনাথনের কল্যাণে। অভিষিক্ত জোনাথন ক্যাম্পবেল ৪৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে বিদায় নিলেও ২০ ওভার শেষ করে আসেন ব্রায়ান বেনেট। শেষপর্যন্ত তিনি অপরাজিত থাকেন ৪৪ রানে। যা আসে কেবল ২৯ বল থেকে, এদিন ব্রায়ান তার ইনিংস সাজান ৩ ছয় ও ২ চারে। সিরিজে ২-০'তে এগিয়ে যেতে হলে ১২০ বলে বাংলাদেশকে করতে হবে ১৩৯ রান।
আরও একবার টসে জিতে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বেছে নিলেন আগে বোলিং। ফের বিপর্যয়ে জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং লাইন। স্কোরবোর্ডে ৪২ রান ওঠতেই নেই তাদের পাঁচ উইকেট। তাসকিন, সাইফউদ্দিন, শেখ মেহেদী একটি করে উইকেট নিলেও রিশাদ হোসেন দখলে নেন জোড়া শিকার।
এরপর অবশ্য ইনিংসে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় জিম্বাবুয়ে। ব্রায়ান বেনেটকে নিয়ে অভিষিক্ত জোনাথন ক্যাম্পবেল ৭৩ রানের জুটি গড়েন, তাও কেবল ৪৩ বলে। ২৪ বলে ৪৫ রানের ক্যামিও ইনিংসে জোনাথন যখন প্যাভিলিয়নে ফেরত যান তখন জিম্বাবুয়ের রান ১১৫। ১৯৯৭ সালে জোনাথনের বাবা অ্যালিস্টার ক্যাম্পবেলেরও অভিষেক হয়েছিল এই বাংলাদেশের বিপক্ষেই। সে ম্যাচে তিনি অবশ্য ৩১ বলে করেছিলেন ২৯ রান। আজ তার ছেলে একই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অভিষেক ম্যাচে পেয়েছেন ৪৫ রান। দারুণ খেলতে থাকে জোনাথনকে অবশ্য আক্ষেপ নিয়েই ফিরতে হয় প্যাভিলিয়নে। শরিফুলের যে বলে ক্যাচ হয়েছেন, তা চালিয়েছেন বাউন্ডারির জন্যে।
পরের ওভারে লুক জঙ্গেকে ফিরিয়ে তাসকিন আহমেদ দখলে নেন নিজের দ্বিতীয় শিকার। উইকেটের এক প্রান্তে টিকে থাকা ব্রায়ান বেনেট শেষদিকে সঙ্গী হিসাবে পান অ্যান্সলে লোভুকে। তাকে নিয়েই শেষ করে আসেন ইনিংসের বাকি অংশ। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে জিম্বাবুয়ে করল ১৩৮ রান।