জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ও ১০৬ রানে হারাল বাংলাদেশ
- 1
ইয়ান বোথাম, ইমরান খান, কপিল দেবের পাশে মেহেদী হাসান মিরাজ
- 2
শ্রীলঙ্কাকে অনায়াসে হারিয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল জুনিয়র টাইগাররা
- 3
শ্রীলঙ্কাকে ২৮ ওভারে ১৯৮ রানের টার্গেট দিয়েছে বাংলাদেশ
- 4
মোহামেডানকে হারিয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন আবাহনী লিমিটেড
- 5
পাকিস্তান-বাংলাদেশ সিরিজের সূচি প্রকাশ, ফয়সালাবাদে ১৭ বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ও ১০৬ রানে হারাল বাংলাদেশ
জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ও ১০৬ রানে হারাল বাংলাদেশ
চট্টগ্রাম টেস্টে জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ও ১০৬ রানে হারিয়ে সিরিজে ১-১ সমতা আনল নাজমুল হোসেন শান্তর দল। ২০২৫ সালে এই প্রথম কোনো টেস্ট জিতল বাংলাদেশ। তৃতীয় দিনের শেষ বিকেলে তাইজুল-মিরাজদের স্পিন বিষে নীল হয়ে জিম্বাবুয়ে দলের ব্যাটিং লাইন আপ তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে। দুই ইনিংস মিলিয়ে জিম্বাবুয়ের ২০ উইকেটের ১৭টিই নেন স্পিনাররা। দেশের মাঠে টানা ৬ টেস্ট হারের পর অবশেষে জয়ের মুখ দেখল বাংলাদেশ।
চট্টগ্রামের নতুন নামকরণের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়ামের স্পিনবান্ধব উইকেটে তিন দিনেই টাইগারদের ফল মিলল হাতেনাতে—ইনিংস ব্যবধানে জয়! সেঞ্চুরির পর পাঁচ উইকেট শিকার করে বাংলাদেশের জয়ে নায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ।
বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস থেকে ২১৭ রানে পিছিয়ে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে নামতেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং লাইন আপ। মেহেদী হাসান মিরাজের দারুণ সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের ২১৭ রানের লিড। এরপর বল হাতে নেমেই তাইজুল ইসলাম দেখালেন ভেলকি। ৩ বল মধ্যে শিকার করলেন জিম্বাবুয়ের ২ উইকেট।
চা বিরতির পর নাঈম হাসান ভাঙেন শন উইলিয়ামসের প্রতিরোধ। ১৭ বলে ৭ রান করে ফেরেন উইলিয়ামস। এরপর ৮ বলের মধ্যে মিরাজের ৩ উইকেট শিকার। ২৫ রানে থাকা অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিনকে বোল্ড করে ওয়েসলি মাধেভেরে আর তাফাদজাওয়া সিগাকে ফেরান শূন্য রানে। ৬৯ থেকে দলীয় ৭৩ রানে পৌঁছাতে গিয়ে জিম্বাবুয়ে হারায় ৪ উইকেট।
তবে সেট হয়ে যাওয়া বেন কারেন এরপর সঙ্গী হিসেবে পান ওয়েলিংটন মাসাকাদজাকে। তবে অহেতুক শট খেলতে গিয়ে মাসাকাদজা ক্যাচ দিয়ে মিরাজের ৪র্থ শিকার হন। মিরাজ পরের ওভারে এসে বেন কারেনকে বিদায় করে দখলে নেন ফাইফার। টেস্টে এ নিয়ে ১৩তম বার পাঁচ উইকেট শিকারের রেকর্ড গড়লেন মিরাজ।
অবশেষে তাইজুল ইসলাম পেলেন তার তৃতীয় উইকেটের দেখা। রিচার্ড এনগারাভা বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে হাসান মাহমুদের কাছে হলেন ক্যাচ। শেষ ব্যাটার ভিনসেন্ট মাসেকিসাকে রান আউট করে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করলেন মুমিনুল হক। নিজেদের ২য় ইনিংসে জিম্বাবুয়ে মাত্র ১১১ রানে গুঁটিয়ে গেলে বাংলাদেশ ইনিংস ও ১০৬ রানে জয়ী।