লিটনকে শুধু তার মতো থাকতে দেওয়া উচিত: পোথাস

৯৭ প্রতিবেদক:

প্রকাশ : 1 মাস আগে আপডেট: 1 সেকেন্ড আগে
লিটনকে শুধু তার মতো থাকতে দেওয়া উচিত: পোথাস

লিটনকে শুধু তার মতো থাকতে দেওয়া উচিত: পোথাস

লিটনকে শুধু তার মতো থাকতে দেওয়া উচিত: পোথাস

ব্যাটিং ব্যর্থতায় টাইগাররা বাজে হারের স্বাদ পেয়েছে সিলেটে। কাল থেকে শুরু চট্টগ্রাম টেস্ট, আগের দিন অফিসিয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসে শিষ্যদের আগলে রাখলেন জাতীয় দলের ভারপ্রাপ্ত হেড কোচ নিক পোথাস। জাকির-জয় ওপেনিংয়ে টানা ব্যর্থ হচ্ছেন; এমন প্রশ্ন পোথাসের কাছে যেতেই বলে ওঠলেন, ‘আপনি বলছেন এখনও তাদের ভালো পার্টনারশিপ আসেনি? কে জানে, সামনের ম্যাচেই ওরা আপনাকে অবাক করে দিতে পারে...’।

নিয়মিত হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে জরুরি কাজে গেলেন অস্ট্রেলিয়ায় পরিবারের কাছে। হাথুরুর অনুপুস্থিতিতে কোচের দায়িত্ব ওঠল নিক পোথাসের কাঁধে। কাল থেকে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরু হচ্ছে সিরিজের শেষ টেস্ট। এর আগে আজ সংবাদ সম্মেলনে এসে দলের ব্যাটারদের পক্ষেই সব কথা বলে গেলেন নিক পোথাস। 

ব্যাট হাতে অনেকদিন ধরেই ব্যর্থতার বৃত্তে লিটন দাস। বিশেষ করে চলমান এই শ্রীলঙ্কা সিরিজে যেন লিটনের ব্যাট রান করতেই ভুলে গেছে। তবুও লিটনের হয়েই কথা বলে গেলেন নিক পোথাস। জানালেন, মানসিকভাবে এখন কেমন আছেন লিটন।  

‘হ্যাঁ, আমাদের কথা হয়েছে। লিটন ভালো অবস্থায় আছে। ঝামেলাটা হচ্ছে লিটনের ওপর চাপটা বাইরে থেকে আসছে। আমার মনে হয় লিটনকে শুধু ওর মতো থাকতে দেওয়া উচিত। এরপর ও তার সেরাটা দেখিয়ে দেবে।’ 

‘যদি আমরা মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওর পেছনে লেগে থাকি, তাহলে হবে না। আমরা ভুলে যাই এই ছেলেরা ক্রিকেট খেলে বা তাদের টিভিতে দেখায় বলে; যে ওরাও মানুষ। এজন্য যদি আমরা তাদের মানুষের মতোই দেখি, আর তাকে তার সেরাটা দেওয়ার সুযোগ দেই; আমি নিশ্চিত সে আপনাদের রেজাল্ট দেখিয়ে দেবে।’

শুধু লিটনই নন, সিলেটে প্রথম টেস্টে ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশের পুরো ব্যাটিং ইউনিটই। ১৮৮ ও ১৮২ রানে অলআউট হয়েছেন দুই ইনিংসে। মুমিনুল হক ছাড়া আর কেউ হাফ সেঞ্চুরিও করতে পারেননি। এমন ব্যাটিংয়ের পেছনে অনভিজ্ঞতাকে কারণ হিসেবে বলছেন পোথাস।

‘আমার মনে হয় আমরা আসল ব্যাপারটাই ভুলে যাচ্ছি যে আমাদের খুবই তরুণ ও অনভিজ্ঞ একটা দল। এর আগে অনেক এলিটদের একটা দল ছিল। এখন আমাদের আবার তৈরি করতে হচ্ছে। আমরা একটা ব্যাপারেই সবাইকে অনুরোধ করবো- ধৈর্য ধরুন।’

‘ওরা খুব খুব ভালো তরুণ, কিন্তু তারা তরুণ খেলছে এমন একটা দলের বিপক্ষে যারা অভিজ্ঞ। শেখার জন্য তাদের সময় লাগবে। আমরা আমাদের বাচ্চাদের কাছেও আলাদা কিছু প্রত্যাশা করি না। আমরা তাদের নতুন একটা পরিবেশে দিয়ে এটা আশা করি না তারা ওটার এক্সপার্ট হয়ে যাবে। এজন্যই ওরা স্কুলে যায়। এই দলটা অসাধারণ, এখন না করে দুই বছর তাদের বিচার করুণ।’