লক্ষ্ণৌর সাথে ছেলেখেলা করল হায়দ্রাবাদ
লক্ষ্ণৌর সাথে ছেলেখেলা করল হায়দ্রাবাদ
লক্ষ্ণৌর সাথে ছেলেখেলা করল হায়দ্রাবাদ
লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে দাপুটে জয় তুলে নিল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। কোনো উইকেট না হারিয়ে, ৬২ বল হাতে রেখে ১৬৬ রানের লক্ষ্যমাত্রা ভেদ করে হায়দ্রাবাদ। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৬৫ রানে থেমেছিল লক্ষ্ণৌ। হায়দ্রাবাদের পক্ষে ট্রাভিস হেড এবং অভিষেক শর্মা পুরো দৃশ্যপট বদলে দিয়েছে।
লক্ষ্ণৌ এর বোলারদের মাঠ ছাড়া করার প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল যেন। টুর্নামেন্ট-জুড়ে হায়দ্রাবাদ নিজেরা আছে দলীয় সংগ্রহ কতটা বেশি করা যায়, সেই প্রতিযোগিতায়। সেখানে বুধবার রাতের ম্যাচে তা আলাদা উত্তাপ যুক্ত করে।
একজন অস্ট্রেলিয়ান, একজন ভারতীয়– এই ওপেনিং জুটির উপর ভরসা হায়দ্রাবাদের। হেড ও অভিষেক মিলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন। জেতা তো যায় অনেকভাবেই। কিন্তু তারা যেন পণ করে নেমেছেন খুব অল্প সময়েই জিততে হবে। তাই বলে মাত্র ৯. ৪ ওভারে! অবিশ্বাস্য কোনো অংশে কম নয়।
লক্ষ্ণৌ বোলাররা কেউ কারও চেয়ে কম রান খরচ করেননি। ম্যাচ শেষে দেখা যায়, অভিষেক ব্যাটিং করেছেন ২৬৭.৮৫ স্ট্রাইক রেটে। ৬ টি ছয়, ৮ টি চারে ২৮ বলে ৭৫ রান সংগ্রহ করেন তিনি। হেড ছিলেন আরও এক ধাপ এগিয়ে। ২৯৬.৬৬ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করে এই অজি সংগ্রহ করেন ৩০ বলে ৮৯ রান। যেখানে ৮ টি ছক্কা, ৮ টি চারের মার ছিল।
এর আগে লক্ষ্ণৌ ব্যাটাররা ভুগেছে শুরুতে। টসে জিতে হায়দ্রাবাদের মাটিতে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ২১ রানে কুইন্টন ডি কক এবং মার্কাস স্টইনিসকে হারায় দলটি। অধিনায়ক লোকেশ রাহুল চেষ্টা করলেও, তা যুতসই হয়নি। ৩৩ বলে ২৯ রানের ইনিংস শেষ হয়েছে প্যাট কামিন্সের ডেলিভারিতে।
ক্রুনাল পান্ডিয়া যখন রান আউট হয়ে ফিরলেন, তখন দলীয় ৬৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসেছে হায়দ্রাবাদ। চলছিল ১২তম ওভারের খেলা। সেখান থেকে নিকোলাস পুরান এবং আইয়ুশ বাদোনি মিলে দলকে সম্মানজনক জায়গায় নিয়ে যায়।
পুরান ও বাদোনি দুজনেই অপরাজিত ছিলেন। যেখানে ২৬ বলে ৪৮ রানের ইনিংস ছিল পুরানের। বাদোনি খেলেছেন ৩০ বলে ৫৫ রানের ইনিংস।
সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের পক্ষে ভুবনেশ্বর কুমার ২ টি উইকেট সংগ্রহ করেন।