এক যোদ্ধার ফেরার গল্প...

এক যোদ্ধার ফেরার গল্প...
এক যোদ্ধার ফেরার গল্প...
লম্বা ছয় মাসের বিরতি। মাঠের বাইরের নানা জটিলতা, ব্যক্তিগত চ্যালেঞ্জ আর ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা—সবকিছুর ছায়া পেরিয়ে আবারও বল হাতে মাঠে দেখা গেল সাকিব আল হাসানকে। পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) চলতি আসরেই দেখা মিলেছে তার প্রত্যাবর্তনের, যা শুধু আরেকটি ম্যাচে খেলা নয়—বরং এক যোদ্ধার ফেরার গল্প।
প্রথম ম্যাচে নিজেকে মেলে ধরতে না পারলেও দ্বিতীয় ম্যাচেই পুরোনো রূপে দেখা দিলেন সাকিব। বল হাতে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের পাশাপাশি তুলে নিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ উইকেটও। যেন বলছিলেন, “আমি এখনো আছি।”
তবে এই ফেরা সহজ ছিল না। বোলিং অ্যাকশন নিয়ে নিষেধাজ্ঞা, পরপর দুই দফা পরীক্ষায় ব্যর্থতা এবং রাজনৈতিক টানাপোড়েনে দেশ ছেড়ে থাকতে বাধ্য হওয়া—সব মিলিয়ে কঠিন সময়ের মধ্য দিয়েই এগিয়ে যেতে হয়েছে তাকে। জাতীয় দলে নিজের জায়গা নিয়েও তৈরি হয়েছে নতুন প্রশ্ন।
এই সবকিছুর পরও যখন আবার মাঠে নামলেন, সেটি ছিল তার জন্য এক ধরনের স্বস্তি ও উত্তেজনার মিলন। নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে পাকিস্তানের জিও নিউজকে সাকিব বলেন, "যখন আপনি লম্বা সময় পর ক্রিকেটে ফিরবেন, আপনি অবশ্যই উচ্ছ্বসিত থাকবেন। এর পাশাপাশি আপনার শরীর কেমন সাড়া দিচ্ছে সেটাও দেখতে হবে। অনেকদিন পর খেলা কিছুটা ভিন্ন, কিন্তু এটা আমার জন্য ভালো হয়েছে। লাহোর কালান্দার্সের ম্যাচগুলো অবশ্যই আমার জন্য ভালো হবে।"
পিএসএলের পরিবেশও সাকিবের কাছে বরাবরই ইতিবাচক। আগের অভিজ্ঞতার কথা টেনে তিনি বলেন, "আমি এর আগেও পিএসএল খেলেছি এবং এটা সবসময়ই বেশ ভালো ছিল। যতবারই আমি পিএসএল খেলতে এসেছি, প্রত্যেকবারই অভিজ্ঞতা দারুণ ছিল। পাকিস্তান সুপার লিগ অনেক উন্নতি করেছে গত ১০ বছরে।"
সাকিবের এই প্রত্যাবর্তন হয়তো পরিসংখ্যানে বিশাল কিছু নয়, তবে আত্মবিশ্বাস, মানসিক দৃঢ়তা এবং এক কঠিন সময়কে পেছনে ফেলে ফেরার সাহসিকতা—এগুলোর প্রতিচ্ছবি স্পষ্ট। এখন দেখার পালা, পিএসএলের পরবর্তী ম্যাচগুলোয় তিনি কতটা ছাপ রাখতে পারেন।