চিটাগং কিংসকে হারিয়ে বিপিএল ফাইনালে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল
চিটাগং কিংসকে হারিয়ে বিপিএল ফাইনালে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল
চিটাগং কিংসকে হারিয়ে বিপিএল ফাইনালে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল
কাইল মায়ের্সের দারুণ বোলিং, মোহাম্মদ আলির ফাইফারের পর ওপেনার তাওহীদ হৃদয়ের ফিফটিতে টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিপিএল ফাইনালে ফরচুন বরিশাল। এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো ফাইনালের মঞ্চে বরিশাল। বোলারদের দাপটে অর্ধেক কাজ প্রথম ইনিংসেই শেষ করে ফেলেছিল ফরচুন বরিশাল। পরাজিত দল চিটাগং অবশ্য আরেকটি সুযোগ পাবে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে খেলে শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে ওঠার। তাওহীদ হৃদয় ৮২ রানের অপরাজিত ইনিংসে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়লেও ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতলেন পাঁচ উইকেট পাওয়া মোহাম্মদ আলি।
চিটাগং কিংসের ১৪৯ রান টপকে ১৬ বল বাকি থাকতেই ৯ উইকেটের জয় তুলে নিয়ে পঞ্চমবারের মতো বিপিএলের ফাইনালে উঠে গেছে তামিম ইকবালের দল বরিশাল। ৯৫ রানের হার-না-মানা জুটিতে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন ওপেনার তাওহীদ হৃদয় ও ডেভিড মালান।
চিটাগং কিংসকে ৯ উইকেটে হারিয়ে ১১তম বিপিএলের ফাইনালে উঠেছে তামিম ইকবালের দল। ১২ ম্যাচে ৯ জয় নিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থেকে কোয়ালিফায়ারে আসে বরিশাল। এবার সহজ জয়ে নিশ্চিত করল ফাইনালের টিকিটও।
শামীম হোসেন পাটোয়ারির ৭৯ রানের ইনিংসের পরও মাঝারি পুঁজি গড়ে চিটাগং কিংস। ফাইনালে যাওয়ার মিশনে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রানে থামে চিটাগং কিংসের ইনিংস। আউট হওয়া ৯ ব্যাটারের মধ্যে শামীম ছাড়া দুই অংকের রানে পৌঁছাতে পারেন কেবল ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন।
চিটাগংয়ের স্কোরবোর্ডের দিকে তাকালে ঘুরেফিরে শামীমের ইনিংসেই চোখে পড়ে। দলটির সংগ্রহ করা রানের অর্ধেকের বেশি শামীম পাটোয়ারির একার। ধ্বংসস্তূপ থেকে তিনি দলকে টেনে তুললেন ৩৬০ ডিগ্রি ব্যাটিংয়ের অবিশ্বাস্য প্রদর্শনীতে। মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম প্রথম কোয়ালিফায়ার ছিল কম রানের। আগে ব্যাট করে কেবল ১৪৯ রান করেছিল চিটাগং কিংস।
ওই রান তাড়ায় নেমে ওপেনিং জুটিতেই বরিশালের স্কোরবোর্ডে ৫৫। তামিম ইকবালের বিদায়ে ভাঙে জুটি। ২৬ বল খেলা বরিশাল ক্যাপ্টেন ধীরগতির ব্যাটিংয়ে রান পেয়েছেন কেবল ২৯। তিনে নামা ডেভিড মালান এরপর তাওহীদ হৃদয়ের সঙ্গী হন। ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৪৫ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন হৃদয়। যা তার বিপিএল ক্যারিয়ারের ৮ম ফিফটি।
হৃদয় আর মালানকে কোনো বিপদেই ফেলতে পারেনি কিংসের বোলাররা। ১৬ বল আগেই দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন তাওহীদ হৃদয়। ফিফটি হাঁকিয়ে ৮২ রানে অপরাজিত থাকেন হৃদয়। ৫৬ বলে ৯ চার ও ২ ছক্কায় সাজান অনবদ্য এই ইনিংস। তিনে নামা ডেভিড মালানের ব্যাট থেকে আসে ২২ বলে ৩৪ রানের ক্যামিও। জয় নিশ্চিত হওয়ার পর ডেভিড মালানের সঙ্গে তাওহীদ হৃদয়ের উদ্যাপন...