ঘরের মাঠে সিলেট স্ট্রাইকার্সের টানা দুই জয়
ঘরের মাঠে সিলেট স্ট্রাইকার্সের টানা দুই জয়
ঘরের মাঠে সিলেট স্ট্রাইকার্সের টানা দুই জয়
টানা তিন হারের পর অবশেষে ব্যাক টু ব্যাক জয়ের স্বাদ পেল সিলেট স্ট্রাইকার্স। সিলেটের ২০ রানের জয়ের দিনে টানা দুই ম্যাচ হারের হতাশায় ডুবল মেহেদী হাসান মিরাজের খুলনা টাইগার্স। শেষ ওভারের রোমাঞ্চে ৮ রানে জিতল আরিফুল হকের সিলেট।
ক্রেজি হোম ক্রাউডের সামনে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫ উইকেটে ১৮২ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায় সিলেট স্ট্রাইকার্স। ওপেনার রাহকিম কর্নওয়াল ও তিনে নামা জর্জ মানসি ব্যর্থ হলেও সিলেটকে স্বস্তি দেন রনি তালুকদার, জাকির হাসান। ওপেনার রনি অবশ্য ফিফটি হাঁকিয়ে বিদায় নেন ব্যক্তিগত ৫৬ রানে।
তবে জাকির হাসানের উইকেট তুলে নিতে পারেনি খুলনার বোলাররা। ২৯ বলে পঞ্চাশ পূর্ণ করে জাকির শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন। ৬ ছক্কা ও ৩ বাউন্ডারিতে ৪৬ বলে খেলেন ৭৫ রানের হার-না-মানা ইনিংস। মাঝে অ্যারন জোন্সের ব্যাট থেকে আসে ৬ বলে ২০ রানের ক্যামিও। দেশি খেলোয়াড়দের ব্যাটিং দাপটের দিনে অবশ্য গোল্ডেন ডাকের স্বাদ পান জাকের আলি অনিক।
অধিনায়ক আরিফুল হক শেষ বেলায় ১৩ বলে করেন ২১ রান। আর তাতেই ১৮২ রানের সংগ্রহ পেয়ে যায় খুলনা। খুলনার হয়ে বল হাতে এদিন জোড়া উইকেট শিকার করেন আবু হায়দার রনি ও জিয়াউর রহমান।
বড় লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ইনিংসের শুরুতে মোহাম্মদ নাইম, ইমরুল কায়েসকে হারিয়ে বিপাকে পড়ে খুলনা টাইগার্স। নাইম শেখ ৯ বলে ১১ করতে পারলেও ইমরুল কায়েস উইকেট হারান কেবল ২ রানে। এরপর রিস টপলির বলে ফিরতি ক্যাচ তুলে ফেরা খুলনার আফগান ব্যাটার দারউইশ রাসুলির ব্যাট থেকে আসে ১৫ রান।
অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের বিদায়ে আরও বিপাকে পড়ে দলটি। ১৪ বল খেলা মিরাজ ১৫ রানের বেশি করতে পারেননি। তবে ১৮ বলে ৩৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে দলকে জয়ের পথে রাখার চেষ্টা করেন মোহাম্মদ নওয়াজ। অপর প্রান্তে অবশ্য মাহিদুল ইসলাম অংকন নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টাটা করে যান।
জয়ের জন্য শেষ ৬ বলে ১৯ রান দরকার ছিল খুলনা টাইগার্সের। স্ট্রাইকে থাকা মাহিদুল ইসলাম ১৬ বলে ২৮ করে রান আউটের ফাঁদে পড়ে ৮ রানে ম্যাচ জিতে যায় সিলেট স্ট্রাইকার্স। ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রানে থামে খুলনা টাইগার্সের ইনিংস।