সহজ সুযোগ পেয়েও ব্যর্থ হয়েছেন রিয়াদ, হতাশ হয়েছেন ওমরজাইও
সহজ সুযোগ পেয়েও ব্যর্থ হয়েছেন রিয়াদ, হতাশ হয়েছেন ওমরজাইও
সহজ সুযোগ পেয়েও ব্যর্থ হয়েছেন রিয়াদ, হতাশ হয়েছেন ওমরজাইও
সেঞ্চুরির খুব কাছে গিয়েও পারলেন না মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, ইনিংসের শেষ বলে ৯৮ করে রান-আউট। ৯৭ থেকে একশো ছুঁতে রিয়াদের হাতে ছিল কেবল ইনিংসের ১ বল, দরকার ৩ রান। কিন্তু বাউন্ডারি হাঁকাতে ব্যর্থ হয়ে নামের পাশে ৯৮ নিয়ে ফেরত যান প্যাভিলিয়নে। রিয়াদের ২ রানের আক্ষেপ দেখে ক্যারিয়ারের প্রথম ফাইফার ছোঁয়ার যন্ত্রণা অবশ্য কিছুটা হলেও কমাতে পারলেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই।
পঞ্চম উইকেটে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে ১৪৫ রানের জুটি গড়ে মিরাজ যখন আউট হন ব্যক্তিগত ৬৬ রানে, তখনও বাকি ইনিংসের ৪ ওভার। ৮৪ বলে ৮২ রানে থাকা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ইনিংসের শেষ বলে রান-আউটে থামেন ৯৮ করে, খেলেছেন রানের সমান ৯৮ বল। আক্ষেপ নিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরা রিয়াদ ৮২ থেকে ৯৮ পর্যন্ত যেতে শেষের ১৪ বলে করেছেন ১৬ রান।
এক বছরেরও বেশি সময় পর সেঞ্চুরির উদযাপনে মাতার সহজ সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ। একটি মাত্র বাউন্ডারির জন্য রিয়াদের পাওয়া হল না ওয়ানডে ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরির দেখা। এই সিরিজে আগের দুই ম্যাচে যথাক্রমে ২ ও ৩ রানে আউট হওয়া রিয়াদই আজ দলের সংগ্রহ টেনে নিয়ে গেলেন ২৪৪ রানে। দলের বিপর্যয়ে দাঁড়িয়ে নিজেকে প্রমাণ করলেন।
রিয়াদের আক্ষেপের মুহূর্তে হতাশ হয়েছেন আফগান পেসার আজমতউল্লাহ ওমরজাইও। নাসুম আহমেদকে বোল্ড করে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগারে পৌঁছানো ওমরজাই ফাই-ফার ছোঁয়ার কেবল ১ উইকেট দূরত্বে ছিলেন। তবে ইনিংসের শেষ বলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আউট হলেও পাঁচ উইকেট পাওয়া হয়নি ওমরজাইয়ের।
ওপেনিংয়ে দারুণ শুরুর পর আরও একবার বাংলাদেশের ব্যাটিং বিপর্যয়। তবে এবার আর অল্পতে গুটিয়ে যেতে হয়নি। ৭২ রান করতেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসা বাংলাদেশকে এরপর রীতিমতো স্বস্তি এনে দেন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ। এই দুইয়ের ১৪৫ রানের অনবদ্য জুটিতে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহের পথ খুঁজে পায় বাংলাদেশ। আর তাতেই বাংলাদেশের রান ২৪৪।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৬৮ রানের রোমাঞ্চকর জয় পাওয়া বাংলাদেশ এই ম্যাচ জিততে পারলেই জিতে যাবে সিরিজ। তা না হলে, এক প্রতিপক্ষের বিপক্ষে টানা দু'টি ওয়ানডে সিরিজ হারের তিক্ত স্বাদ পাবে। ওয়ানডেতে শেষবার ২০২৩ সালে ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের কাছে ২-১ ব্যবধানে হেরেছিল বাংলাদেশ।