ভারতকে হতাশায় ডুবিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার রোমাঞ্চকর জয়
ভারতকে হতাশায় ডুবিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার রোমাঞ্চকর জয়
ভারতকে হতাশায় ডুবিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার রোমাঞ্চকর জয়
সেন্ট জর্জ পার্কে লো-স্কোরিং রোমাঞ্চে শেষ হাসি দক্ষিণ আফ্রিকার। বরুণ চক্রবর্তীর ফাইফার ম্লান করে প্রোটিয়াদের ৩ উইকেটের জয় এনে দিলেন ট্রিস্টান স্টাবস ও জেরাল্ড কোয়েটজি। ৪৭ রানের হার-না-মানা ইনিংসে স্টাবস শুধু দলকেই জেতাননি, সিরিজ আনলেন ১-১ সমতায়।
ভারতের দেওয়া ১২৫ রানের টার্গেট টপকাতে দক্ষিণ আফ্রিকার লাগে কেবল ১৯ ওভার। স্পিনারদের দাপট দেখানোর দিনে ভারতীয় পেসাররা ১০ ওভারে খরচ করেন ৮৬ রান। যেখানে ৯ ওভার স্পিন সামলে প্রোটিয়া ব্যাটাররা করতে পারে কেবল ৪, হারায় ৬ উইকেট। মাত্র ২০ বল খেলে স্টাবস-কোয়েটজির ৪২ রানের জুটি, তাতেই স্বাগতিকের রোমাঞ্চকর জয় নিশ্চিত।
টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ভারত করতে পারে কেবল ১২৪। সহজ লক্ষ্য তাড়ায় নেমে বরুণ চক্রবর্তীর স্পিন ঘূর্ণিতে ৬৬ রান করতেই ৬ উইকেট নেই দক্ষিণ আফ্রিকার। এমন ম্যাচও শেষপর্যন্ত ৩ উইকেটে জিতেছে স্বাগতিকরা।
১২.২ ওভারে ৬৬ রানে দক্ষিণ আফ্রিকা হারায় তাদের ৬ষ্ঠ উইকেট। ততক্ষণে ফাইফার পূর্ণ করে ফেলেন বরুণ চক্রবর্তী। উইকেটের এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে হেনড্রিক্স, জানসেন, ক্লাসেন, মিলারের বিদায় দেখছিলেন ট্রিস্টান স্টাবস। এরপর বাকি কাজটা সারেন একাই, শেষদিকে অবশ্য জেরাল্ড কোয়েটজির ক্যামিওতে সহজ হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের বাকি পথ।
স্টাবসের ৪১ বলের ইনিংসে ৭ চারে রান আসে ৪৭। অষ্টম উইকেট জুটিতে কোয়েটজিকে নিয়ে গড়েন ৪২ রানের ম্যাচজয়ী পার্টনারশিপ। আর তাতেই এক ওভার হাতে রেখে ৩ উইকেটের জয় নিশ্চিত দক্ষিণ আফ্রিকার। ৯ বলে ১৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন কোয়েটজি।
৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান খরচায় ৫ উইকেট দখলে নেন বরুণ চক্রবর্তী। ১ উইকেট পাওয়া রবি বিষ্ণোই রান দিয়েছেন ২১। তবে পেসারদের ব্যর্থতায় ম্যাচ হারতে হয় ভারতকে। ৪ ওভারে আর্শদ্বীপ রান দেন সর্বোচ্চ ৪১। আবেশ খান, হার্দিক পান্ডিয়া যথাক্রমে ৩টি করে ওভার করলেও থাকেন উইকেটশূন্য।
এর আগে ভারতের ব্যাটিং ইনিংসে ব্যর্থ হন টপ অর্ডার। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান স্যাঞ্জু স্যামসন আজ পেয়েছেন ডাকের স্বাদ। আরেক ওপেনার অভিষেক শর্মা করতে পারেন কেবল ৪। তিনে নামা অধিনায়ক সুরিয়াকুমার যাদবের ব্যাট থেকে আসে সমান ৪ রান। ৪ ওভারে ১৫ রান করতেই নেই ভারতের ৩ উইকেট।
মাঝে অবশ্য তিলক বার্মা ২০, আক্সার প্যাটেল খেলেন ২৭ রানের ইনিংস। বাউন্ডারিবিহীন ১১ বলের ইনিংসে রিংকু সিং পেয়েছেন ৯ রান। তবে হার্দিক পান্ডিয়া শেষ অবদি লড়াই চালিয়ে দলের সংগ্রহ শতরান টপকে দেন। হার্দিক ৩৯ রানে অপরাজিত থাকেন। ৬ উইকেট হারিয়ে ভারত করতে পারে ১২৪।