জিম্বাবুয়ের বোলিংয়ের সামনে আফগানিস্তান অলআউট ১৫৭ রানে
জিম্বাবুয়ের বোলিংয়ের সামনে আফগানিস্তান অলআউট ১৫৭ রানে
জিম্বাবুয়ের বোলিংয়ের সামনে আফগানিস্তান অলআউট ১৫৭ রানে
বুলাওয়েতে নিউ ইয়ার টেস্টের শুরুর দিনেই জিম্বাবুয়ে দেখাল আধিপত্য। প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়ে তারা আফগানিস্তানকে ১৫৭ রানেই অলআউট করে দিয়েছে। দুই দলের ব্যাটিং দাপটে সিরিজের প্রথম টেস্ট ড্র হলেও দ্বিতীয় টেস্টে এগিয়ে জিম্বাবুয়ে।
আফগানিস্তানকে অলআউট করতে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ের বোলারদের লাগল কেবল ৪৪.৩ ওভার। ধুঁকতে -ধুঁকতে সফরকারীরা গুটিয়ে গেছে মাত্র ১৫৭ রানে। আফগানদের কেউই ২৫ রানের ঘর পেরিয়ে যেতে পারেননি, যদিও তাদের আটজন দুই অংকের রানে পৌঁছায়।
বৃষ্টি ও ভেজা আউটফিল্ডের কারণে কুইন্স স্পোর্টস ক্লাবে খেলা শুরু হয় প্রায় চার ঘণ্টা দেরিতে। এরপর টস জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন। মুহূর্তেই অধিনায়কের সিদ্ধান্তের সঠিক প্রমাণ করে দেন বোলাররা। আফগান ব্যাটারদের বড় ইনিংস খেলার কোনোপ্রকার সুযোগই দেয়নি স্বাগতিকরা।
আফগানিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ২৫ রানের ইনিংস খেলেন রাশিদ খান। ৮ নম্বরে নামা ২০ বলে ২৫ রান করতেই শিকার হন ব্লেসিং মুজারাবানির। অভিষেক টেস্ট খেলতে নামা ওপেনার রিয়াজ হাসানের ব্যাট থেকে আসে ১২ রান। আরেক ওপেনার আব্দুল মালিক করেন ১৭। আগের টেস্টের দুই ডাবল সেঞ্চুরিয়ান রহমত শাহ এবার সিকান্দার রাজার ডেলিভারিতে বোল্ড হন ব্যক্তিগত ১৯ রানে।
অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদিও হয়েছেন ব্যর্থ। ৩০ বলের ইনিংসে রান করতে পারেন কেবল ১৩। আরেক অভিষিক্ত, অলরাউন্ডার ইসমাত আলম আউট হয়েছেন শূন্য রানে। প্রায় চার বছর পর টেস্ট খেলতে নেমে রাশিদ খানই খেললেন সর্বোচ্চ ইনিংস। শেষ পর্যন্ত ৪৪.৩ ওভারে ১৫৭ রানে থামে আফগানিস্তানের প্রথম ইনিংস।
বল হাতে জিম্বাবুয়ের হয়ে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন সিকান্দার রাজা ও নিউম্যান নিয়ামহুরি। ব্লেসিং মুজারাবানি পান ২ উইকেট। এছাড়া রিচার্ড এনগারাভার শিকার ১ উইকেট।