সেঞ্চুরি করেও ঢাকাকে জেতাতে পারলেন না থিসারা পেরেরা
সেঞ্চুরি করেও ঢাকাকে জেতাতে পারলেন না থিসারা পেরেরা
সেঞ্চুরি করেও ঢাকাকে জেতাতে পারলেন না থিসারা পেরেরা
২০২৫ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) শুরুতে রীতিমতো উড়ছে খুলনা টাইগার্স। ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং সব বিভাগেই দারুণ জ্বলে উঠছে তারা। ঢাকায় প্রথম পর্বের শেষ ম্যাচে ঢাকা ক্যাপিটালসকে হারিয়ে দিয়েছে দলটি। মেহেদী হাসান মিরাজদের ব্যাক টু ব্যাক জয়ের রাতে হ্যাটট্রিক হারের স্বাদ পেল ঢাকা। দলের পরাজয়ে ম্লান থিসারা পেরেরার সেঞ্চুরি।
মিরপুর হোম অব ক্রিকেটে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ঢাকা ক্যাপিটালসকে ২০ রানে হারিয়েছে খুলনা টাইগার্স। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৭৩ রান করে খুলনা। জবাব দিতে নেমে ঢাকার ইনিংস থামে ১৫৩ রানে। ইনিংসের শেষ ডেলিভারিতে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে শতক পূর্ণ করেন থিসারা পেরেরা। বিপিএলে আজ দুই ম্যাচের দু'টিতেই দেখা গেছে শতক।
টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ শুরু করেছিল খুলনা। দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও উইলিয়াম বোসিস্তোর ব্যাটে ৪.৫ ওভারেই ৪৯ রানের ওপেনিং জুটি গড়ে দলটি। কিন্তু এ জুটি ভাঙতেই ভেঙে পড়ে তাদের ব্যাটিং লাইনআপ। ১৭ বল খেলা নাইম শেখের রান ৩০।
তিনে নামা আফিফ হোসেন করেন ১, ইব্রাহিম জাদরানের ব্যাট থেকে আসে ৫। অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ ১০ বল খেলে করতে পারেন ৮। খুলনার পাকিস্তানি অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নওয়াজ আউট হন ৫ রানে। এরপর উইলিয়াম বোসিস্তো ব্যক্তিগত ২৬ রানে বিদায় নিলে দলীয় ৯৩ রানে ৬ষ্ঠ উইকেট হারায় খুলনা।
শেষদিকে মাহিদুল ইসলাম অংকন ২২ বলে ৩২। জিয়াউর রহমান ২২ ও আবু হায়দার রনির ২১ রানের ক্যামিওতে চড়ে খুলনা টাইগার্স সংগ্রহ দাঁড় করায় ১৭৩ রানের।
বড় লক্ষ্য টপকাতে নেমে মেহেদী হাসান মিরাজ আর আবু হায়দার রনির বোলিং তোপের সামনে অসহায় হয়ে পড়ে ঢাকা ক্যাপিটালসের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে অধিনায়ক মিরাজ বল হাতে নিয়ে শুরুর দুই বলে তুলে নেন লিটন দাস ও স্টিফেন এসকিনাজির উইকেট। লিটন এদিন দুই রান করতে পারলেও স্টিফেন হয়েছেন গোল্ডেন ডাক।
রান করতে ব্যর্থ হয়েছেন শাহাদাত হোসেন দিপুও। পরপর দুই ওভারে রনির শিকার ১৯ রানে থাকা তানজিদ তামিম ও ৩ রান করা দিপু। প্রথম পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ৪ উইকেট হারানো ঢাকা রান করতে পারে কেবল ৩১। ৯.৩ ওভারে ৪১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ঢাকা। অল্পতে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা জাগলেও দুই লঙ্কানের সপ্তম উইকেট জুটিতে লড়াইয়ে ফেরে দলটি।
সাদামাটা শুরু করলেও থিতু হয়ে আগ্রাসী ব্যাট চালান থিসারা পেরেরা। প্রান্ত আগলে রেখে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন ক্যাপ্টেন পেরেরা। ধীরগতির ব্যাটিংয়ে পেরেরাকে দারুণভাবে সঙ্গ দিয়ে যান চতুরঙ্গ ডি সিলভা। ব্যক্তিগত ৬৯ ও ৮৫ রানের সময় দুইবার এক উইলিয়াম বোসিস্তোর কাছেই জীবন পান পেরেরা। তার অতিমানবীয় ব্যাটিং কমিয়েছে কেবল ঢাকার হারের ব্যবধান। ৬০ বলে শতক হাঁকিয়ে অধিনায়ক পেরেরা থাকেন অপরাজিত। এই জুটিতে রান এসেছে ১১২।