তৃতীয় দিনে আয়ারল্যান্ডকে কোণঠাসা করে রেকর্ড গড়ল বাংলাদেশ
৯৭ প্রতিবেদক: নাজিফা তাসনিম
প্রকাশ: 2 ঘন্টা আগে আপডেট: 1 সেকেন্ড আগে
তৃতীয় দিনে আয়ারল্যান্ডকে কোণঠাসা করে রেকর্ড গড়ল বাংলাদেশ
তৃতীয় দিনে আয়ারল্যান্ডকে কোণঠাসা করে রেকর্ড গড়ল বাংলাদেশ
দেশের মাটিতে টেস্ট ইতিহাসে রানের রেকর্ড গড়ে আরও একবার দাপট দেখাল বাংলাদেশ। তৃতীয় দিনের খেলা শেষে নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বে স্বাগতিকরা এমন অবস্থানে পৌঁছেছে, যেখানে ইনিংস হার এড়ানোই এখন আয়ারল্যান্ডের একমাত্র লক্ষ্য।
প্রথম ইনিংসে ১৪১ ওভারে ৮ উইকেটে ৫৮৭ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ দল। এটি শুধু এই টেস্টে নয়, দেশের মাটিতে লাল বলের ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহও। আগের রেকর্ড ৩৩৮ রানের। প্রথম ইনিংসে আয়ারল্যান্ড করেছিল ২৮৬ রান। ফলে ৩০১ রানের বিশাল লিডে মাঠে নামে স্বাগতিকরা, যা কাজে লাগাতে দেরি করেনি বোলাররা।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় আইরিশরা। ৮৫ রানের মধ্যেই হারিয়েছে পাঁচ উইকেট। নাহিদ রানার গতিতে শুরুটা কাঁপে অতিথিরা; তার বলেই ৫ রানে বোল্ড হন কারমাইকেল। এরপর স্টার্লিং ও টেক্টর কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ৪৭ রানের জুটি ভাঙে শান্তর সরাসরি থ্রোয়ে ৪৩ রানে ফেরেন স্টার্লিং।
টেক্টরকেও বেশিক্ষণ টিকতে দেননি তাইজুল ইসলাম, ১৮ রানে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন এই আইরিশ ব্যাটারকে। এরপর হাসান মুরাদের ঘূর্ণিতে একে একে ফিরে যান ক্যাম্ফার (৫) ও টাকার (৯)। দিনের শেষ দিকে ক্রিজে ছিলেন ম্যাকব্রাইন (৪*) ও নাইটওয়াচম্যান হামফ্রেস (০*)। ২১৫ রানে পিছিয়ে দিন শেষ করে আয়ারল্যান্ড।
এর আগে ব্যাট হাতে বাংলাদেশের শুরুর দিকটা ছিল নজরকাড়া। ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় খেলেছেন ক্যারিয়ারসেরা ১৭১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস, যেখানে ছিল ১৪টি চার ও ৪টি ছক্কা। অধিনায়ক শান্ত তুলে নিয়েছেন দারুণ এক সেঞ্চুরি (১০০)। এছাড়া সাদমান ইসলাম, মুমিনুল হক ও লিটন দাসের অর্ধশতক মিলে গড়ে ওঠে শক্ত ভিত্তি। মেহেদী হাসান মিরাজ যোগ করেন ১৭ রান।
এই ইনিংসে এক অনন্য রেকর্ডও গড়েছে বাংলাদেশ দল—টেস্ট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো টপ অর্ডারের প্রথম চার ব্যাটারই পঞ্চাশের ঘর ছুঁয়েছেন। যা দলের ব্যাটিং গভীরতা ও ধারাবাহিকতার সাক্ষ্য দেয়।
তৃতীয় দিনের সকালে যদিও কিছুটা চাপের মুখে পড়ে বাংলাদেশ। আগের দিন অপরাজিত থাকা জয় ও মুমিনুল দুজনেই ফেরেন ৯ বলের ব্যবধানে। ম্যাককার্থির দুর্দান্ত বোলিংয়ে ভাঙে ১৭৩ রানের জুটি। জয় ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে থেকেও ক্যাচ দেন টাকারের হাতে, মুমিনুল থামেন ৮২ রানে।
এরপর শান্ত ও লিটনের ব্যাটে আসে জয়ের সুবাস। ১০৭ বলে ৯৮ রানের জুটি দলকে পৌঁছে দেয় আরও বড় রানে। তবে ফিফটির পরই লিটন ফিরলে ইনিংসের শেষের দিকটা সামলায় শান্ত-মিরাজ জুটি। শান্ত নিজের অষ্টম টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নিলেও পরের বলেই এলবিডব্লিউ হন ম্যাকব্রাইনের বলে।
সবশেষে ইনিংস ঘোষণা করেন অধিনায়ক শান্ত লিড তখন ৩০১। দ্বিতীয় ইনিংসেও বোলাররা যে ছন্দে আছে, তাতে বাংলাদেশের জয় এখন সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে হচ্ছে।
