শেষ ওভারে পাকিস্তানের নাটকীয় জয়

৯৭ প্রতিবেদক: মোহাম্মদ আফজল

প্রকাশ: 2 ঘন্টা আগে আপডেট: 1 সেকেন্ড আগে
শেষ ওভারে পাকিস্তানের নাটকীয় জয়

শেষ ওভারে পাকিস্তানের নাটকীয় জয়

শেষ ওভারে পাকিস্তানের নাটকীয় জয়

সিরিজের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে শেষ ওভারে ৬ রানে হারিয়ে সিরিজে প্রথম জয় নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান। মঙ্গলবার রাওলপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান সালমান আঘার দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ২৯৯ রান সংগ্রহ করে। জবাবে শ্রীলঙ্কা রান তাড়া করায় শেষ বল পর্যন্ত লড়াই করেও ২৯৩ রানে থামে।


পাকিস্তানের ইনিংসের মূল ভিত্তি ছিলেন সালমান আঘার, যিনি ৮৭ বলে ৯ বাউন্ডারির সাহায্যে অনবদ্য ১০৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। আঘার ও হুসেইন তালাতের ১৩৮ রানের ষষ্ঠ উইকেট জুটি পাকিস্তানকে বিপদের মুখ থেকে উদ্ধার করে এবং একটি লড়াকু সংগ্রহ গড়ে দেয়। শেষ দিকে মোহাম্মদ নওয়াজ ২৩ বলে ৩৬* রান করে দলের রান বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।


শুরুটা পাকিস্তানের জন্য কিছুটা চ্যালেঞ্জিং ছিল। লঙ্কান স্পিনার ওয়ানিন্দু হাশরাঙ্গা ফখর জামান (৩২), মোহাম্মদ রিজওয়ান (৫) ও বাবর আজম (২৯) ফিরিয়ে পাকিস্তানের ব্যাটিং মেরুদণ্ড ভেঙে দেন। ফলে ২৪তম ওভারে পাকিস্তান মাত্র ৯৫ রানে ৪ উইকেট হারায়। তবে আঘার ও তালাত ধৈর্য ধরে খেলেন এবং দলের রানের চাকা সচল রাখেন, যা শেষ পর্যন্ত একটি লড়াকু সংগ্রহ গড়ে দেয়। মোহাম্মদ নওয়াজের ঝটিকা ইনিংস শেষ ১০ ওভারে ১০৪ রান যোগ করে ম্যাচের গতিপথকে পাল্টে দেয়।


রান তাড়ায় শ্রীলঙ্কা শুরুতে আক্রমণাত্মক ছিল, তবে পাওয়ার প্লে শেষ হতেই উইকেট হারানো শুরু হয়। উদ্বোধনী জুটিতে পাথুম নিশাঙ্কা ও অভিষিক্ত কামিল মিশারা ৮৫ রান যোগ করেন। তবে কুশাল মেন্ডিস “গোল্ডেন ডাক” পান। 


চারিথা আসালাঙ্কা (৩২) ও জানিথ লিয়ানাজ (২৮) দ্রুত আউট হলে শ্রীলঙ্কার জয়ের আশা সংকীর্ণ হয়ে আসে। তবুও ওয়ানিন্দু হাশরাঙ্গা ৫২ বলে ৭ বাউন্ডারিতে ৫৯ রান করে দলের লড়াইয়ে প্রাণ ফেরান। মাহিশ থিকশানা ১৮ বলে ২৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন এবং শেষ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কাকে লড়াইয়ে রাখেন।


শেষ ওভারে জয়ের জন্য শ্রীলঙ্কার দরকার ছিল ২১ রান। থিকশানা দুই বাউন্ডারিতে ১৪ রান তুলতে সক্ষম হন, ফলে দল ৯ উইকেট হারিয়ে ২৯৩ রানে থামে। 


পাকিস্তানের আঘার ও তালাতের শক্তিশালী জুটি এবং নওয়াজের ঝটিকা ইনিংস শেষ পর্যন্ত দলের জয় নিশ্চিত করে। শ্রীলঙ্কার হাশরাঙ্গার ব্যাটিং প্রায় জয়ের কাছাকাছি নিয়ে গেলেও পাকিস্তানের কৌশল ও ধৈর্য জয়ের পথে বাধা রুদ্ধ করে।