যুক্তরাজ্যে ন্যাশনাল ক্রিকেট লিগের বার্ষিক অ্যাওয়ার্ডস বাংলাদেশি কমিউনিটির ক্লাবগুলোর দারুণ সাফল্য
যুক্তরাজ্যে ন্যাশনাল ক্রিকেট লিগের বার্ষিক অ্যাওয়ার্ডস বাংলাদেশি কমিউনিটির ক্লাবগুলোর দারুণ সাফল্য
যুক্তরাজ্যে ন্যাশনাল ক্রিকেট লিগের বার্ষিক অ্যাওয়ার্ডস বাংলাদেশি কমিউনিটির ক্লাবগুলোর দারুণ সাফল্য
যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে বড় সানডে ক্রিকেট প্রতিযোগিতা ন্যাশনাল ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) তার ১৪তম বার্ষিক অ্যাওয়ার্ডস উদযাপন করল লন্ডনে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে। ৩০টিরও বেশি বাংলাদেশি কমিউনিটি ক্লাবের অংশগ্রহণে গড়ে ওঠা এই লিগ এখন ইউরোপে প্রবাসী বাংলাদেশি ক্রিকেটের সবচেয়ে শক্তিশালী মঞ্চ হিসেবে পরিচিত।
পুরো মৌসুম জুড়ে বাংলাদেশি দলগুলো ছিল একেবারে সামনে। নিও ক্রিকেট ক্লাব, কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স, অনির্বাণ ক্রিকেট ক্লাব, সুপারনোভা ক্রিকেট ক্লাব, লন্ডন ভাইকিংস, ফ্লো ক্রিকেট ক্লাব এবং ব্ল্যাকস্টোন ক্রিকেট ক্লাব—এ বছর প্রতিটি দলই দেখিয়েছে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স। তাদের পাশাপাশি এসেক্স লায়ন্স, লন্ডন ফাইটার্স এবং রয়্যাল টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাবও দুর্দান্ত মৌসুম দিয়ে আলোচনায় জায়গা করে নেয়।
লিগের এলিট ডিভিশনে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে গাগন সিসি। তবে বাংলাদেশি দলগুলোর প্রতিযোগিতা ছিল সমানভাবে চোখে পড়ার মতো।
নিও ক্রিকেট ক্লাব জিতে নিয়েছে মর্যাদাপূর্ণ হাজী জুনেদ পাটেলের টি–২০ স্টর্ম সুপার কাপ। ফাইনালে মিহাদ খানের ৪ উইকেটের ঝলক তাদের শিরোপা নিশ্চিত করে। এছাড়া নিও সিসি গোল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ ডিভিশন ‘সি’-তেও চ্যাম্পিয়ন হয়।
কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের ধারাবাহিক সাফল্যও ছিল প্রশংসনীয়। প্রো ৪০ সুপার কাপ-এ তাদের দ্বিতীয় দল রানার্স আপ হয়। প্রিমিয়ার ডিভিশন ‘বি’-তেও দলটি দারুণ ক্রিকেট খেলেছে।
এ মৌসুমে অনির্বাণ ক্রিকেট ক্লাব ছিল শিরোপার অন্যতম দাবিদার। প্রো ৪০ সুপার কাপ জয়ের পাশাপাশি রুমান আহমেদের ৯৪ রানের ইনিংস পুরো লিগের সেরা ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সগুলোর একটি হয়ে আছে। এছাড়া ব্ল্যাকহর্স এস্টেটস প্রিমিয়ার ডিভিশন 'এ'-তেও তারা চ্যাম্পিয়ন হয়।
সুপারনোভা ক্রিকেট ক্লাব গোল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ ‘বি’-তে শিরোপা জেতে, যেখানে লন্ডন ভাইকিংস রানার্স আপ হয়ে মৌসুমকে স্মরণীয় করে তোলে।
ফ্লো ক্রিকেট ক্লাব এমেরাল্ড ডিভিশনে ব্যাটে ও বলে শক্ত উপস্থিতি জানান দেয়। স্যাফায়ার ডিভিশন ‘এ’-তে ব্ল্যাকস্টোন ক্রিকেট ক্লাব চ্যাম্পিয়ন হয়ে কমিউনিটিতে উল্লেখযোগ্য আলাপের জন্ম দেয়।
এসেক্স লায়ন্স সিসি এমেরাল্ড ডিভিশন ‘বি’–তে চ্যাম্পিয়ন হয় এবং টি–২০ স্টর্ম কাপেও রানার্স আপ হয়ে নিজেদের শক্তির প্রমাণ দেয়। লন্ডন ফাইটার্স ক্রিকেট ক্লাব এমেরাল্ড ডিভিশন ‘সি’-তে চ্যাম্পিয়ন হয়। একই ডিভিশনে রয়্যাল টাইগার্স রানার্স আপ হয়ে তাদের ধারাবাহিকতা ধরে রাখে।
পুরো মৌসুম জুড়ে সেরা ব্যাটসম্যান, সেরা বোলার, সেরা অলরাউন্ডার ও ম্যাচ অফিসিয়ালদের বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হয়। প্রতিটি বিভাগেই বাংলাদেশি খেলোয়াড়দের করে তোলা অবদান ছিল স্পষ্ট।
১৪ বছর ধরে ন্যাশনাল ক্রিকেট লিগ শুধু একটি প্রতিযোগিতা নয়, বরং ব্রিটিশ বাংলাদেশি কমিউনিটির ক্রিকেট সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করার অন্যতম প্রধান শক্তি। প্রবাসে বেড়ে ওঠা তরুণ খেলোয়াড়দের জন্য এই লিগ এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন এনসিএল-এর প্রতিষ্ঠাতা সাজিদ প্যাটেল। লিগের চেয়ারম্যান নাহিদ প্যাটেলকে কমিউনিটিতে টানা ১৪ বছরের অবদানের জন্য বিশেষ স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। মুহূর্তটি অনুষ্ঠানজুড়ে সবচেয়ে আবেগঘন পর্ব হিসেবে উপস্থিতদের মন জয় করে।
