Image

শেষ বলে আলিসের বাউন্ডারি, ফাইনালে উঠল চিটাগং কিংস

৯৭ প্রতিবেদক:

প্রকাশ : 3 ঘন্টা আগেআপডেট: 1 সেকেন্ড আগে
শেষ বলে আলিসের বাউন্ডারি, ফাইনালে উঠল চিটাগং কিংস

শেষ বলে আলিসের বাউন্ডারি, ফাইনালে উঠল চিটাগং কিংস

শেষ বলে আলিসের বাউন্ডারি, ফাইনালে উঠল চিটাগং কিংস

প্রথম কোয়ালিফায়ারের মতো এবার আর ভুল করেনি চিটাগং কিংস। ফাইনালে ওঠার জন্য দ্বিতীয়বারের মতো পাওয়া সুযোগ দারুণভাবে লুফে নিল মোহাম্মদ মিঠুনের দল। রংপুর রাইডার্সকে লজ্জার হার উপহার দিয়ে খুলনা টাইগার্স কোয়ালিফায়ারে এসে হারল চিটাগংয়ের কাছে, আর তাতেই বিদায় নিল বিপিএল থেকে। ৭ ফেব্রুয়ারির ফাইনালে চিটাগং কিংসের প্রতিপক্ষ ফরচুন বরিশাল। শেষ বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে চিটাগংয়ের জয়ের নায়ক আলিস আল ইসলাম। 

২০১৩ সালের পর কখনোই ফাইনালে উঠতে পারেনি চিটাগং কিংস। সেবার রানার্সআপ হয়েছিল। এছাড়া আরও পাঁচবার প্লে-অফ খেলে বিদায় নিয়েছে চট্টগ্রামের ফ্র্যাঞ্চাইজি দল। ২০২৫ বিপিএলে ফিরেই হাসি ফিরল চিটাগং কিংসের। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে খুলনা টাইগার্সকে ২ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট হাতে পেল চিটাগং কিংস। 

ফাইনালে উঠার সুযোগ তৈরি করতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে বড় সংগ্রহ করতে পারেনি মেহেদী হাসান মিরাজের দল। শিমরন হেটমায়েরের ব্যাটিং তাণ্ডবের পরও ১৬৩ রানে থামে খুলনার ইনিংস। চিটাগংয়ের স্কোরবোর্ডের দিকে তাকালে ঘুরেফিরে হেটমায়েরের ইনিংসেই চোখে পড়ে। 

ধ্বংসস্তূপ থেকে দলকে টেনে তুলতে হেটমায়েরের সাথে অবদান রাখেন ৪১ রান করা মাহিদুল অংকনও। বিপিএলে নেমেই ৩৩ বলে ৬৩ রানের ইনিংস খেলে দলকে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ এনে দেন ব্যাটিংয়ের অবিশ্বাস্য প্রদর্শনীতে। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রানে থামে খুলনার ইনিংস। 

ফাইনালে উঠতে ১৬৪ রানের টার্গেট টপকাতে হত চিটাগং কিংসকে। হাসান মাহমুদ শুরুতেই খুলনাকে এনে দেন গুরুত্বপূর্ন দুই ব্রেকথ্রু। প্রথমে পারভেজ হোসেন ইমন, এরপর হাসান দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড করেন গ্রাহাম ক্লার্ককে। দু'জনেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান সমান ৪ রান করে। 

তৃতীয় উইকেট জুটিতে অবশ্য দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় চিটাগং কিংস। ৭০ রানের জুটিতে দলকে বেশ ভালোভাবে জয়ের পথে রাখেন দুই পাকিস্তানি ব্যাটার খাজা নাফে আর হোসাইন তালাত। নাসুম আহমেদকে অ্যাকশনে এনে উইকেটের দেখা পায় খুলনা। ২৫ বলে ৪০ রান করে ফেলা হোসাইন তালাতকে ফিরিয়ে খুলনার ডাগআউটে স্বস্তি ফেরান নাসুম। 

নাসুম নিজের পরের ওভারে এসে তুলে নেন ইনফর্ম শামীম পাটোয়ারির উইকেটও। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে হাসেনি শামীমের ব্যাট। বাউন্ডারি বিহীন ৭ বলের ইনিংসে শামীম রান পান ৫। পরপর দুই উইকেট শিকার করে আবার ম্যাচে ফিরে আসে খুলনা টাইগার্স। বরাবরের মতো খাজা নাফে শুরু থেকেই বিধ্বংসী আচরণ করেন খুলনা টাইগার্সের বোলারদের উপর। দাপুটে ব্যাটিংয়ে ৩৬ বলেই পেয়ে যান ফিফটির দেখা। 

এরপর নানা নাটকীয়তা শেষে ২ উইকেটে জিতল চিটাগং কিংস। 

Details Bottom
Details ad One
Details Two
Details Three