Image

তাওহীদ হৃদয়ের সেঞ্চুরিতে দুবাইয়ে মান বাঁচল বাংলাদেশের

৯৭ প্রতিবেদক:

প্রকাশ: 1 মাস আগেআপডেট: 1 সেকেন্ড আগে
তাওহীদ হৃদয়ের সেঞ্চুরিতে দুবাইয়ে মান বাঁচল বাংলাদেশের

তাওহীদ হৃদয়ের সেঞ্চুরিতে দুবাইয়ে মান বাঁচল বাংলাদেশের

তাওহীদ হৃদয়ের সেঞ্চুরিতে দুবাইয়ে মান বাঁচল বাংলাদেশের

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতকেই প্রথম ম্যাচে পেয়েছে বাংলাদেশ। দাপট দেখানোর বদলে শুরুর ১০ ওভারে ব্যাটিংয়ের সবচেয়ে বাজে প্রদর্শনী মেলে ধরেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। ২ ওভারে ২ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায়, দলীয় ৩৫ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর অবশ্য গ্ল্যামারস ফিরে আসে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনে। তাওহীদ হৃদয় আর জাকের আলি অনিক মিলে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে তুলেছেন ১৫৪ রান। যা ওয়ানডেতে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ। হৃদয়ের লড়াকু সেঞ্চুরিতে চড়ে বাংলাদেশ পেয়েছে ২২৮ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ।

৩৫ রানের মধ্যে প্রথম ৫ উইকেটের পতন, একের পর এক ব্যাটারের আসা-যাওয়ার মিছিল। যাচ্ছেতাই ব্যাটিংয়ে অল্প রানে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা জেগেছিল। যা অবশ্য ভারতকে সম্ভব করতে দেননি তাওহীদ হৃদয় আর জাকের আলি অনিক। ফিফটি হাঁকিয়ে জাকের ব্যক্তিগত ৬৮ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরে গেলেও সেঞ্চুরি তুলে নেন তাওহীদ হৃদয়। 

দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ইনজুরি ইস্যুতে সেরা একাদশে রাখা হয়নি অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে, বাদ পড়ে পেসার নাহিদ রানাও। 

শুরুতেই নেই সৌম্য-শান্ত, দু'জনেই উইকেট হারান শূন্য হাতে। ওপেনার সৌম্য সরকারকে ইনিংসের প্রথম ওভারেই প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান ভারতীয় অভিজ্ঞ পেসার মোহাম্মদ শামি। পাঁচ বল খেলা সৌম্য কোনো রান করার আগেই ইনসাইড এজে উইকেটকিপারে গ্লাভসে হন ক্যাচ। 

পরের ওভার করতে এসে হারশিত রানা তুলে নেন বাংলাদেশ অধিনায়কের উইকেট। বাউন্ডারির আশায় ব্যাট চালিয়ে শর্ট কাভারে কোহলিকে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন ২ বলে ০ রান করা শান্ত। বাংলাদেশ ২ ওভারে ২/২। এমন বিপর্যয়ে দাঁড়িয়েও ইতিবাচক ছিলেন তানজিদ হাসান তামিম। পরের ওভারেই শামিকে খরচ করান দুই বাউন্ডারি। 

আরও উইকেটের খোঁজে থাকা মোহাম্মদ শামিকে অবশ্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। সপ্তম ওভারের দ্বিতীয় ডেলিভারিতে মেহেদী হাসান মিরাজকে স্লিপে শুবমান গিলের হাতে ক্যাচ বানান। দলকে স্বস্তি দেওয়ার বদলে আরও বিপাকে ফেলে যান মিরাজ, ১০ বলের ইনিংসে রান করেন মাত্র ৫।

আক্সার প্যাটেল অ্যাকশনে আসতেই আরও দুই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। হ্যাটট্রিকের সুযোগ মিস হয়েছে রোহিত শর্মার ক্যাচ মিসে। প্রথম পাওয়ার প্লের ১০ ওভারের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ রান জমা করে কেবল ৩৯। তানজিদ হাসান তামিম ২৫ বলে ২৫ রান করে ফিরলে মুশফিকুর রহিম এসে পান গোল্ডেন ডাকের স্বাদ। 

তাওহীদ হৃদয় স্বভাবজাত ব্যাটিংয়ে উইকেট আঁকড়ে রাখেন। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের জায়গায় সুযোগ পাওয়া জাকের আলি অনিকও উইকেট আগলে রাখার পাশাপাশি খেলেন দারুণ কিছু শট। মাঝে ভারতের আঁটসাঁট বোলিংয়ে রানই বের করতে পারছিলেন না থিতু হওয়া দুই ব্যাটারও। ২৮.১ ওভারে দলের সংগ্রহ একশোতে পৌঁছায় বাংলাদেশের। 

তবে দলকে বিপর্যয় থেকে টেনে তুলে হৃদয়-জাকের স্ট্রোক্সের ফোয়ারা দেখান দুবাইয়ের মাঠে। জাকের আলির পর তাওহীদ হৃদয়ও পেয়ে যান ফিফটির। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিজেদের অভিষেক ম্যাচ খেলতে নেমে দলের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে জোড়া ফিফটি। বাউন্ডারির চেষ্টাতেই নিজের পতন ডেকে আনেন ৬৮ রানে থাকা জাকের। আর তাতে ভাঙে রেকর্ড ১৫৪ রানের জুটি। যা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসেরই ৬ষ্ঠ উইকেটে যে কোনো দলের জন্য সর্বোচ্চ রানের পার্টনারশিপ। জাকেরকে ফিরিয়েই ওয়ানডেতে ২০০ উইকেট ছোঁয়ার মাইলফলকে পৌঁছান মোহাম্মদ শামি। 

Details Bottom
Details ad One
Details Two
Details Three