হেরেই চলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জয়ের ধারায় পাকিস্তান

হেরেই চলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জয়ের ধারায় পাকিস্তান
হেরেই চলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, জয়ের ধারায় পাকিস্তান
ফ্লোরিডার ব্রোওয়ার্ড কাউন্টি স্টেডিয়ামে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে স্পিন আর নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সৌজন্যে ১৪ রানের জয় তুলে নিয়েছে সফরকারী পাকিস্তান। সাইম আইয়ুবের ব্যাটিং নৈপুণ্যের পর মোহাম্মদ নওয়াজ ও সুফিয়ান মুকিমদের দুর্দান্ত স্পিন আক্রমণে মুখ থুবড়ে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ফলে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল পাকিস্তান।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানের শুরুটা ছিল ধীর গতির। শামার জোসেফের গতিময় বোলিংয়ে চাপে পড়ে যান টপ অর্ডারের ব্যাটাররা। ২৪ বলে ২৮ রান করা ফখর জামান ছিলেন দৃষ্টান্তস্বরূপ ধীর। তবে সেই চাপ থেকে দলকে মুক্তি দেন সাইম আইয়ুব।
প্রথম ২৫ বলে ধীরগতির ইনিংস খেললেও, নবম ওভারের শেষ বলে চার মেরে ছন্দ খুঁজে পান সাইম। এরপর রোমারিও শেফার্ডকে মারেন চার, আর জেডিয়াহ ব্লেডসের এক ওভারে ২০ রান তুলে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন। শেষ পর্যন্ত তার ব্যাট থেকে আসে ৩৮ বলে ৫৭ রান, যাতে ছিল ২টি ছক্কা ও ৫টি চার।
শেষ দিকে হাসান নওয়াজ ও ফাহিম আশরাফের ছোট ছোট ক্যামিও ইনিংস, আর মোহাম্মদ হারিসের এক বলে এক ছক্কা সব মিলিয়ে শেষ ৩১ বলে ৫৮ রান তোলে পাকিস্তান। নির্ধারিত ২০ ওভারে স্কোরবোর্ডে জমা হয় ১৭৮ রান।
১৭৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ শুরু করে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই। অভিষিক্ত জুয়েল অ্যান্ড্রু ও অভিজ্ঞ জনসন চার্লস ওপেনিং জুটিতে ৭২ রান যোগ করেন তবে তা ছিলো চূড়ান্ত ধীর গতির। চার্লস ৩৬ বলে ৩৫ ও অ্যান্ড্রু করেন ৩৩ বলে ৩৫ রান।
পাওয়ার প্লে শেষে স্পিনারদের হাতে বল তুলে দিয়েই ম্যাচে ফিরে আসে পাকিস্তান। নবম ওভারে মোহাম্মদ নওয়াজ ফিরিয়ে দেন অ্যান্ড্রুকে, আর সেই ওভারেই চার্লসেরও বিদায়। দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় স্বাগতিকরা।
এরপর একে একে গুডাকেশ মোতি, রোমারিও শেফার্ড, ও রোস্টন চেজ ফিরলে ম্যাচ একপ্রকার হাতছাড়া হয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের। সুফিয়ান মুকিম, নবী ও সাইম আইয়ুব তিনজন স্পিনার মিলে আট ওভারে মাত্র ৬২ রান দিয়ে তুলে নেন ৫টি উইকেট।
শেষদিকে হাল ধরেন জেসন হোল্ডার। ১২ বলে ৩০ রানের ইনিংসে তিনি মারেন ৪টি বিশাল ছক্কা। শেষ দুই ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তোলে ৩৮ রান, কিন্তু তখন জয় অনেকটাই ধরাছোঁয়ার বাইরে। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে ১৬৪ রানেই থামে ক্যারিবীয়দের ইনিংস।