অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিস্তারে জানালেন অ্যান্ডারসন
অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিস্তারে জানালেন অ্যান্ডারসন
অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিস্তারে জানালেন অ্যান্ডারসন
আগামী ১০ জুলাই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের প্রথম টেস্টে ২১ বছরের খেলোয়াড়ি জীবনের ইতি টানবেন ৪২ বছরে পা দেয়া জেমস অ্যান্ডারসন। টেস্ট ক্রিকেট ছাড়া নিয়ে মনে কোনো কষ্ট নেই তাঁর বরং ফুরফুরে মেজাজেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়ছেন তিনি। তবে কেনো তিনি অবসরের সিন্ধান্ত নিলেন? জানিয়েছেন বিস্তারিত..
গত এপ্রিল মাসে ইংল্যান্ড ক্রিকেটের বড় তিন কর্তা ইংল্যান্ড দলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর রব কি, লাল বলের দলের কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককুলাম ও টেস্ট অধিনায়ক বেন স্টোকস অ্যান্ডারসনকে একটি মিটিংয়ের জন্য ডাকেন। তাঁরা অ্যান্ডারসনকে জানিয়ে দেন ২০২৫-২৬ মৌসুমের অ্যাশেজকে সামনে রেখে ইংল্যান্ডের টেস্ট দলটাকে নতুন করে গড়ার চিন্তাভাবনা করছেন। আর তারপরেই টেস্ট থেকে অবসর নেয়ার চূড়ান্ত সিন্ধান্ত নিয়ে নেন অ্যান্ডারসন।
অ্যান্ডারসন বলেন তাকে মিটিংয়ের কথা জানাতেই তিনি বুঝে গিয়েছিলেন কি বিষয়ে কথা বলা হবে, ‘আমি বলব না যে অবাক হওয়ার মতো ঘটনা ছিল এটি। বড় তিন যখন আমাকে ম্যানচেস্টারের এক হোটেলে কথা বলতে ডাকল, আমি মনে করিনি যে এটা সাধারণ কোনো বিষয়। এমন কিছু যে হতে যাচ্ছে সেটি ধারণা করেছিলাম। বরং তাঁরাই আমাকে শান্ত থাকতে দেখে অবাক হয়েছিল।’
পরিকল্পনা থেকে তাদের বাদ দেয়ার সিদ্ধান্তে রেগে যাননি বলে জানান অ্যান্ডারসন, ‘আমার মনে আমি নিজেও নিজের আচরণে অবাক হয়েছিলাম। আমি আবেগাপ্লুত হইনি, রেগে যাইনি, এমনকি কিছুই করিনি।’
অ্যান্ডারসন আরো বলেন, ‘আমি তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গি জানলাম, তাঁরা যে আমাকে তাঁদের পরিকল্পনা ও কারণগুলো আমাকে বিস্তারিত জানালেন, সে কারণে তাঁদের প্রশংসাও করি। আমি বিষয়টি মেনে নিই, সিদ্ধান্তটি নিয়ে আমার কোনো মনঃকষ্টও নেই।’
অ্যান্ডারসনের মতে তিনিবএখনো ক্যারিয়ারের শুরুর দিকের মতই বোলিং বলেন ‘আমার মনে হয় আমি এখনো সারা জীবন যেভাবে বোলিং করেছি, সেভাবেই এখনো বোলিং করছি। তবে আমি জানতাম আজ না হোক, দুই বছর পরে হলেও একদিন থামতেই হবে। এই সপ্তাহে অল্প কিছু অবদান রাখতে পারলেই আমি খুশি থাকব। ১ উইকেট নিয়ে কিংবা সংখ্যাটা যা-ই হোক না কেন, আমি সামান্য অবদান রেখে হলেও ম্যাচটি জিততে চাই।’
শেষ ম্যাচ খেলতে নেমে কিভাবে কান্না সামলানো যায় চেষ্টা করছেন অ্যান্ডারসন, ‘আমি নিশ্চিত এই সপ্তাহে আবেগে পরিবর্তন আসবেই, তবে আমি এখন চেষ্টা করছি কীভাবে কান্না সামলানো যায়, সেই বিষয়ে মনোযোগী হতে।’