আইসিসির উইমেন্স ওয়ানডে টিম অব দ্য ইয়ার ২০২৪ ঘোষণা
- 1
দুর্বার রাজশাহীর বিরুদ্ধে 'কঠিন অ্যাকশনে' যাচ্ছে বিসিবি
- 2
ক্রিকেট অপারেশন্সে ফাহিম, মিডিয়ায় ইফতেখার, বিসিবি স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান হলেন যারা
- 3
বিদেশি খেলোয়াড় ছাড়া খেলতে বিসিবির অনুমতি পেয়েছে দুর্বার রাজশাহী
- 4
বিসিবির সভায় এসেছে গুরুত্বপূর্ণ যত সিদ্ধান্ত
- 5
জিম্বাবুয়ের টেস্ট স্কয়াডে দুই নতুন মুখ, নেই সিকান্দার রাজা
আইসিসির উইমেন্স ওয়ানডে টিম অব দ্য ইয়ার ২০২৪ ঘোষণা
আইসিসির উইমেন্স ওয়ানডে টিম অব দ্য ইয়ার ২০২৪ ঘোষণা
২০২৪ সালের বর্ষসেরা নারী ওয়ানডে একাদশ ঘোষণা করেছে আইসিসি। দলে জায়গা পেয়েছেন ইংল্যান্ডের ৩ জন, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়ার ২ জন করে। শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ১ জন করে।
স্মৃতি মান্দানা (ভারত)
১৩ ম্যাচে ৭৪৭ রান ভারতের ব্যাটার স্মৃতি মান্দানা। জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২৯ রানের ইনিংস দিয়ে শুরু করেছিলেন বছরটা। তারপর প্রোটিয়াদের বিপক্ষে প্রথম দুই ওয়ানডেতে ব্যাক-টু-ব্যাক সেঞ্চুরি করেন। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে ৩৪৩ করায় হয়েছিলেন সিরিজ সেরা খেলোয়াড়। ২০২৪ এ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও একটি সেঞ্চুরি করেন স্মৃতি।
লরা উলভার্ট (দক্ষিণ আফ্রিকা)
১২ ম্যাচে ৬৯৭ রান করেন লরা উলভার্ট। এপ্রিলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে অপরাজিত ১১০ রান করেন তিনি। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে ক্যারিয়ারের সেরা ১৮৪* রান করেন। তারপর বেঙ্গালুরুতে ভারতের বিপক্ষেও খেলেন ১৩৫ রানের ইনিংস।
চামারি আতাপাত্তু (শ্রীলঙ্কা)
৯ ম্যাচে ৪৫৮ রানের পাশাপাশি ৯ উইকেট শিকার করেন লঙ্কান অলরাউন্ডার চামারি আতাপাত্তু। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে অর্ধশতক হাঁকিয়েছিলেন এবং শেষ ম্যাচে ক্যারিয়ারের সেরা ১৯৫* রান করেছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার হোম সিরিজেও অসাধারণ পারফরম্যান্স করে দলকে ৩-০ ব্যাবধানে জয় এনে দিয়েছিলেন।
হেইলি ম্যাথিউস (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)
ক্যারিবিয়ান হেইলি ম্যাথিউসের রান ৭ ম্যাচে ৪৬৯। এবং উইকেট নিয়েছেন ৯ টি। ২০২৪ সাল জুড়ে অলরাউন্ড নৈপুন্য প্রদর্শন করেছেন তিনি। পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে অপরাজিত ১৪০ রান করেন. এবং তৃতীয় ম্যাচে ১৪১ রানের আরেকটি দুর্দান্ত নক খেলেন। তার পাশাপাশি শিকার করেন ৬ উইকেট।
মারিজান ক্যাপ (দক্ষিণ আফ্রিকা)
১১ ম্যাচে ১১৪ রান এবং ১২ উইকেট শিকার করেন মারিজান ক্যাপ। অ্যাডিলেডে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে অপরাজিত ৫০ রান করেন, দ্বিতীয় ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ ৭৫ রান করেন। তার সাথে ১২ রান খরচা করে নেন ৩ উইকেট। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলেন ৭৭* রানের ইনিংস। তার বছরের সেরা পারফরম্যান্সটি বেঙ্গালুরুতে ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১১৪ রানের ইনিংস।
অ্যাশলে গার্ডনার (অস্ট্রেলিয়া)
১২ ম্যাচে ২০ উইকেট শিকার করেব অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশলে গার্ডনার। ব্যাট হাতেও করেন ২৬৯ রান। তিনি ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩৫ রান করেন এবং উইকেট নেন ২ টি। গার্ডনার মিরপুরে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজে দুর্দান্ত করেন। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তার অপরাজিত ২০* রান এবং উইকেট তুলে নেন ৩ টি।
অ্যানাবেল সাদারল্যান্ড (অস্ট্রেলিয়া)
ব্যাট হাতে ১২ ম্যাচ ৩৬৯ রান এবং হাতে ১৩ উইকেট নেন অ্যানাবেল সাদারল্যান্ড। ভারতের বিপক্ষে ২ উইকেট নিয়ে বছরটা শুরু করেন তিনি। মার্চে মিরপুরে উদ্বোধনী ম্যাচে অপরাজিত ৫৮ রান করেন।
অ্যামি জোন্স (উইকেটরক্ষক,ইংল্যান্ড)
১২ ম্যাচে ৩৮২ রান এবং ডিসমিসাল করেন ১৫ টি। এপ্রিল মাসে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৯২*,৪৮ এবং ৫০ রান করে বছরটা শুরু করেন অ্যামি জোন্স। ১০৮.৫৭ স্ট্রাইক রেটে ১৯০ রাম করে সিরিজ সেরা হন তিনি। মে মাসে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজে ২৭ ও ৩৭ রান করেছিলেন। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও করেছিলেন অপরাজিত ৫০ রান।
দীপ্তি শর্মা (ভারত)
ভারতের দীপ্তি শর্মা ১৩ ম্যাচে ২৪ উইকেট নিয়েছেন। এবং রান করেছেন ১৮৬। জুনে বেঙ্গালুরুতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজে প্রতিটিতে দুটি করে উইকেট তুলেছিলেন। ব্যাট হাতে প্রথম ম্যাচে করেছিলেন ৩৭ রান। কিউইদের বিপক্ষে করেন ৪১ রান। তাছাড়া একটি ম্যাচে ৩০ রান দিয়ে নিয়েছিলেন ২ উইকট। আরেকটি ম্যাচে ৩৯ রানে নিয়েছিলেন ৩ উইকেট।
সোফি একলেস্টোন (ইংল্যান্ড)
১১ ম্যাচে ২১ উইকেট নিয়েছেন সোফি একলেস্টেন। ১ নাম্বার বোলার হিসাবে বছরটা শুরু করেন সোফি একলেস্টোন। তিনি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ টি ওয়ানডেতে ৩ টি উইকেট নেন। সেখানে তার ইকোনমি ছিলো মাত্র ৩.১৩। একলেস্টোন মে মাসে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ও তৃতীয় ওয়ানডেতে তিনটি করে উইকেট লাভ করেন। সেখানে তিনি সিরিজ সেরা নির্বাচিত হন।
কেট ক্রস (ইংল্যান্ড)
১৩ ম্যাচে ১৯ উইকেট লাভ করেন কেট ক্রস। তিনি ওয়েলিংটনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২৪ রানে ২ উইকেট নিয়ে বছরটা শুরু করেন। ক্রস সারা বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে উইকেটের মধ্যে ছিলেন। এপ্রিল মাসে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ছয়টি, মে মাসে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিনটি এবং নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আরও তিনটি উইকেট শিকার করেন।