টেস্টে বাংলাদেশকে ভুগিয়ে আইসিসির মাস সেরার লড়াইয়ে পাথুম নিসাঙ্কা

টেস্টে বাংলাদেশকে ভুগিয়ে আইসিসির মাস সেরার লড়াইয়ে পাথুম নিসাঙ্কা
টেস্টে বাংলাদেশকে ভুগিয়ে আইসিসির মাস সেরার লড়াইয়ে পাথুম নিসাঙ্কা
জুন মাসের ‘আইসিসি প্লেয়ার অব দ্য মান্থ’ হওয়ার দৌড়ে জায়গা করে নিয়েছেন শ্রীলঙ্কার ওপেনার পাথুম নিসাঙ্কা। বাংলাদেশের বিপক্ষে দুর্দান্ত টেস্ট পারফরম্যান্সের পুরস্কারস্বরূপ এই স্বীকৃতির পথে এগিয়ে আছেন তিনি। তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের দুই নায়ক এইডেন মার্করাম ও কাগিসো রাবাদা।
সোমবার এক বিবৃতিতে পুরুষ ও নারী বিভাগে জুন মাসের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।
পাথুম নিসাঙ্কা (শ্রীলঙ্কা)
বাংলাদেশের বিপক্ষে ঘরের মাঠে দুই টেস্টেই ব্যাট হাতে ছিলেন অনবদ্য। প্রথম টেস্টে ১৮৭ রানের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। দ্বিতীয় টেস্ট ১৫৮ রান। দুই টেস্টে মোট রান ৩৬৯। পুরস্কার: সিরিজ সেরা, দ্বিতীয় টেস্টে ম্যাচ সেরা। শান্তর জোড়া সেঞ্চুরিতে প্রথম টেস্ট ড্র হলেও, দ্বিতীয় টেস্টে নিসাঙ্কার ইনিংসেই জয় নিশ্চিত করে শ্রীলঙ্কা।
এইডেন মার্করাম (দক্ষিণ আফ্রিকা)
আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে ছিলেন ম্যাচ জয়ের রূপকার। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে: ১৩৬ রান (২০৭ বলে)। প্রথম ইনিংসে শূন্য রান করলেও ব্যাটে-পোলে দারুণভাবে ফিরলেন। পুরস্কার: ম্যাচ সেরা। ২৮২ রানের লক্ষ্য ছুঁয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা জেতে ৫ উইকেটে ২৭ বছর পর আইসিসির কোনো শিরোপা।
কাগিসো রাবাদা (দক্ষিণ আফ্রিকা)
বোলিংয়ে ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার দুঃস্বপ্ন। প্রথম ইনিংসে ৫১ রানে ৫ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৯ রানে ৪ উইকেট।।মোট ৯ উইকেট ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে দুই ইনিংসেই গুঁড়িয়ে দেন।
নারী বিভাগে মনোনীতরা:
তাজমিন ব্রিটস (দক্ষিণ আফ্রিকা)
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে ছিলেন ধারাবাহিক। ওয়ানডে সিরিজ ৩ ম্যাচে ১৮৪ রান। তৃতীয় ওয়ানডেতে ম্যাচ জয়ী ১০১ রান (৯১ বলে)। টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১৩২ রান, ৬৩ বলে অপরাজিত ৯৮ রান (ব্যক্তিগত সেরা)।
হেইলি ম্যাথিউস (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)
অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে দলকে এনে দিয়েছেন টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়। ওয়ানডেতে ১০৪ রান, ৪ উইকেট। টি-টোয়েন্টিতে ১৪৭ রান, ২ উইকেট, সিরিজ সেরা
অ্যাফি ফ্লেচার (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)
৩৮ বছর বয়সেও ছিলেন দলের মূল অস্ত্র। ওয়ানডেতে ৮ উইকেট। টি-টোয়েন্টিতে ৫ উইকেট, ওভারপ্রতি মাত্র ৬.৭৫ রান।