Image

বিপিএলে ফিক্সিং বিতর্ক, এনসিএল ঘিরে বিসিবি'র কড়া নজরদারি

৯৭ প্রতিবেদক: মোহাম্মদ আফজল

প্রকাশ: 20 ঘন্টা আগেআপডেট: 15 মিনিট আগে
বিপিএলে ফিক্সিং বিতর্ক, এনসিএল ঘিরে বিসিবি'র কড়া নজরদারি

বিপিএলে ফিক্সিং বিতর্ক, এনসিএল ঘিরে বিসিবি'র কড়া নজরদারি

বিপিএলে ফিক্সিং বিতর্ক, এনসিএল ঘিরে বিসিবি'র কড়া নজরদারি

বিপিএলে (বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ) দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত কিছু ক্রিকেটারের মাঠে ফেরার সুযোগ নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। এই প্রেক্ষাপটে জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) ঘিরে কঠোর নজরদারি শুরু করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। খেলোয়াড়দের নৈতিকতা, দায়বদ্ধতা এবং দুর্নীতিবিরোধী সচেতনতা নিশ্চিত করতে বিসিবি গ্রহণ করেছে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি।

বিপিএলে দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত কিছু ক্রিকেটারের এনসিএলে অংশ নেওয়া হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত এখনো ঝুলে আছে। বিষয়টি নিয়ে বিসিবি একটি বিশেষ কমিটি গঠন করেছে, যাদের কাজ চলতি সপ্তাহের মধ্যেই সুপারিশ জমা দেওয়া।

সোমবার সিলেটে বোর্ড সভা শেষে বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদিন ফাহিম বলেন, "এই ব্যাপারটা এখানে আমি খোলা বলতে পারতেছি না... ৭ তারিখের মধ্যে তাদের অ্যাডভাইজ দিতে হবে। তারপর বোর্ড হয়তো সিদ্ধান্ত নিতে পারে।"

তিনি আরও বলেন, "এই টিমটার কাজ ইনভেস্টিগেশন না, রিকমেন্ডেশন। যদি কারো নাম থাকে, আমরা এখনই বলতে পারি না তারা কনভিক্টেড। ইন্টিগ্রিটির প্রশ্নে কোন কম্প্রোমাইজের সুযোগ নেই। শর্টকার্ট কিছু করছিও না। প্রয়োজন হলে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ আনছি।"

বিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রাথমিকভাবে এ কমিটি কোনো তদন্ত নয়, শুধু মাত্র পরামর্শ দেবে। যদি কেউ পরবর্তীতে দোষী প্রমাণিত হয়, তখন আইনি প্রক্রিয়ায় তদন্ত ও ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মঙ্গলবার সিলেট জেলা স্টেডিয়াম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, "ক্রিকেট খেলাটাকে আমাদের রক্ষা করতে হবে। আমাদের চার্টারে প্রথম লক্ষ্যই হচ্ছে, কীভাবে সবার মাধ্যমে খেলাটাকে রক্ষা করতে পারি। প্রথম খেলাটা আমাদের এনসিএল, এখানে আমরা চেষ্টা করব সব ক্রিকেটারকে দুর্নীতি দমনের কোড অফ কনডাক্টের বাংলা অনুবাদ বুঝিয়ে ক্লাস নেওয়া হবে। এরপর একটা ফরমে সই করতে হবে, তারপর তারা খেলতে পারবে।"

বিসিবি সভাপতির ভাষ্য অনুযায়ী, শুধুমাত্র কোড অফ কনডাক্ট শেখানোই নয়, বরং বিসিবির তহবিলভিত্তিক সব টুর্নামেন্টে একই নিয়ম চালু হবে।

"অক্টোবর থেকে ঢাকা তৃতীয় বিভাগ খেলা শুরু হচ্ছে। আমরা চাই বোর্ডের ফান্ডে যেকোনো খেলা হবে, সেখানে দুর্নীতি দমনের নিয়ম, আইন-কানুন শেখাব, সবাইকে বুঝিয়ে তারপর সই করিয়ে খেলাব। শুরুটা এনসিএল টি-টোয়েন্টি দিয়ে করব।"

ক্রিকেটকে দুর্নীতির ছায়া থেকে রক্ষা করতে শুধু প্লেয়ার, কোচ, আম্পায়ারদের নয়। সমগ্র সমাজের সচেতনতা প্রয়োজন বলে মনে করেন বিসিবি সভাপতি। বিসিবির নিয়ন্ত্রণে থাকা খেলোয়াড়, কোচ, আম্পায়ারদের সচেতন করা তুলনামূলক সহজ হলেও, দর্শক, ভক্ত এবং ক্রিকেট-অনুরাগীদের মধ্যে সচেতনতা তৈরিতে প্রয়োজন গণমাধ্যমের সক্রিয় সহযোগিতা।

তাই ক্রিকেটকে দুর্নীতি থেকে রক্ষা করতে বিসিবির একার প্রচেষ্টা নয়, মিডিয়া এবং জনগণকেও ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন বুলবুল।

"আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে ক্যাম্পেইন করছি। ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া, প্রিন্ট মিডিয়া, ডিজিটাল মিডিয়ার মাধ্যমে আমরা জানাব যে খেলাটাকে রক্ষা করতে হবে। প্লেয়ার, কোচ, আম্পায়ারদের মধ্যেই শুধু না, সমাজের সবাইকে সচেতন করতে হবে। নৈতিক, ধর্মীয়, এবং দেশের আইনি মূল্যবোধের বিষয়গুলো তুলে ধরা হবে। আপনারাও (সাংবাদিকরা) খেলাটাকে রক্ষা করতে সাহায্য করবেন, এটাই আমাদের আশা।"

এই লক্ষ্যেই বিসিবি দেশব্যাপী একটি সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন চালু করতে যাচ্ছে। যেখানে বিভিন্ন মাধ্যমের মাধ্যমে প্রচার চালানো হবে দুর্নীতিবিরোধী বার্তা এবং খেলার মূল নৈতিক মূল্যবোধ।
 

Details Bottom
Details ad One
Details Two
Details Three