Image

হাউস অব কমন্সে ‘বোল আউট রেসিজম’ ক্যাম্পেইনের সূচনা

৯৭ প্রতিবেদক: মোহাম্মদ আফজল

প্রকাশ: 4 ঘন্টা আগেআপডেট: 17 মিনিট আগে
হাউস অব কমন্সে ‘বোল আউট রেসিজম’ ক্যাম্পেইনের সূচনা

হাউস অব কমন্সে ‘বোল আউট রেসিজম’ ক্যাম্পেইনের সূচনা

হাউস অব কমন্সে ‘বোল আউট রেসিজম’ ক্যাম্পেইনের সূচনা

ক্রিকেটকে সামাজিক পরিবর্তনের হাতিয়ার হিসেবে তুলে ধরার উদ্যোগে এবার মাঠে নামল যুক্তরাজ্যের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ক্যাপিটাল কিডস ক্রিকেট (CKC)। শনিবার লন্ডনের হাউস অব কমন্সে অনুষ্ঠিত হয় তাদের নতুন ক্যাম্পেইন ‘বোল আউট রেসিজম’-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন। বর্ণ বৈষম্যের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে ক্রিকেটকে ব্যবহার করতেই এই উদ্যোগ। 

এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন ব্রিটিশ এমপি র‍্যাচেল ব্লেক। আয়োজনটি অনুষ্ঠিত হয় লন্ডনের গণপরিবহন ধর্মঘটের দিনে, তবে তা সত্ত্বেও অংশগ্রহণ ছিল উল্লেখযোগ্য। উপস্থিত ছিলেন ক্যাম্পেইনের পার্টনার, সমর্থক ও ক্রিকেট অঙ্গনের প্রতিনিধিরা।

অনুষ্ঠানে অংশ নেন ক্যাপিটাল কিডস ক্রিকেটের প্রেসিডেন্ট এবং ইংল্যান্ড নারী দলের ক্রিকেটার মায়া বাউচার। সাউদাম্পটন থেকে তিনি অনুষ্ঠানে যোগ দেন এবং ক্যাম্পেইনের প্রতি সমর্থন জানান। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক ইংল্যান্ড ফাস্ট বোলার ও মিডলসেক্স ক্রিকেট ইন দ্য কমিউনিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যাঙ্গাস ফ্রেজার, যিনি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

এছাড়া ক্যাম্পেইনের আলোচনায় অংশ নেন CKC-এর ট্রাস্টি আব্দুল হাই ওবিই, চেয়ারম্যান কল্যাণ কুমার (কে কে), মালবেরি স্টেপনি গ্রিন স্কুলের হেড অব পিই মার্টিন স্মিথ এবং CKC-এর দুই রোল মডেল মনভ প্যাটেল ও মো. তানভীর আহমেদ। 

তাঁরা নিজেদের ক্রিকেট যাত্রার কথা তুলে ধরেন এবং ব্যাখ্যা করেন কীভাবে তাঁরা CKC-এর একজন সাধারণ অংশগ্রহণকারী থেকে আজ প্রতিষ্ঠিত কোচ ও পরামর্শদাতা হিসেবে উঠে এসেছেন।

ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ECB)-এর পক্ষ থেকেও অনুষ্ঠানে প্রতিনিধিত্ব ছিল। বক্তব্য দেন বোর্ড সদস্য ব্যারোনেস জাহিদা মানজুর এবং ব্যবসা পরিচালনা ও EDI পরিচালক কেট অ্যালড্রিজ। 

এছাড়া অংশ নেন অ্যারুন্ডেল ক্যাসেল ক্রিকেট ফাউন্ডেশনসহ CKC-এর সহযোগী সংস্থাগুলোর বিভিন্ন প্রতিনিধি। 

ন্যাশনাল ক্রিকেট লিগের চেয়ারম্যান নাহেদ পাটেল এবং নিও ক্রিকেট ক্লাবের চেয়ারম্যান আয়াজ করিম ক্যাম্পেইনটিকে সমর্থন জানান এবং ক্রিকেটকে সামাজিক পরিবর্তনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের গুরুত্ব তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে ক্যাপিটাল কিডস ক্রিকেটের প্রধান নির্বাহী শহিদুল আলম রতন তাঁর বক্তব্যে বলেন, “ক্রিকেট শুধু একটি খেলা নয়, এটি একটি জীবনধারা।” 

এই বক্তব্যটি আসলে ক্যাপিটাল কিডস ক্রিকেটের কাজের দর্শনকে তুলে ধরে। গত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে CKC লন্ডনের অভ্যন্তরীণ শহরাঞ্চলের তরুণদের জন্য ক্রিকেটকে একটি ইতিবাচক বিকল্প হিসেবে তুলে ধরেছে। তবে তাদের কাজ শুধু যুক্তরাজ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। যুক্তরাজ্য ছাড়াও লেবাননে সিরিয়া শরনার্থী ক্যাম্প এবং মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন বিভিন্ন শরণার্থী ক্যাম্পে ক্রিকেট ছড়িয়ে দেওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে এই সংস্থার, যেখানে খেলাধুলাকে ব্যবহার করা হয়েছে আশা, পুনর্বাসন ও মানসিক স্থিতি ফেরানোর উপায় হিসেবে।


‘বোল আউট রেসিজম’ ক্যাম্পেইন CKC-এর দীর্ঘ অভিজ্ঞতার একটি সম্প্রসারিত প্রয়াস। সংস্থাটি এই উদ্যোগের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত তরুণদের মধ্যে বৈচিত্র্য, অন্তর্ভুক্তি ও সহাবস্থানকে উৎসাহিত করতে চায়। ক্রিকেটকে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে ক্যাপিটাল কিডস ক্রিকেট এমন একটি বার্তা দিতে চায়, যেখানে খেলাটি শুধু খেলার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে সমাজে সম্প্রীতি গড়ার অংশ হয়ে ওঠে।
 

Details Bottom
Details ad One
Details Two
Details Three