তামিমের রেকর্ড ইনিংসে সাগরিকায় উড়ে গেল জিম্বাবুয়ে
তামিমের রেকর্ড ইনিংসে সাগরিকায় উড়ে গেল জিম্বাবুয়ে
তামিমের রেকর্ড ইনিংসে সাগরিকায় উড়ে গেল জিম্বাবুয়ে
চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ পেল ৮ উইকেটের বড় জয়। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমের বাজিমাত। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিজের প্রথম ইনিংসটি হাফসেঞ্চুরিতে রাঙিয়েছেন। ৩৬ বলে পেয়েছেন মেডেন ফিফটির দেখা, এরপর দলের জয় নিশ্চিত করে ছেড়েছেন মাঠে। তামিম তাণ্ডবে ২৮ বল আগেই ৮ উইকেটের বড় জয়।
১২৫ রানের সহজ লক্ষ্য টপকাতে ১৫.২ ওভারের বেশি খরচ করতে হয়নি টাইগার ব্যাটারদের। ৮ উইকেটের বড় জয়ে সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।
নিজের অভিষেকটা দুর্দান্ত রাঙিয়েছেন তানজিদ তামিম। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের পরিচয় দিয়ে তুলে নিয়েছেন টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশতক। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এদিন মাত্র ৩৬ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে নিজের প্রথম ফিফটি পান। অভিষেক ম্যাচে ৫০ রান করতে পেরেছেন, বিশ্বে এমন উদাহরণ অনেক। তবে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে এমন কীর্তি গড়েছেন তিনি। এর আগেই এই রেকর্ড ছিল কেবল জুনায়েদ সিদ্দীকির দখলে।
১২৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে নতুন বলে ফের উইকেট হারালেন লিটন দাস। ব্লেসিং মুজারাবানির গতি আর সুইংয়ে মিডল স্টাম্প হারিয়ে লিটন প্যাভিলিয়নে ফেরত যান কেবল ১ রান নিয়ে। ব্যাট-প্যাডের গ্যাপেই লিটনের স্টাম্প উড়িয়ে দেন মুজারাবানি। ৩ ওভারে বাংলাদেশের রান যখন ১০, তখন চট্টগ্রামে আঘাত হানে বেরসিক বৃষ্টি।
ম্যাচ কিছুসময় বন্ধ থাকার পর রাত ৮টা ৫৫ মিনিটে আবার মাঠে নামে দু'দল। আবার রাত ৯ টা ১২ মিনিটে ফের বৃষ্টির আগমন। ৭.২ ওভারে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে তখন ৪৪ রান। তানজিদ হাসান তামিম ২৮ ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ১২ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। খেলা ফের শুরু হয় ৯ টা ৪০ মিনিটে।
ম্যাচ জিততে হলে ৭৬ বলে বাংলাদেশকে করতে হত আরও ৮১ রান, হাতে বাকি ৯ উইকেট। কিন্তু ব্যক্তিগত ২১ রানে উইকেট হারান অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। লিটনের পর শান্তর বিদায়, কিন্তু দায়িত্ব নিয়ে উইকেটে থেকে যান তানজিদ তামিম। দারুণ সব স্ট্রোক্সে দ্যুতি ছড়ান সাগরিকায়। এই বাঁহাতি স্বভাবসুলভ ব্যাটিংয়ে খেলেন ৪৭ বলে ৬৭ রানের আগ্রাসী ইনিংস। তার ইনিংসে ছিল ৮ চার ও ২ ছয়। তার সঙ্গী তাওহীদ হৃদয় অপরাজিত থাকেন ১৮ বলে ৩৩ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে।
এর আগে ব্যাট হাতে কোনপ্রকার লড়াই চালাতে পারেনি জিম্বাবুয়ের টপ অর্ডারের ব্যাটাররা। শেখ মেহেদী, তাসকিনদের বোলিং তোপের সামনে রাজা- বার্লরা দেখালেন অসহায় আত্মসমর্পণ। ১৮ মাস পর জাতীয় দলের জার্সি গায়ে নেমেই অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বাজিমাত। জিম্বাবুয়ের অভিজ্ঞ ব্যাটারদের মধ্যে এদিন ৪ জন পেয়েছেন ডাকের স্বাদ, আবার তিনজনই হয়েছেন গোল্ডেন ডাক। তবে ৮ম উইকেট জুটিতে মাদান্ডে-মাসাকাদজা মিলে জমা করেন ৭৫ রান। আর তাতেই জিম্বাবুয়ে পেল ১২৪ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ।