Image

ব্যাটিং ব্যর্থতায় শ্রীলঙ্কার কাছে বড় পরাজয় বাংলাদেশের

৯৭ প্রতিবেদক: মোহাম্মদ আফজল

প্রকাশ: 4 ঘন্টা আগেআপডেট: 3 মিনিট আগে
ব্যাটিং ব্যর্থতায় শ্রীলঙ্কার কাছে বড় পরাজয় বাংলাদেশের

ব্যাটিং ব্যর্থতায় শ্রীলঙ্কার কাছে বড় পরাজয় বাংলাদেশের

ব্যাটিং ব্যর্থতায় শ্রীলঙ্কার কাছে বড় পরাজয় বাংলাদেশের

এশিয়া কাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটিং ব্যর্থতায় মুখ থুবড়ে পড়েছে বাংলাদেশ। আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৬ উইকেটে হারের দিনে রক্ষা করেছেন কেবল শামীম হোসাইন ও জাকের আলী অনিকের লড়াকু জুটি।

টানা তিনটি টি–টোয়েন্টি সিরিজ জিতে আত্মবিশ্বাসে ভর করেই এশিয়া কাপ খেলতে এসেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শনিবার আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে সেই আত্মবিশ্বাস খুঁজে পাওয়া গেল না লঙ্কানদের বিপক্ষে। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ হেরে গেছে ৬ উইকেটে, এবং ৩২ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা।

একাদশে এক পরিবর্তন এনে ম্যাচে নামে বাংলাদেশ, তাসকিন আহমেদের পরিবর্তে দলে ফেরেন শরীফুল ইসলাম। যদিও ম্যানেজমেন্ট চাইলে তাসকিনকে হংকংয়ের বিপক্ষে বিশ্রামে রাখতে পারত।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ষষ্ঠ উইকেটে শামীম হোসাইন ও জাকের আলী অনিকের ৮৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দল পৌঁছায় ১৩৯ রানে। লক্ষ্য তাড়ায় নামা শ্রীলঙ্কা শুরু থেকেই ছিল নিয়ন্ত্রিত। মাত্র ৪ উইকেট হারিয়ে এবং ৩২ বল হাতে রেখেই ম্যাচ জিতে নেয় লঙ্কানরা।

১৪০ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নামা লঙ্কান ব্যাটারদের একবারও চাপে ফেলতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে কুশল মেন্ডিসকে (৩) মুস্তাফিজুর রহমান ফিরিয়ে কিছুটা আশা জাগালেও এরপরের গল্পটা ছিল একতরফা। পাথুম নিশাঙ্কা (৫০) ও কামিল মিশারা (৪০) দ্বিতীয় উইকেটে গড়েন ৯৫ রানের জুটি।

৩১ বলে হাফ সেঞ্চুরি করা নিশাঙ্কা মাহেদীর বলে ফিরলেও ম্যাচ আগেই প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। নিশাঙ্কার ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও একটি ছয়। এরপর কুশল পেরেরা (৯) মাহেদীর শিকার হলে এবং দাসুন শানাকা (১) তানজিম হাসানের বলে ফিরলে কিছুটা আশা জাগলেও বাংলাদেশের বোলারদের আর কোনো সাফল্য ছিল না।

তবে ম্যাচের নায়ক ছিলেন কামিল মিশারা। তিনে নেমে ৩২ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৪৬ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে অপরাজিত থেকেই শ্রীলঙ্কাকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। তাঁর সঙ্গে শেষ দিকে ক্রিজে ছিলেন অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কা (১০*)।

বাংলাদেশের হয়ে ইনিংসের শুরুতে বড় ধাক্কা দেন লঙ্কান পেসাররা। নুয়ান তুশারার প্রথম ওভারেই তানজিদ হাসান তামিম (০) কোনো রান না করেই ফিরেন। আরেক ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমনও শূন্য রানে বিদায় নেন দুশমন্ত চামিরার বলে।

প্রথম দুই ওভারেই ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে দল। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন অধিনায়ক লিটন দাস। ৪ বাউন্ডারিতে ২৬ বলে ২৮ রান করা লিটন কিছুটা স্থিতিশীলতা আনলেও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। উইকেটের একপ্রান্তে থেকে লিটন ফিরতে দেখেন হৃদয় (৮) ও মাহেদী হাসান (৯) কে। হৃদয় রানআউট হলেও মাহেদীকে ফিরেন হাসারাঙ্গার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে।

দলের ৫৩ রানে ৫ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর ভরসা হয়ে ওঠেন শামীম হোসাইন ও জাকের আলী অনিক। ঝুঁকিহীন ব্যাটিংয়ে দুজন গড়েন ৮৬ রানের অবিচ্ছিন্ন এক জুটি, যা বাংলাদেশকে ২০ ওভারে ১৩৯ রানে পৌঁছাতে সাহায্য করে।
শামীম হোসাইন ৩৪ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন, সমান রান করেন জাকের আলী অনিকও—৩৪ বলে ৪১ রানের ইনিংসে ছিল দায়িত্বশীলতা।

শ্রীলঙ্কার হয়ে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা নেন ২ উইকেট। চামিরা ও তুশারা নেন একটি করে উইকেট।
 

Details Bottom
Details ad One
Details Two
Details Three