দায় নিলেও জিম্বাবুয়ের কাছে হারে চূড়ান্ত 'হতাশ নন' শান্ত

দায় নিলেও জিম্বাবুয়ের কাছে হারে চূড়ান্ত 'হতাশ নন' শান্ত
দায় নিলেও জিম্বাবুয়ের কাছে হারে চূড়ান্ত 'হতাশ নন' শান্ত
তৃতীয় দিন শেষে ৬০ রানে অপরাজিত ছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু পরের দিনের শুরুতেই মুজারাবানির শর্ট ডেলিভারির লোভ সামলাতে না পেরে ক্যাচ তুলে উইকেটের আত্মহত্যা। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ হারার পর নিজের আউটকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন শান্ত। হারের সব দায় তাই নিজের কাঁধেই নিয়েছেন। দায় নিলেও এই হারে যে তিনি চূড়ান্ত হতাশ নন, সেটা জানাতে দ্বিধা করলেন না।
অপরাজিত ফিফটিতে দলের আশা জিইয়ে রেখেছিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। আশা ছিল, পরের দিন ব্যাটিংয়ে নেমে বাড়াতে থাকবেন দলের লিড। তবে চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় বলেই আউট হয়ে যান অহেতুক এক শট খেলতে গিয়ে। শান্তর আউটেই জয়ের সুবাস পেতে শুরু করে জিম্বাবুয়ে। পরবর্তীতে আর কোনো ব্যাটারই দলকে সহযোগিতা করতে পারেনি। জাকের আলি অনিক টিকে গেলেও পাননি যোগ্য সঙ্গ।
ম্যাচ শেষে হারের দায় নিজের কাঁধে নিয়ে যে কথা বলছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, ‘আজকের ম্যাচ নিয়ে যদি আমাকে জিজ্ঞেস করেন, ম্যাচটা আমি একা হারিয়ে দিয়েছি, সত্যি কথা। সকালে ওই আউটটাতে আমার মনে হয় পুরো খেলাটা নষ্ট হয়ে গেছে। ওখানে যদি একটা ৫০-৬০ রানের জুটি হতো, তাহলে হয়তো ২২০ বা এর বেশি রান হলে কিন্তু আমরা ভালো অবস্থানে থাকতাম। (হারের) পুরো দায়ভার আমি নিতে চাই। খুব বাজে সময়ে আউট হয়েছি।’
শান্ত যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন, বাংলাদেশ সঠিক পথেই ছিল। তিনি আউট হতেই পরের ব্যাটিং অর্ডার হুড়মুড়িয়ে পড়ে। সকালের সেশনে ৬১ রান তুলে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৫৫ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। অধিনায়ক শান্ত দায় নিলেও এই হারে যে তিনি চূড়ান্ত হতাশ নন, সেটা জানাতে দ্বিধা করলেন না।
'নাজমুলের কণ্ঠেও, 'বেশি বলব না। যেকোনো ম্যাচ হারলেই খারাপ লাগে। অবশ্যই আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী আমরা খেলতে পারিনি। এটা আমি বিশ্বাস করি। কারণ আমরা এর থেকে ভালো খেলার মত দল। অনেক বেশি খারাপ লাগছে ব্যাপারটা এমন না। নরমালি ম্যাচ হারলে যেরকম খারাপ লাগে সেরকম লাগছে।'
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বুধবার সিরিজের প্রথম টেস্টের চতুর্থ দিনে এসে তিন উইকেটের জয় তুলে নেয় জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের ছুঁয়ে দেওয়া ১৭৪ রানের লক্ষ্য ৫০.১ ওভারে তুলে নেয় সফরকারী দলটি।