যেভাবে যা করলেন সোহান; সাফল্যের কৃতিত্ব দিলেন মহান আল্লাহকে
যেভাবে যা করলেন সোহান; সাফল্যের কৃতিত্ব দিলেন মহান আল্লাহকে
যেভাবে যা করলেন সোহান; সাফল্যের কৃতিত্ব দিলেন মহান আল্লাহকে
বরিশালকে হারাতে শেষ ওভারে ২৬ রান দরকার ছিল ২৬ রান। স্ট্রাইকে থাকা নুরুল হাসান সোহান ৩ ছক্কা ৩ চারে ৩০ রান নিয়ে রংপুরকে জেতালেন অবিশ্বাস্যভাবে। বরিশালের হাতে থাকা জয় যেন ছিনিয়েই নিলেন। সোহানের কালবোশেখী ঝড়ে রীতিমতো ডুবল বরিশালের লঞ্চ। এমন ম্যাচ জেতানো সাফল্যের কৃতিত্ব মহান আল্লাহকে দিলেন রংপুর রাইডার্সের ক্যাপ্টেন। কাইল মায়ের্সের প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ জেতানোর আত্মবিশ্বাস পেয়ে যান সোহান।
নুরুল হাসান সোহানের বীরত্বে নিশ্চিত জিততে থাকা ম্যাচ অবিশ্বাস্যভাবে হারতে হয়েছে ফরচুন বরিশালকে। চলতি বিপিএলের সবচেয়ে সুন্দর মুহূর্ত। ম্যাচ জয়ের পর সোহান সৃষ্টিকর্তার প্রতি শুকরিয়া আদায় করলেন। বললেন, এটাই তার ক্যারিয়ারে খেলা অন্যতম সেরা ইনিংস।
'আলহামদুলিল্লাহ, সম্মান দেওয়ার মালিক আল্লাহ। শুকরিয়া আদায় করতেছি দলের জন্য অবদান রাখতে পেরেছি। এরকম একটা কাজ করতে পেরেছি। যেহেতু দলকে জেতাতে পেরেছি এটা আমার ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস।'
শেষ ওভারে জয়ের জন্য সমীকরণ মোটেও সহজ ছিল না রংপুর রাইডার্সের। দলকে অবিশ্বাস্য জয় এনে দেওয়ার পর সোহান জানালেন তার চিন্তায় ছিল কেবলই বাউন্ডারি, ওভার বাউন্ডারি হাঁকানো, 'বড় শটের পরিকল্পনা ছিল। আল্লাহর উপর বিশ্বাস রেখে আমি যেটা চেয়েছিলাম ১-২ ওরকম কিছু না, যদি আমার জোনে পাই ওভার বাউন্ডারিই মারবো। বাউন্ডারি হোক এই অপশনেই যাচ্ছিলাম।'
সোহানের এমন অতিমানবীয় ইনিংস খেলার পেছনে খুশদিল শাহ, কামরুল ইসলাম রাব্বির অবদানও কম না। সোহান যে ম্যাচ জেতাতে পারবেন এই বিশ্বাস আরও প্রবল হয় কাইল মায়ের্সকে ২০তম ওভারের প্রথম ডেলিভারিতে ছয় হাঁকানোর পর। বিহাইন্ড দ্য সিনের গল্প শোনাতে গিয়ে সোহান বললেন,
'আগের ওভারে যখন নেমেছি খুশদিল দুইটা ছয় মারল। ও বলতেছিল যে এই ম্যাচ জেতা সম্ভব। শেষ ওভারে ২৬ রান লাগতো, রাব্বি ভাইয়ের (কামরুল ইসলাম রাব্বি) সাথে কথা বলতেছিলাম। তখন রাব্বি ভাই বলতেছিল তুমিই খেলো ছয়টা বল। ভালো শেপে থাকলে মারতে পারলে হয়ে যাবে। তারপর যখন প্রথম বল ছয় হয়েছে তখন আস্তে-আস্তে বিশ্বাসটা আরও বেড়েছে, ইনশাআল্লাহ সম্ভব।'