বরিশালকে উড়িয়ে রংপুর রাইডার্স পূরণ করল ‘মিশন হেক্সা’
বরিশালকে উড়িয়ে রংপুর রাইডার্স পূরণ করল ‘মিশন হেক্সা’
বরিশালকে উড়িয়ে রংপুর রাইডার্স পূরণ করল ‘মিশন হেক্সা’
হেক্সা মিশন বাস্তবে ধরা দিয়েছে রংপুর রাইডার্সের। বিপিএলে শক্তিতে সবচেয়ে এগিয়ে থাকা দুই দলের লড়াইয়ে শেষ হাসি নুরুল হাসান সোহানদের। রংপুরকে ১৯৮ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল। শেষ ওভারে নুরুল হাসান সোহান তাণ্ডব চালিয়ে দলকে ৩ উইকেটে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। ৬ বলে দরকার ছিল ২৬ রানের, প্রায় অসম্ভব এই কাজটাই যেন সহজ করলেন ক্যাপ্টেন সোহান। বরিশালের পেসার কাইল মায়ের্সকে ৩ ছক্কা ও ৩ চার হাঁকিয়ে দলকে রুদ্ধশ্বাস জয় এনে দিলেন সোহান।
বরিশালের দুই'শ ছুঁই ছুঁই রানের চাপে শুরুতেই খেই হারিয়েছিল রংপুর। ফর্মের তুঙ্গে থাকা ওপেনার অ্যালেক্স হেলস আজ ১ রানের বেশি করতে পারেননি। তবে দুই পাকিস্তানি তারকা ইফতিখার আহমেদ ও খুশদিল শাহ'র ব্যাটে চড়ে আশা দেখেছিল রংপুর। যা শেষ অবদি পূরণ হয় অধিনায়ক সোহানের অতিমানবীয় ব্যাটিংয়ে। শেষ ওভারে ৩০ রান নিয়ে রংপুরের জয়ের নায়ক ক্যাপ্টেন সোহান।
হেক্সা মিশন পূর্ণ করতে ১৯৮ রানের লক্ষ্য পায় রংপুর রাইডার্স। শুরুতেই অ্যালেক্স হেলসকে হারিয়ে বিপাকে পড়ে টেবিল টপাররা। এরপর অবশ্য সাইফ হাসান আর ওপেনার তৌফিক খান তুষারের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় রংপুর। তবে তাদের ধীরগতির ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে রান আসে কেবল ৩৪। পরের ওভারেই ২২ রান করা সাইফের উইকেট শিকার করে বরিশালকে গুরুত্বপূর্ণ ব্রেকথ্রু এনে দেন ফাহিম আশরাফ।
আজিজুল হাকিম তামিমের জায়গায় রংপুরের সেরা একাদশে জায়গা পাওয়া তৌফিক খান তুষার অবশ্য দলকে দিয়েছেন স্বস্তি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে রিশাদ হোসেনকে ফিরতি ক্যাচ দেওয়া তুষার সমান ৩ চার ও ছক্কায় ২৮ বলে করেন ৩৮ রান। ৯ ওভারে দলের রান যখন ৬৬, তৃতীয় উইকেট হারায় রংপুর। এরপর ইফতিখার আহমেদ ও খুশদিল শাহ ঝড় তুলেও দলকে জয় এনে দিতে পারেননি।
এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে তামিম ইকবাল ও নাজমুল হোসেন শান্তর ওপেনিং জুটিতে উড়ন্ত সূচনা পায় ফরচুন বরিশাল। ১০ ওভারে ৮১ রান স্কোরবোর্ডে জমা করে নাজমুল শান্ত প্যাভিলিয়নে ফেরেন ৪১ রানে। ৩০ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় এই ইনিংস সাজান শান্ত। কামরুল ইসলাম রাব্বি ওভারে নিয়েছেন জোড়া উইকেট। শান্তর পর তুলে নেন ৪০ রানে থাকা তামিমের উইকেটও।
তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাট থেকে আসে ২৩ রান। ২ রান করতেই সাইফউদ্দিনের শিকার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবে বরিশালের সংগ্রহ দুইশোর কাছে নিয়ে যেতে বড় অবদান রাখেন কাইল মায়ের্স ও ফাহিম আশরাফ। ৬ বলে ২০ রানের ক্যামিও খেলেন ফাহিম। ২৭ বলে ফিফটি হাঁকিয়ে ৬১ রানে অপরাজিত থাকেন মায়ের্স। আর তাতেই ফরচুন বরিশালের রান ২০ ওভারে ১৯৭।