বিসিবি তদন্তে নতুন বাঁক, জাহানারার লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়ার সময় বাড়ল
৯৭ প্রতিবেদক: মোহাম্মদ আফজল
প্রকাশ: 2 ঘন্টা আগে আপডেট: 2 মিনিট আগে-
1
ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে মুস্তাফিজের চাহিদার কারণ জানালেন টেইট
-
2
শামীম ইস্যুতে উত্তেজনার পর সব স্বাভাবিক, নেতৃত্ব নিয়ে স্পষ্ট লিটন
-
3
তানজিদ তামিমের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের সিরিজ জয়
-
4
আয়ারল্যান্ডকে ১১৭ রানে বেঁধে রাখলো বাংলাদেশ, লক্ষ্য ১১৮ রানের
-
5
তামিম-সাইফদের পাওয়ার প্লে তেই এ্যাটার্ক করতে বলেছিলেন লিটন
বিসিবি তদন্তে নতুন বাঁক, জাহানারার লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়ার সময় বাড়ল
বিসিবি তদন্তে নতুন বাঁক, জাহানারার লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়ার সময় বাড়ল
স্বাধীন তদন্ত কমিটি প্রধান অভিযোগকারীর অনুরোধে সময়সীমা বাড়িয়েছে। বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক জাহানারা আলম এখনও তার লিখিত অভিযোগ জমা দেননি। প্রধান অভিযোগকারীর আবেদনের প্রেক্ষিতে বিসিবির স্বাধীন তদন্ত কমিটি তার লিখিত অভিযোগ জমার সময় ১৫ কার্যদিবস বৃদ্ধি করেছে, এবং নতুন সময়সীমা অনুযায়ী প্রতিবেদন পাওয়া যাবে ২০ ডিসেম্বর ২০২৫।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কমিটির এক সদস্য গণমাধ্যমকে জানান, “মূল অভিযোগকারী নিজেই সময় চেয়েছেন। ন্যায়সঙ্গত ও স্বচ্ছ তদন্তের জন্য আমরা সময়সীমা বাড়িয়েছি। আমাদের লক্ষ্য হলো অভিযোগের প্রতিটি দিক পূর্ণাঙ্গভাবে যাচাই করা।”
গেল নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে জাহানারা আলম ফ্রিল্যান্স ক্রীড়া সাংবাদিক রিয়াসাদ আজিমের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ্যে অভিযোগ তুলেন যে, জাতীয় দলে খেলার সময় তিনি যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন।
বাংলাদেশ নারী দলের সাবেক এই পেসারের অভিযোগের লক্ষ্য ছিল বিসিবির নারী বিভাগের সাবেক নির্বাচক ও ম্যানেজার, সাবেক জাতীয় পেসার মঞ্জুরুল ইসলাম এবং প্রয়াত বিভাগের ইনচার্জ তৌহিদ মাহমুদ। এছাড়াও তিনি আরও কয়েকজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উত্থাপন করেন।
প্রাথমিকভাবে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। পরে ৯ নভেম্বর আরও দুই সদস্য যোগ করা হয়। তাদের মূলত ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সময়সীমা শেষ হওয়ার পর তদন্তের অগ্রগতির ওপর প্রশ্ন ওঠে। জাহানারার অনুরোধে কমিটি সময় বাড়িয়ে নতুন সময়সীমা নির্ধারণ করেছে।
জাহানারা জানিয়েছেন, তিনি আগে বোর্ডের সংশ্লিষ্ট মহলে অভিযোগ জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাননি। তাই প্রকাশ্যে অভিযোগ করা তার জন্য বাধ্যতামূলক হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার সাক্ষাৎকারের পর বিসিবি ও দেশের ক্রীড়াঙ্গনে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) কমিটিতে দুটি স্বাধীন বিশেষজ্ঞ নিয়োগের আহ্বান জানিয়েছে। এছাড়াও, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় আগে থেকেই জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সব ফেডারেশনে অভিযোগ কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিয়েছিল।
মঙ্গলবার বিসিবি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, তারা পুরো প্রক্রিয়ায় ন্যায়নিষ্ঠ ও স্বচ্ছ তদন্ত সম্পন্ন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বোর্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা এবং নারী ক্রিকেটের মান আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।”
ক্রিকেট ভক্ত এবং সাবেক খেলোয়াড়রা কমিটির প্রতিবেদনের দিকে কড়া নজর রাখছেন। তারা আশা করছেন, তদন্তটি নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন হবে এবং ভবিষ্যতে খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ নজির স্থাপন করবে।
