শামীম ইস্যুতে উত্তেজনার পর সব স্বাভাবিক, নেতৃত্ব নিয়ে স্পষ্ট লিটন

৯৭ প্রতিবেদক: নাজিফা তাসনিম

প্রকাশ: 54 মিনিট আগে আপডেট: 1 সেকেন্ড আগে
শামীম ইস্যুতে উত্তেজনার পর সব স্বাভাবিক, নেতৃত্ব নিয়ে স্পষ্ট লিটন

শামীম ইস্যুতে উত্তেজনার পর সব স্বাভাবিক, নেতৃত্ব নিয়ে স্পষ্ট লিটন

শামীম ইস্যুতে উত্তেজনার পর সব স্বাভাবিক, নেতৃত্ব নিয়ে স্পষ্ট লিটন

সিরিজ শুরুর আগের দিন দল নির্বাচন নিয়ে প্রকাশ্যে তৈরি হওয়া উত্তেজনা যা বাংলাদেশ ক্রিকেটে বিরল একটি ঘটনা শেষ পর্যন্ত কাটিয়ে উঠেছে দল। মাঠে ব্যর্থ সূচনা হলেও শেষ দুই ম্যাচে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে সিরিজ জয় এনে দল আবারও ফিরে পেয়েছে পারিবারিক পরিবেশ। এক সপ্তাহ আগের গোলমেলে ঘটনার পর এখন লিটন দাসরা একসুরেই জানাচ্ছেন, ভুল বোঝাবুঝি কেটে গেছে, দল ঠিক আগের মতোই ঐক্যবদ্ধ।

সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচের দলে শামীম হোসেন পাটোয়ারি বাদ পড়ায় তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন অধিনায়ক লিটন দাস। তার দাবি ছিল, এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি তাকে। পরে সংবাদ সম্মেলনেই প্রকাশ্যে নিয়ে আসেন সেই অসন্তোষ। শামীমের জায়গায় দলে নেওয়া হয় মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে যা নিয়ে লিটনের দৃঢ় আপত্তি ছিল।

সংবাদ সম্মেলনে মতবিরোধ প্রকাশের পর পরিস্থিতি আরও জটিল হয়। এমনকি নেতৃত্ব ধরে রাখবেন কিনা, সেই প্রশ্নও তখনই সামনে আসে। সেই পর্যায়ে যাওয়াটাই দলের ভেতর-বাইরে তৈরি করেছিল অস্বস্তির বাতাবরণ।

শুধু নির্বাচক প্যানেল নয়, লিটনের ইশারা ছিল বিসিবির দিকেও। তার ভাষ্যমতে, বোর্ড থেকে বলা হয়েছিল ‘যে দল দেওয়া হবে তা নিয়েই খেলতে হবে।’ সেই উত্তপ্ত অবস্থায় প্রথম ম্যাচে হার আরও বাড়িয়ে দেয় চাপ। তবে দলের প্রত্যাবর্তন ঘটে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচে জয়ের মধ্য দিয়ে।

সিরিজ জয়ের পর চট্টগ্রামের সংবাদ সম্মেলনে এসে আগের বিতর্ক নিয়ে খোলাসা করেন অধিনায়ক। সেখানে তিনি বলেন,
"দেখুন, হিট অব দ্য মোমেন্টে অনেক কিছু হয়েছে, দুই দিক থেকেই হয়েছে। কিন্তু যে জিনিসটা হয়েছে, সেটা ক্রিকেটের জন্য ভালো না। পরবর্তী সময় থেকে এই জিনিসগুলো হবে না এবং এরপর আমরা সুন্দর করে বসে কথা বলেছি। এটা ভালো একটা বিষয় ছিল।"

তৃতীয় টি-টোয়েন্টির আগে চট্টগ্রামে টিম হোটেলে এসে দেখা করেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। অধিনায়ক লিটন ও কোচ ফিল সিমন্সকে নিয়ে হয় দীর্ঘ আলোচনা। লিটনের ভাষ্যমতেই, এই বৈঠকই সব ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে দেয়।

আগের সংবাদ সম্মেলন শেষে বেরোনোর সময় লিটনের কণ্ঠে শোনা গিয়েছিল নেতৃত্ব নিয়ে অনিশ্চয়তার ইঙ্গিত। তবে এবার তিনি দৃঢ়ভাবে জানালেন,
"আমি জানি না, এই কথাটা কেন আসছে। আমি তো সংবাদ সম্মেলনে বলিনি। না, না, এরকম কোনো কিছু না। এটা এমন একটা কাজ যা কোনো ক্রিকেট প্লেয়ারই করবে না (অধিনায়কত্ব এই সময়ে ছেড়ে দেওয়া)। ইনফ্যাক্ট, আমিও করব না। এতদিন ধরে একটা টিমকে একটা জায়গা থেকে টেনেছি, এই জায়গায় নিয়েছি। টিম গোছানো হয়েছে। আর প্রত্যেকটা প্লেয়ারের একটা স্বপ্ন থাকে ওয়ার্ল্ড কাপ খেলার। ওই জায়গা থেকে বলব যে, কখনোই এমন কিছু হবে না।"

আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চে ভারত ও শ্রীলঙ্কায় হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তার আগে আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশের আর কোনো ম্যাচ নেই। মাঝের সময়টায় খেলোয়াড়রা ব্যস্ত থাকবেন বিপিএল নিয়ে। তাই সবশেষ সিরিজ জয়টাই হয়ে রইল বিশ্বকাপের প্রস্তুতির শেষ ঝালাই।