ভারতের কোচ হয়ে প্রথমবার যা বললেন গৌতম গম্ভীর
ভারতের কোচ হয়ে প্রথমবার যা বললেন গৌতম গম্ভীর
ভারতের কোচ হয়ে প্রথমবার যা বললেন গৌতম গম্ভীর
সবেমাত্র ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব নিয়েছেম গৌতম গম্ভীর। চলতি মাসের শেষে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে তার আনুষ্ঠানিক যাত্রা। প্রধান কোচ হওয়ার পর প্রথমবার স্টার স্পোর্টসে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ভারতীয় ক্রিকেট দল নিয়ে তার ভাবনা জানিয়েছেন গম্ভীর।
গম্ভীর মনে করেন খেলোয়াড়দের তিন ফরম্যাটেই খেলা উচিৎ। চোটাঘাত এবং ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের উপরে জোর দিয়ে তিনি বলেন, ”স্পোর্টসম্যানদের জীবনের সঙ্গে চোটাঘাত জড়িত। তিনটি ফরম্যাটে অংশ নিলে চোটাঘাত হতেই পারে। তবুও তিনটি ফরম্যাটেই খেলতে হবে। কে টেস্ট ফরম্যাটে খেলবে, কে অন্য ফরম্যাটে, তা আমি স্থির করিনি। সেই মন্ত্রেও আমি বিশ্বাসী নই।”
তিন ফরম্যাটে খেলা নিয়ে গম্ভীর আরো বলেন, ‘‘চোট খেলোয়াড়দের জীবনের অংশ। কেউ তিন ধরণের ক্রিকেট খেললে চোট লাগতেই পারে। চোট লাগলে আবার ফিট হয়ে ফিরতে হয়। তার পর আবার সে তিন ধরণের ক্রিকেটই খেলতে পারে। কাউকে নির্দিষ্ট কোনও ধরণের ক্রিকেটের জন্য চিহ্নিত করতে চাই না। কেউ শুধু টেস্ট খেলবে, এটা বলা যায় না। তার উপর যাতে বেশি চাপ না পড়ে বা চোট না লাগে, সেই ভাবে ব্যবহার করায় ব্যবস্থায় বিশ্বাস করি না।’’
ক্রিকেটারদের জীবন নিয়ে গম্ভীর বলেছেন, ‘‘এক জন পেশাদার ক্রিকেটারের জীবন খুব বড় হয় না। সে যখন দেশের হয়ে খেলে, তখন তার লক্ষ্য থাকে যত বেশি সম্ভব খেলা। কেউ ভাল ফর্মে থাকলে, তার তিন ধরণের ক্রিকেটই খেলা উচিত।’’
ভারতীয় দলের ক্রিকেটারদের প্রতি বার্তা দিয়ে গম্ভীর বলেন ক্রিকেট দলগত খেলা। তাই দলের স্বার্থই তাঁর কাছে সব সময় অগ্রাধিকার পাবে, ‘‘ক্রিকেটারদের একটাই কথা বলতে চাই। সততার সঙ্গে খেল। পেশাদার হিসাবে যতটা সম্ভব ততটা সৎ থাকার চেষ্টা কর। তা হলেই সাফল্য পাবে। আমি যখন ব্যাট করতাম, তখন কখনও ফলের কথা ভাবতাম না। কখনও নিজের কথা ভেবে খেলিনি কথা। লক্ষ্য থাকত যত বেশি সম্ভব রান করা। পেশাগত ভাবে সব সময় সৎ থাকার চেষ্টা করেছি। তাতে যা হওয়ার হয়েছে। আসলে জীবনে কিছু নীতি থাকা দরকার। মূল্যবোধ নিয়ে বাঁচা উচিৎ। যেটা সঠিক মনে হয়, সেটাই করা উচিৎ। তাতে পুরে বিশ্ব বিরুদ্ধে চলে গেলেও নিজের নীতি থেকে সরে যাওয়া ঠিক নয়। বিশ্বাস রাখতে হবে, যেটা করছি সেটা দলের প্রয়োজনের জন্যই করছি এবং সেটাই সেরা।’’
গম্ভীরের দলে খেলতে হলে ক্রিকেটারদের নিজের স্বার্থ আগে দেখা যাবে না বলে তিনি বলেন, ‘‘মাঠে আগ্রাসী থাকতে পছন্দ করি। অনেক সময় তর্কে জড়িয়েছি। সব সময় দলের স্বার্থেই তর্ক করেছি। দলই শেষ কথা। তাই দলের স্বার্থ মাথায় রেখেই সব কিছু করার চেষ্টা করি। ক্রিকেট ব্যক্তিগত স্বার্থ গুরুত্বপূর্ণ নয়। সকলের উচিত দলকে জেতানোর জন্য নিজের সেরাটা দেওয়া। দলগত খেলায় এটাই প্রয়োজন। মাথায় রাখতে হবে, ক্রিকেট কোনও ব্যক্তিগত খেলা নয়। তাই এখানে ব্যক্তিগত সাফল্যের কথা ভেবে খেললে হবে না। দলই সবার আগে। দলই সব। এক জন ক্রিকেটারের স্বার্থ সব শেষে।’’