রোহিতের শতকেও হারের স্বাদ পেল মুম্বাই
রোহিতের শতকেও হারের স্বাদ পেল মুম্বাই
রোহিতের শতকেও হারের স্বাদ পেল মুম্বাই
রোহিত শর্মার শতকও বাঁচাতে পারেনি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে। গত দুই ম্যাচে জয়ের পর আবারও হারতে হয়েছে। এবার চেম্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে ২০ রানের পরাজয় স্বীকার করেছে মুম্বাই। আইপিএলের ‘এল ক্ল্যাসিকো’ হিসেবে খ্যাত হয়ে উঠেছে চেন্নাই-মুম্বাই ম্যাচ। রবিবার রাতের ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে ২০৬ রান করে চেন্নাই। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৬ রানে থামে মুম্বাইয়ের লড়াই।
রোহিতের কাছ থেকে দায়িত্ব উঠেছে হার্দিক পান্ডিয়ার কাছে। সে দায়িত্বের অংশে খুব বেশি জ্বলে উঠতে পারছেন না হার্দিক। বল ও ব্যাট দুই অংশেই বেশ অনুজ্জ্বল অবস্থায় তিনি। অন্যদিকে রোহিতের ব্যাট চেন্নাইয়ের দেওয়া লক্ষ্যমাত্রা ভেদ করতে বেশ চেষ্টা করে গেল, তবে তা আর জয়ে পরিণত হয়নি।
টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে অজিঙ্কা রাহানেকে শুরুতেই হারিয়েছে চেন্নাই। আরেক ওপেনার রাচিন রবীন্দ্র ইনিংস বড় করতে যেয়ে ব্যর্থ হয়েছেন। তিনে নামা অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের সাথে শিভাম দুবে মিলে দলের ভিত গড়েছেন। দুজনের বড় জুটি বড় সংগ্রহের পথে নিয়ে যাচ্ছিল চেন্নাইকে।
গায়কোয়াড় যখন ৬৯ (৪০) রানে ফেরেন, দলের রান তখন ১৫০। তখন চলছিল ১৬ ওভারের খেলা। দুবে অপরাজিত ছিলেন শেষপর্যন্ত। আর ছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। এই সাবেক চেন্নাই অধিনায়ক ইনিংসের শেষ ৪ বল মোকাবিলা করতে গিয়ে ৩ টি ছক্কা হাঁকিয়ে বসেন পান্ডিয়ার ডেলিভারিতে। আর চেন্নাইয়ের রান বন্যা থামে ২০৬ এ এসে।
লক্ষ্যমাত্রা কম নয়। আর এতে রোহিত ও ইশান কিষান শুরুটা খারাপ করেনি। যদিও ইশানের ইনিংস বড় হতে গিয়েও সম্ভব হয়ে ওঠেনি। ১৫ বলে ২৩ রানে শেষ হয়েছে মাথিশা পাথিরানার শিকার হয়ে।
সেই একই ওভারে সুরিয়াকুমার যাদবকে ফিরিয়েছেন পাথিরানা। মুস্তাফিজুর রহমানের এক অসাধারণ ক্যাচে ২ বল খেলে কোনো রান না করেই ফিরেছে এই ব্যাটার। বাকি ব্যাটারদের মধ্যে থেকে তেমন আশানুরূপ কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
তিলক ভার্মা ২০ বল খেলে ৩১ রান করেছেন। আর রোহিত এক পাশ আগলে রেখে নিজের কাজটুকু চেষ্টা করে গেছেন। সবসময় ভুগেছেন একজন যোগ্য সঙ্গীর অভাবে।
শেষ ওভারে এসে হান্ড্রেড তুলে নেন এই মুম্বাই ওপেনার। কিন্তু কোনো উদযাপন আর করেননি। তখন অনেকটা হার নিশ্চিত হয়ে বসে আছে। পাথিরানার শেষ ছয় বলে দরকার ছিল ৩৪ টি রান। আর মুম্বাই হেরেছে ২০ রানের ব্যবধানে।
রোহিত অপরাজিত ছিলেন ৬৩ বল খেলে ১০৫ রানে। যেখানে ছিল ১১ টি চার এবং ৫ টি ছক্কার মার।
চেন্নাইয়ের হয়ে দারুণ বোলিং করেছেন মাথিশা পাথিরানা। ৪ ওভার বল করে ২৮ রান দিয়ে সংগ্রহ করেছেন ৪ টি উইকেট। মুস্তাফিজুর রহমান ছিলেন সবচেয়ে খরুচে। ৪ ওভার বল করে ১ উইকেট নিয়ে ৫৫ রান দিয়েছেন তিনি।