ফিটনেস টেস্টে যা যা হল, পিছিয়ে রিয়াদ-শামীমরা
ফিটনেস টেস্টে যা যা হল, পিছিয়ে রিয়াদ-শামীমরা
ফিটনেস টেস্টে যা যা হল, পিছিয়ে রিয়াদ-শামীমরা
আজ ভোর হতে না হতেই বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ৩৫ ক্রিকেটার স্প্রিন্টস ও টাইম ট্রায়ালসের জন্য পা রাখেন গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু ন্যাশনাল ফুটবল স্টেডিয়ামে। ১৬০০ মিটার দৌড়ের দমের পরীক্ষায় রিয়াদ-শামীমের বেহাল দশা।
শান্তদের নতুন ট্রেইনার ইফতেখার ইসলাম ইফতি ট্রেনিং শেষে জানান,
'এই পরীক্ষার মাধ্যমে বুঝলাম খেলোয়াড়দের অবস্থাটা কি। এটার মধ্যে পাশ-ফেলের কিছু নেই। ডিপিএল গিয়েছে, বিপিএল গিয়েছে। এরপরে ওদের ফিটনেসের অবস্থা কি সেটা জানার জন্য। এটা জানার পর খেলোয়াড়দের কাকে কি অনুশীলন করাতে হবে এটা খুঁজে বের করব। ওদের জানিয়ে দেব, ওভাবে আমরা প্রয়োগ করব'
'অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাক বেছে নেওয়া আসলে টাইমিংয়ের একটা বিষয় আছে। আমরা যদি আন্তর্জাতিকভাবে অনুসরণ করি তাহলে বেশ কিছু টেস্টিং মেথড আছে, আমরা আজ ১৬শ মিটার টাইম ট্রায়াল নিলাম। অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাকে যদি নেই আমরা তাহলে প্রপার টাইমিংটা...কারণ ওইভাবেই ক্যালকুলেট করা হয়। এটা ওদের কাছে নতুন মনে হয়েছে। সব মিলিয়ে ভালো।'
'আমরা ১৬শ মিটার নিছি তাদের কার্ডিও ভাস্কুলার সিষ্টেম কীভাবে কাজ করে, ওদের ক্যাপাসিটি কেমন। স্পিন্ট টেস্ট নিলাম বুঝতে তারা কত দ্রুত এটা দেখতে। ৪০ মিটার স্প্রিন্ট যেটা ছিলো প্রথম ২০ মিটাকে কে কতটুকু গতিময়। সাধারণত এক-দুই মিটারের জন্য একটা রান আউট হয় বা এক-দুই সেন্টিমিটারের জন্য আমরা একটা চার বাঁচাতে পারি না। স্প্রিন্টিং দেখলাম কীভাবে আরও গতিময় করা যায়। আর ১৬শ মিটারে দেখলাম মাঠে থাকার ক্যাপাসিটিটা কতটুকু।'
'এভারেজ পারফরম্যান্স গুড। তবে আমাদের উন্নতির জায়গা আছে। আমরা ট্রেনাররা গুড বলতে পারি না, বলি না আসলে কারণ আমাদের চাহিদার শেষ নাই। এখানে ৩৫ জনের মতন উপস্থিত ছিলো। যেটা হচ্ছে ফিটনেস ভালো।
ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ, যুক্তরাষ্ট্রে তাঁদের বিপক্ষে সিরিজ, যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ- টাইগার ক্রিকেটারদের সামনে ক্রিকেটে ঠাঁসা সূচি। এমন সময়ে ক্রিকেটারদের ফিটনেস ঠিক থাকা জরুরি।
জাতীয় দলের বিবেচনায় যারা থাকেন বা থাকতে পারেন তাদের ফিটনেসের অবস্থা জানতে সাত-সকালে স্প্রিন্টস ও টাইম ট্রায়ালের আয়োজন করে বিসিবি (বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড)।