বেঙ্গালুরুর মাঠে হায়দ্রাবাদের রেকর্ড ছাড়ানো জয়
বেঙ্গালুরুর মাঠে হায়দ্রাবাদের রেকর্ড ছাড়ানো জয়
বেঙ্গালুরুর মাঠে হায়দ্রাবাদের রেকর্ড ছাড়ানো জয়
কোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দুই দলের সংগ্রহে এত রান আর আসেনি। যা সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ম্যাচে দেখল ক্রিকেট বিশ্ব। দুই দল সমান তালে লড়ল বলতে হয়। যেখানে হায়দ্রাবাদের খাতাতে শেষমেশ জয়ের হিসাব ধরা দিয়েছে। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার ব্যাট করে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৮৭ রান করে হায়দ্রাবাদ। জবাবে বেঙ্গালুরুর ব্যাটাররা চেষ্টা করে গেছেন শেষপর্যন্ত। হারানো ৭ উইকেট শেষে ২৬২ রানে থেমেছে দলটির সংগ্রহ। যেখানে হারের ব্যবধান মাত্র ২৫ রান।
টসে হেরে ব্যাট করতে নামে হায়দ্রাবাদ। অভিষেক শর্মা ও ট্রাভিস হেড মিলে এক তাণ্ডব শুরু করেন প্রথমেই। মাত্র ৭.১ ওভারে বিনা উইকেটে ১০০ ছাড়ায় দলটি। ব্যক্তিগত ৩৪ রানে অবিশেষ ফিরলেও হেডের ব্যাটে যেন ফুলঝুরি ছোটে।
হেনরিখ ক্লাসেনের সাথে গড়ে তোলেন বড় জুটি। হেড ও ক্লাসেন মিলে হায়দ্রাবাদকে বড় সংগ্রহের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। মাত্র ৩৯ বলে সেঞ্চুরির দেখা পেয়ে যান হেড। হায়দ্রাবাদ এদিকে ২০০ ছুঁয়ে ফেলে মাত্র ১৫ ওভারে। সেঞ্চুরি করার পর ৪১ বল খেলে ১০২ রানে ফিরেছেন হেড। যেখানে ৯ টি চারের মার এবং ৮ টি ছক্কার মার ছিল।
দুই প্রোটিয়া ক্লাসেন ও এইডেন মার্করাম মিলে এবার রান বাড়ানোর কাজে যোগ দেন। দলীয় ২৩১ রানের মাথায় ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন ক্লাসেন। তার ব্যাটে আসে ৩১ বলে ৬৭ রান।
শেষপর্যন্ত মার্করামের সাথে আব্দুল সামাদ ছিলেন অপরাজিত। স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে ১০ বলে ৩৭ রান করেন৷ সামাদ। অন্যদিকে ১৭ বলে ৩২ রান করেছেন মার্করাম। তাতে হায়দ্রাবাদের দলীয় সংগ্রহ গিয়ে থামল ৩ উইকেট হারিয়ে ২৮৭ রানে।
চলতি মৌসুমে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৭৭ রানের সংগ্রহ তোলে হায়দ্রাবাদ। সেটাই ছিল আইপিএল ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংগ্রহ। এবার নিজেদের রেকর্ড নিজেরা ভেঙে দিল দলটি এবং সংগ্রহ নিয়ে গেল ২৮৭ রানে।
বিশাল লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে গিয়ে শুরুটা ঠিকঠাক শুরু করে বেঙ্গালুরু। পাওয়ারপ্লের প্রথম ৬ ওভারে বিনা উইকেটে আসে ৭৯ রান। প্রথম উইকেটের পতন ঘটে ৬.২ ওভারে গিয়ে। ভিরাট কোহলি ফিরে যান ২০ বলে ৪২ রান করে।
ফ্যাফ ডু প্লেসি তখনো ছিলেন, তাকে সঙ্গ দেওয়ার মতো কারও অভাব দেখা যাচ্ছিল। উইল জ্যাকস, রজত পাতিদার, সৌরভ চৌহান– এই ৩ ব্যাটার ফিরেছেন এক ডিজিটে। ডু প্লেসি যখন ৬২ (২৮) রানে ফেরেন, দলের সংগ্রহ তখন দাঁড়িয়েছে ৪ উইকেট হারিয়ে ১২১ রানে।
দশম ওভারের খেলা চলছিল। এরপর দীনেশ কার্তিক ও মহীপাল লমরোর মিলে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন। তাদের দুজনের চেষ্টায় আবারও কিছুটা এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় দেখা যায় বেঙ্গালুরুর পক্ষে। লমরোর অবশ্য ১১ বলে ১৯ রান করেই বিদায় নিয়েছেন।
তবে এদিকে কার্তিক একা হাতে সাধ্যমতো চেষ্টা চালিয়ে গেলেন। তার লড়াইয়ে ব্যবধান অনেকটা কমে আসে, কিন্তু তবুও যেন অধরা থেকে যায় জয়ের ভাবনা। ১৬.১ ওভারে গিয়ে ২০০ ছাড়িয়ে নেয় দলটি। এরপর শেষ ওভারে গিয়ে ২৫০ এর দেখা মেলে। এরমধ্যে ১৯তম ওভারে ফিরে যান কার্তিক।
তার ৩৫ বলে ৮৩ রানের ইনিংসে ছিল ৫ টি চার এবং ৭ টি ছক্কা। অনুজ রাওয়াত অপরাজিয় ছিলেন ১৪ বলে ২৫ রান করে। বেঙ্গালুরুর সংগ্রহ গিয়ে থামে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৬২ রানে।
সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের পক্ষে দলীয় অধিনায়ক প্যাট কামিন্স সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন।