চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার কাছে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার কাছে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার কাছে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
চট্টগ্রাম টেস্টে ব্যাটে-বলে বাজে পারফরম্যান্সে বিব্রতকর পরাজয় বাংলাদেশের। ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ নাজমুল হোসেন শান্তর দল। আগের দিন বিকালে ৭ উইকেট হারালে হাতে বাকি কেবল ৩ উইকেট। যা হবার তাই হয়েছে, পঞ্চম দিনের সকালেই ১৯২ রানে বিশাল ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ দল।
সিলেটে সিরিজের প্রথম টেস্টে ৩২৮ রানের বিশাল ব্যবধানে জিতে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকা শ্রীলঙ্কা চট্টগ্রামে এসে টাইগারদের দিল হোয়াইটওয়াশের লজ্জা। ৫১১ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ৩১৮ রানেই গুটিয়ে গেছে টাইগাররা। প্রথম ইনিংসে ১৭৮ রানে অলআউট হয়েছিল দলটি। শ্রীলঙ্কা তাদের দুই ইনিংসে যথাক্রমে ৫৩১ ও ১৫৭ রান করে।
৫১১ রানের অসম্ভব লক্ষ্যের এই ম্যাচ জিততে বা ড্র করতে হলে বাংলাদেশকে আজ পঞ্চম দিনে পাড়ি দিতে হত কঠিন পথ। ম্যাচ জিততে হলে গড়তে হবে বিশ্ব রেকর্ড, রান করতে হবে আরও ২৪৩। ড্র করতে হলে খেলতে হত পুরো এক দিন। যেখানে হাতে বাকি কেবল ৩ উইকেট।
আগের দিন যেভাবে কাণ্ডজ্ঞানহীন সব শট খেলেছেন টাইগার ব্যাটাররা, ম্যাচের ভাগ্য এক অর্থে তখন নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল। সাজঘরে ফেরা সাত ব্যাটারের সবাই দুই অঙ্কে পৌঁছান। তবে হাফসেঞ্চুরি পর্যন্ত যেতে পারেন কেবল মুমিনুল হক। আগের দিন শেষ বিকালে ব্যাটিং দৃঢ়তায় মেহেদী হাসান মিরাজের সাথে ক্রিজে ছিলেন তাইজুল ইসলাম। ২৫ রানের জুটি গড়ে তারা আজ ব্যাটিংয়ে।
কামিন্দুকে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ৬২ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন মিরাজ। যা তার টেস্ট ক্যারিয়ারের ৬ষ্ঠ অর্ধশতক। কামিন্দুর এই ওভারেই ভাঙে ব্রেকথ্রু, তাইজুলের উইকেট উদযাপনে মাতে লঙ্কানরা। তাইজুল ইসলাম বিদায়ের আগে মিরাজের সঙ্গে জুটিতে ৬২ বলে আসে ৩৮ রান। এরপর হাসান মাহমুদ এসে মোকাবিলা করে গেছেন ২৫ বল।
ধৈর্য ধরে খেললে যে ভালো কিছু হতে পারতো এদিন তা সতীর্থদের আঙুল দিয়েই দেখিয়ে দিয়েছেন মিরাজ। ধারার বিপরীতে এক প্রান্তে মাটি কামড়ে থেকে খেলেছেন হার না মানা ৮১ রানের ইনিংস।