জ্যোতির ফিফটি ম্লান করে জিতল অস্ট্রেলিয়া
জ্যোতির ফিফটি ম্লান করে জিতল অস্ট্রেলিয়া
জ্যোতির ফিফটি ম্লান করে জিতল অস্ট্রেলিয়া
তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া মুখোমুখি হয়। প্রথমে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ দল ভদ্রস্থ পুঁজি সংগ্রহ করলেও, তা ধোপে টিকেনি অস্ট্রেলিয়ানদের নিয়ন্ত্রিত ব্যাটিংয়ের সামনে। বাংলাদেশের দেওয়া ১২৭ রানের লক্ষ্যমাত্রা বিনা উইকেটে পেরিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। ৪২ বল বাকি থাকতে ১০ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে থাকল সফরকারীরা।
অস্ট্রেলিয়ার সামনে তিন অঙ্কের লক্ষ্যমাত্রা ছুঁড়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। ওয়ানডে সিরিজে যা হয়নি, তাই হলো এবার। কিন্তু এমন লক্ষ্যমাত্রার সামনেও অসহায় অবস্থান ছিল বাংলাদেশের। দুই ওপেনার অ্যালিসা হিলি ও বেথ মুনির ধারাবাহিক ব্যাটিংয়ে কোনো ধরনের চাপ তৈরি করতে পারেনি নিগার সুলতানা জ্যোতির দল।
হিলি ও মুনি মিলে অস্ট্রেলিয়ানদের জয় সহজ করে দেয়। বাংলাদেশের বোলারদের উপর ভর দিয়ে ব্যাট চালাতে থাকে দুজন। শেষ পর্যন্ত ১২.৬ ওভারে টপকে যায় লক্ষ্যমাত্রা। হিলি ৬৫ (৪২) রানে, মুনি ৫৫ (৩৬) রানে অপরাজিত ছিলেন।
এর আগে মিরপুরে টস জয়ের পর প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের পক্ষে এসেছে বলতে হয়। ওডিআই সিরিজে খেলা ৩ ম্যাচের একটিতেও পাওয়া হয়নি দলীয় শতকের দেখা। সেখানে আজ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে অন্তত তিন অঙ্কের দেখা পেল বাংলাদেশ।
শুরুটা অবশ্য মোটেও ভালো করেনি বাংলাদশ। রানের পাতা খোলার আগেই ওপেনার দিলারা আক্তারের উইকেট হারায় তারা। যা সোফি মোলিনেক্সের প্রথম ডেলিভারিতেই। পরের ওভারেই ফিরে যান সোবহানা মোস্তারি। বাংলাদেশ দলীয় ২ রানে ২ উইকেট হারিয়ে শুরুতে চাপে পড়ে।
তবে সেখান থেকে উদ্ধার হয় জ্যোতি ও আরেক ওপেনার মুর্শিদা খাতুনের ব্যাটিং জুটিতে। দুজনে মিলে বাংলাদেশকে চাপ থেকে উদ্ধার করেন। দলীয় ৫৯ রানে ফিরে যান মুর্শিদা। ব্যক্তিগত ২০ রানে মুর্শিদা ফিরলেও জ্যোতি তখনো ছিলেন। আর সেই থাকা শেষ পর্যন্ত চলল। যেখানে ফাহিমা খাতুনের সাথেও জ্যোতি ৬০ রানের জুটি করেন।
শেষ ওভারে ফাহিমা ফিরে যান ২৭ রান করে। জ্যোতি শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৬৪ বলে ৬২ রান করে।