স্লিপে ক্যাচ ধরা সহজ কোনো কাজ নয়, বলেছেন ব্যাটিং কোচ
স্লিপে ক্যাচ ধরা সহজ কোনো কাজ নয়, বলেছেন ব্যাটিং কোচ
স্লিপে ক্যাচ ধরা সহজ কোনো কাজ নয়, বলেছেন ব্যাটিং কোচ
স্লিপ ক্যাচিং ম্যাচের মোমেন্টাম শিফট করে দেয়। এখানেই বাংলাদেশের সারাজীবনের দুঃখ; স্লিপ ফিল্ডারদের পিচ্ছিল হাত। তাই মোমেন্টামও টাইগারদের দিকে শিফট করে না। চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৫৩১ রান। লঙ্কানদের ১০ ব্যাটার আউট করতে গিয়ে ৭টি ক্যাচ ফেলছে বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। ক্যাচিংয়ে সমস্যাটা কোথায়? এমন প্রশ্নের জবাবে ব্যাটিং কোচের উত্তর, কাজটা মোটেও সহজ না।
সাগরিকা যেন গেল দুই দিন রূপ নিয়েছিল ক্যাচ মিসের বন্যায়। আগের দিনের মতো আজও স্লিপে ম্লান বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। স্লিপে দাঁড়িয়ে নানা ভঙ্গিতে একের পর এক ক্যাচ ছেড়েছেন খেলোয়াড়রা। স্লিপ ক্যাচিং নিয়ে হাহুতাশ বারবার, আর এই সুযোগেই বড় সংগ্রহের পথে ছুটে যায় লঙ্কানরা।
দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে হাজির হন বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ ডেভিড হেম্প। তার কাছেই জানতে চাওয়া বাংলাদেশের ফিল্ডারদের এমন অবস্থার কারণ কি? উত্তরে হেম্প জানান,
'আসলে এটা বেশ কঠিন কাজ। সহজ কোনো কাজ নয়। এখানে সবার প্রত্যাশা বেশি থাকে। সবাই তো চাইবে যেন প্রতিটি ক্যাচই ধরা যায়। এমন মাইন্ডসেট না থাকার কারণে হয়ত কাজটা কিছু কঠিন হয়ে পড়ে। আমরা এই বিষয়টি নিয়ে অনুশীলন করছি। যেন সামনে এমন পরিস্থিতি এলে ক্যাচ ধরতে পারি।'
আজকের দিনে প্রবাথ জয়সুরিয়া ২টি জীবন পেয়েছেন। প্রথমে শান্ত-দিপু-জাকির; তিন স্লিপ ফিল্ডার মিলেও ধরতে পারলেন না প্রবাথ জয়াসুরিয়ার ক্যাচ! এ যেন সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ক্যাচ ছাড়ার প্রয়াস। বোলার খালেদের দুর্ভাগ্য। এরপর উইকেটকিপার লিটন দাস গ্লাভস হাতেও ছেড়েছেন জয়াসুরিয়ার নিচু হয়ে আসা ক্যাচ।
৩ জন মিলেও একটা ক্যাচ ধরতে না পারার ব্যাখ্যায় যা বললেন হেম্প, 'আসলে জাকির ছিল নাকি সেটা অহ না জয় ছিল মনে হয়। দিপুর সেখানে ভালো সুযোগ ছিল। যখন ক্যাচটা উঠল তখন ভেবেছিলাম হয়ত কেউ না কেউ ধরে ফেলবে। তবে দুর্ভাগ্যজনক হচ্ছে কেউ সেটা ধরতে পারল না।'