আফগানদের অল্পতে আটকে দিল বাংলাদেশ
আফগানদের অল্পতে আটকে দিল বাংলাদেশ
আফগানদের অল্পতে আটকে দিল বাংলাদেশ
পুরো ইনিংস জুড়েই আফগানিস্তানকে চাপে রেখেছে বাংলাদেশ বোলাররা। ৫৯ রানে থামে আফগানদের ওপেনিং জুটি। শেষ পর্যন্ত আফগানিস্তান ২০ ওভারে স্কোরবোর্ডে জমা করে ১১৫ রান। ১৩ ওভারে এই টার্গেট টপকানোর কাজটি কঠিন বাংলাদেশের। সেমিফাইনালে যেতে আফগানিস্তানকে হারিয়ে পেতে হবে ২ পয়েন্ট, সঙ্গে নেট রানরেটেও টপকে যেতে হবে অস্ট্রেলিয়াকে (-০.৩৩১)।
আফগানিস্তান ইনিংসে ছিল ৬৬টি ডট বল। তবে রাশিদ খান শেষবেলায় ১০ বলে ১৯ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে দলের সংগ্রহ নিয়ে যান ১১৫ তে। সেমিফাইনালে যেতে ১২.১ ওভারের মধ্যে জিততে হবে বাংলাদেশকে।
তাসকিন আহমেদের সঙ্গে সৌম্য সরকার ফিরেছেন একাদশে। টসে হেরে আগে বোলিং করতে হবে বাংলাদেশকে, অধিনায়ক শান্ত বললেন তিনি টস জিতলে বোলিংই নিতেন। অর্থাৎ আফগানিস্তান যা'ই সংগ্রহ করুক, সেটা নির্ধারিত সময়ে তাড়া করে সেমির সমীকরণ মেলাতে চায় বাংলাদেশ দল।
বল হাতে তানজিম হাসান সাকিব, তাসকিন আহমেদরা করেন দারুণ শুরু। পাওয়ার প্লেতে আফগানিস্তান উইকেট না হারালেও পুরো ৬ ওভারের নিয়ন্ত্রণ ছিল টাইগার বোলারদের। ৬ ওভারে আফগানরা করতে পারে কেবল ২৭। দুই আফগান ওপেনার রেকর্ড গড়লেও এদিন তাদের শান্ত রাখতে পেরেছে বাংলাদেশ। ১০ ওভারের সময় ড্রিংক্স বিরতিতে যায় ৫৮ রানে।
ইব্রাহিম জাদরান, রহমানউল্লাহ গুরবাজের ওপেনিং জুটিতে ব্রেকথ্রু আসে পরের ওভারেই। রিশাদ হোসেনকে বাউন্ডারি হাঁকানোর আশায় লফটেড খেলতে গিয়ে ইব্রাহিম ক্যাচ হন লং অফে তানজিম সাকিবের হাতে। ১ চারে ২৯ বলে ১৮ রান নিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে গেছেন ইব্রাহিম জাদরান। ভাঙ্গে ৫৯ রানের উদ্বোধনী জুটি।
মুস্তাফিজের কাটারে কাটা পড়েন ১২ রানে থাকা আজমতউল্লাহ ওমরজাই। রিশাদ কোটার শেষ ওভার করতে এসে ফেরান সেট ব্যাটার রহমানউল্লাহ গুরবাজকে। কেবল ৭৮ স্ট্রাইক রেটে গুরবাজ খেলে গেছেন ৪৩ রানের ইনিংস। দুই বল পর গুলবেদিন নাইবের উইকেটও দখলে নেন রিশাদ। এবার ডিপ কভার অঞ্চলে দৌড়ে এসে সৌম্য সরকার লুফে নেন দারুণ এক ক্যাচ। ৮৯ রানে ৪র্থ উইকেট হারায় আফগানিস্তান।
এদিন দুর্দান্ত ছন্দে থাকা তাসকিন আহমেদ নিজের শেষ ওভার করতে এসে ৫ বলে ১ করা মোহাম্মদ নবীকে বানান অধিনায়কের হাতে সহজ ক্যাচ। ওভারে টানা পাঁচ ডট দিয়ে শেষ ডেলিভারিতে রাশিদ খানের ব্যাটে হজম করেন ৬। শেষদিকে রাশিদ খান ঝড় তুলে আফগানিস্তানকে এনে দেন ১১৫ রানের সংগ্রহ।