Image

আবুধাবিতে অপেক্ষার অবসান, লিটনের ঝড়ো ফিফটিতে হংকংকে হারালো বাংলাদেশ

৯৭ প্রতিবেদক: মোহাম্মদ আফজল

প্রকাশ: 2 ঘন্টা আগেআপডেট: 1 মিনিট আগে
আবুধাবিতে অপেক্ষার অবসান, লিটনের ঝড়ো ফিফটিতে হংকংকে হারালো বাংলাদেশ

আবুধাবিতে অপেক্ষার অবসান, লিটনের ঝড়ো ফিফটিতে হংকংকে হারালো বাংলাদেশ

আবুধাবিতে অপেক্ষার অবসান, লিটনের ঝড়ো ফিফটিতে হংকংকে হারালো বাংলাদেশ

শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে বারবার ব্যর্থতার গল্প লিখেছিল বাংলাদেশ। সেই হতাশা দূর করে এবার একই মাঠে ইতিহাসের পাতা উল্টাল টাইগাররা। হংকংয়ের বিপক্ষে সাত উইকেটের দাপুটে জয়ে শুধু জয়ের খরা কাটেনি, সঙ্গে বদলা নেওয়া হয়েছে ২০১৪ সালের সেই তিক্ত স্মৃতির। এশিয়া কাপের সূচনায় এমন জয়ে আত্মবিশ্বাসে টগবগ করছে লিটন দাসের দল।

অবশেষে শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে হংকংয়ের বিপক্ষে বহু প্রতীক্ষিত প্রথম জয়ও ধরা দিল। বৃহস্পতিবার এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে হংকংকে ৭ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে শুভ সূচনা করল টাইগাররা।

এর আগে এই মাঠে দুই ম্যাচ খেলেও জয়ের মুখ দেখেনি বাংলাদেশ। ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে হতাশ হয়েছিল টাইগাররা। সেই সঙ্গে ২০১৪ সালে হংকংয়ের বিপক্ষে হারের পুরোনো ক্ষতও ছিল হৃদয়ে। এবার সব ব্যর্থতার হিসেব যেন এক ম্যাচেই মিটিয়ে নিল লিটনের দল।

১৪৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ওপেনিং জুটি থেকে বড় কিছু না পেলেও দায়িত্ব নেন অধিনায়ক লিটন দাস ও তাওহীদ হৃদয়। উদ্বোধনী জুটিতে পারভেজ ইমন ও তানজিদ তামিম যোগ করেন মাত্র ২৬ রান। ইমন আয়ুশ শুকলার ফুল লেংথ ডেলিভারি ঠিকমতো পড়তে না পেরে ১৪ বলে ১৯ রান করে বিদায় নেন। মিড উইকেটে বাবর হায়াতের সহজ ক্যাচে পরিণত হন তিনি। তাঁর ইনিংসে ছিল ২টি চারে ও ১টি ছক্কা।
এরপর খুব বেশি সময় টিকতে পারেননি তানজিদ হাসান তামিমও। আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে নিজকাত খানের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। ১৮ বলে ১৪ রান করেন এই তরুণ ওপেনার।
দুই ওপেনারের বিদায়ের পর ম্যাচের রাশ নিজেদের হাতে নেন লিটন দাস ও তাওহীদ হৃদয়। একজন খেলেছেন আগ্রাসী ভূমিকায়, অন্যজন ছিলেন ধীর-স্থির। এই বিপরীত মেজাজের জুটিতে গড়ে ওঠে ৯৫ রানের অনবদ্য পার্টনারশিপ।

লিটন দাস ৩৯ বলে খেলেন ৫৯ রানের দারুণ এক ইনিংস। ছয়টি চারে ও একটি ছক্কায় সাজানো এই ইনিংসের মাঝেই অধিনায়কোচিত ব্যাটিংয়ের সব রঙ মেলে ধরেন তিনি। বাংলাদেশ যখন জয়ের দোরগোড়ায়, তখনই আতিক ইকবালের বলে বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন লিটন। তবে কাজটা তখন অনেকটাই সেরে ফেলেছিলেন তিনি।

অন্যপ্রান্তে দায়িত্ব নিয়ে খেলে যান হৃদয়। ৩৬ বলে ৩৫ রানের অপরাজিত ইনিংসে ছিল মাত্র একটি চারের মার। ১৮তম ওভারের চতুর্থ বলে স্কয়ার লেগে ঠেলে এক রান নিয়ে ম্যাচ শেষ করেন হৃদয়। এই জয়ের মধ্য দিয়ে আবুধাবিতে কাটল জয়ের খরা, হংকংয়ের বিপক্ষে প্রথম জয়ও এল অবশেষে।

হংকংয়ের পক্ষে আতিক ইকবাল দুটি ও আয়ুশ শুকলা একটি উইকেট শিকার করেন।
ম্যাচের শুরুতে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন লিটন দাস। সেই সিদ্ধান্ত যে কতটা সঠিক ছিল, তা বুঝিয়ে দেন বাংলাদেশের বোলাররা। শুরু থেকেই হংকংয়ের ব্যাটারদের চাপে রেখেছিল টাইগার বোলিং ইউনিট।

প্রথম ওভারেই শেখ মাহেদী হাসান দেন মাত্র ১ রান। পরের ওভারে তাসকিন আহমেদ উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানিয়ে ফিরিয়ে দেন আনশি রাথকে (৪)। যদিও ওভারে রান দেন ১২, কিন্তু প্রথম ধাক্কাটা দেন তিনিই।

এরপর জিশান আলী ও বাবর হায়াত ২৩ রানের জুটি গড়লেও, তা ভাঙেন তানজিম হাসান সাকিব। বাবর হায়াত ১৪ রান করে বিদায় নেন। এরপর জিশান ও নিজকাত খান মিলে গড়েন ৪০ রানের আরেকটি কার্যকরী জুটি। জিশান ৩৪ বলে ৩০ রান করেন, ইনিংসে ছিল ৩টি চার ও ১টি ছক্কা।

নিজকাত খান ছিলেন আরও কার্যকর। ইয়াসিম মর্তুজার সঙ্গে তাঁর জুটিতে আসে ৪৬ রান। ইয়াসিম ১৯ বলে করেন ২৮। তাঁকে রান আউট করেন রিশাদ ও মুস্তাফিজ।

নিজকাত শেষ পর্যন্ত ৪০ বলে ৪২ রান করে রিশাদের বলে আউট হন। এরপর কিঞ্চিৎ শাহ (০) ও আইজাজ খান (৫) দ্রুত বিদায় নেন। ফলে ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেটে ১৪৩ রানেই থেমে যায় হংকংয়ের ইনিংস।

বাংলাদেশের হয়ে তানজিম হাসান সাকিব ও রিশাদ হোসেন নেন দুটি করে উইকেট। দুটি উইকেট নেন তাসকিন আহমেদও, যদিও ৪ ওভারে খরচ করেন ৩৮ রান। মাহেদী ও মুস্তাফিজ উইকেট না পেলেও নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখেন বোলিংয়ে।
 

Details Bottom
Details ad One
Details Two
Details Three